পূর্বাচল তিন’শ ফিট সড়কে চাঁদার দাবিতে সিএনজি চালকদের মারধর, বিক্ষোভ
Published: 5th, March 2025 GMT
পূর্বাচল তিন'শ ফিট সড়কে সিএনজি চালকদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি ও চালকদের মারধরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে সিএনজি চালকরা। এসময় তারা ভুলতা-কুড়িল বিশ্বরোড সড়কের চলাচলরত বেশ কয়েকটি বিআরটিসি ডাবল ড্রেকার বাস বন্ধ করে যাত্রী নামিয়ে দেয়।
এসময় পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা চালালে দুই পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে আহত করে বিক্ষুব্ধ সিএনজি চালকরা। বুধবার (৫ মার্চ) দুপুরে কাঞ্চন কুড়িল বিশ্বরোড সড়কের কাঞ্চন সেতুর পশ্চিম পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।
বিক্ষুদ্ধ সিএনজি চালকরা জানায়, গত কয়েক দিন ধরে বিআরটিসি বাস কর্তৃপক্ষের লোকজন তাদের কাছ থেকে প্রতি মাসে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা মাসিক চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে বিআরটিসি পালিত রাকিব ও জিহাদের নেতৃত্বে ১০/১৫ জনের লাঠিয়াল বাহীনি বেশ কয়েকজন সিএনজি চালককে মারধর এবং সিএনজি ভাংচুর করে। বিষয়টি বিআরটিসি কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা কোন এর সমাধান দেয়নি।
এ দিকে আজ বুধবার সকাল থেকে ফের চাঁদার জন্য সিএনজি চালকদের উপর চরাও হয় রাকিব-জিহাদ বাহীনির লোকজন। এসময় তারা ৩/৪জন সিএনজি চালককে মারধর ও সিএনজি ভাংচুর করে। এঘটনার প্রতিবাদে দুপুর একটার দিকে সিএনজি চালকরা একত্রিত হয়ে কাঞ্চন সেতুর পশ্চিম পাড়ে অবস্থান নেয়।
তারা সড়কে চলাচলরত বেশ কয়েকটি বিআরটিসি বাস আটকে যাত্রী নামিয়ে দেয়। এসময় সকল বিআরটিসি বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় এবং অভিযুক্তদের উপযুক্ত শাস্তির দাবীতে বিক্ষোভ করে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ও বিআরটিসির বাস চালু করার চেষ্টা চালালে বিক্ষুব্ধ সিএনজি চালকরা এসআই সায়েম ও কনস্টেবল বাচ্চুকে মারধর করে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তাতে চরম ভোগান্তিতে পরেন চলাচলরত যাত্রী সাধারণ।
এসব বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেষ্ঠ পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (গ সার্কেল) মেহেদী ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় আমার ২ পুলিশ এসআই সায়েম ও কনস্টেবল বাচ্চু আহত হয়েছে। এ ঘটনায় তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে মামলা করা হবে এবং আসামীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এলাকাবাসীর স্বার্থে এ সড়কে নিরাপদ গণপরিবহন চালুর বিষয়ে উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ব আরট স চ লকদ র স এনজ ম রধর চ লকর
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্ধিরগঞ্জে প্রবাসী স্বামীর বাড়িতে স্ত্রীর তালা
সিদ্ধিরগঞ্জে জোর পূর্বক সম্পত্তি লিখে নিতে সন্ত্রাসী দিয়ে নিজাম উদ্দিন নামে এক প্রবাসীর ৬ তলা বাড়িতে তালাবদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে তার স্ত্রী উম্মে হাবিবা বিন্দুর বিরুদ্ধে। গত বুধবার (১১ জুন) সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল তাঁতখানা এলাকার প্রবাসী নিজাম উদ্দিনের বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় বন্দর থানার গকুলদাসেরবাগ এলাকার আ: বাতেনের মেয়ে ও প্রবাসী নিজাম উদ্দিনের ভাগ্নী মাহমুদা (৪০) বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ বাজার এলাকার বাসিন্ধা তার মামী উম্মে হাবিবা বিন্দু (২৬), মামীর বাবা বাবুল (৫০) ও মামীর মা সখি (৪৫) সহ আরো অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনকে আসামী করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগে মাহমুদা উল্লেখ করেন, গত ৯বছর পূর্বে আমার মামার সাথে উম্মে হাবিবা বিন্দুর বিবাহ হয়। আমার মামার পরিবারে ২টি পুত্র সন্তান আছে। আমার মামা একজন প্রবাসী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসী হওয়ার সুবাদে বিবাদীরা আমার মামার টাকা বিভিন্ন ভাবে অপচয় করিত। গত ৫বছর পূর্বে বিবাদী বাবুল আমার মামার কাছ থেকে জমি ক্রয় ও ব্যবসায়ীক কারণে হাওলাত বাবদ ৩৫ লাখ টাকা নিয়ে যায়।
গত ৩ বছর পূর্বে আমার মামা দেশে এসে তার স্ত্রী বিন্দুর কাছে উক্ত টাকা দাবি করলে তিনি ক্ষীপ্ত হয়ে আমার মামাকে অকথ্য ভাষায় গাল মন্দ করিতে থাকে। এসময় আমার মামা উক্ত বিষয়টি তার শ্বশুর বাবুলকে জানাইলে তারা উক্ত টাকা দিব-দিচ্ছি বলে টালবাহানা করতে থাকে।
এরই উপর ভিত্তি করে গত ২ মাস পূর্বে পুনরায় আমার মামা তার শ্বশুরের কাছে টাকা দাবি করলে তিনি উক্ত টাকা দিবে না মর্মে জানায়। এমনকি আমার মামাকে জানায় আমার মামা যদি সিদ্ধিরগঞ্জের তাঁতখানা এলাকার গোদনাইল মৌজাস্থিত ৬তলা বিশিষ্ট বাড়িটি তার স্ত্রীর নামে লিখিয়া না দেয় তাহলে তাকে বড় ধরণের ক্ষতি সাধন করবে।
অভিযোগে মাহমুদা আরো উল্লেখ করেন, গত বুধবার আমার মামার শ্বশুর ও শ্বাশুড়ী সহ আরো ১০/১২ জন সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে গোদনাইল তাঁতখানা এলাকার আমার মামার বাড়ীতে প্রবেশ করে আমার মামার অজ্ঞাতসারে ভাংচুর চালায়।
এসময় উক্ত বাড়ীতে আমার খালা সালেহা (৫০) অবস্থানকালে তারা তাকে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। একপর্যায়ে তারা উক্ত বাড়ী তালা বদ্ধ করে চলে যায়। এসময় তারা আমার খালাকে জানায় আমার মামা যদি উক্ত বাড়ী তার স্ত্রীর নামে লিখিয়া না দেয় তাহলে তারা আমার মামাকে জানে মারিয়া ফেলবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযোগের তদন্তকারী সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হাসান আলী জানান, দুই পক্ষই থানায় অভিযোগ করেছে। তবে বাড়িতে তালা দেয়ার বিষয়ে নিজামের স্ত্রী বিন্দু ও তার শ্বশুর বাবুলকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তারা অস্বীকার করেছে। যেহেতু বিষয়টি পারিবারিক তাই উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।