পূর্বাচল তিন'শ ফিট সড়কে সিএনজি চালকদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি ও চালকদের মারধরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে সিএনজি চালকরা। এসময় তারা ভুলতা-কুড়িল বিশ্বরোড সড়কের চলাচলরত বেশ কয়েকটি বিআরটিসি ডাবল ড্রেকার বাস বন্ধ করে যাত্রী নামিয়ে দেয়।

এসময় পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা চালালে দুই পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে আহত করে বিক্ষুব্ধ সিএনজি চালকরা। বুধবার (৫ মার্চ) দুপুরে কাঞ্চন কুড়িল বিশ্বরোড সড়কের কাঞ্চন সেতুর পশ্চিম পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।

বিক্ষুদ্ধ সিএনজি চালকরা জানায়, গত কয়েক দিন ধরে বিআরটিসি বাস কর্তৃপক্ষের লোকজন তাদের কাছ থেকে প্রতি মাসে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা মাসিক চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে বিআরটিসি পালিত রাকিব ও জিহাদের নেতৃত্বে ১০/১৫ জনের লাঠিয়াল বাহীনি বেশ কয়েকজন সিএনজি চালককে মারধর এবং সিএনজি ভাংচুর করে। বিষয়টি বিআরটিসি কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা কোন এর সমাধান দেয়নি। 

এ দিকে আজ বুধবার সকাল থেকে ফের চাঁদার জন্য সিএনজি চালকদের উপর চরাও হয় রাকিব-জিহাদ বাহীনির লোকজন। এসময় তারা ৩/৪জন সিএনজি চালককে মারধর ও সিএনজি ভাংচুর করে। এঘটনার প্রতিবাদে দুপুর একটার দিকে সিএনজি চালকরা একত্রিত হয়ে কাঞ্চন সেতুর পশ্চিম পাড়ে অবস্থান নেয়।

তারা সড়কে চলাচলরত বেশ কয়েকটি বিআরটিসি বাস আটকে যাত্রী নামিয়ে দেয়। এসময় সকল বিআরটিসি বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় এবং অভিযুক্তদের উপযুক্ত শাস্তির দাবীতে বিক্ষোভ করে। 

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ও বিআরটিসির বাস চালু করার চেষ্টা চালালে বিক্ষুব্ধ সিএনজি চালকরা এসআই সায়েম ও কনস্টেবল বাচ্চুকে মারধর করে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তাতে চরম ভোগান্তিতে পরেন চলাচলরত যাত্রী সাধারণ।

এসব বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেষ্ঠ পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (গ সার্কেল) মেহেদী ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় আমার ২ পুলিশ এসআই সায়েম ও কনস্টেবল বাচ্চু আহত হয়েছে। এ ঘটনায় তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে মামলা করা হবে এবং আসামীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এলাকাবাসীর স্বার্থে এ সড়কে নিরাপদ গণপরিবহন চালুর বিষয়ে উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ব আরট স চ লকদ র স এনজ ম রধর চ লকর

এছাড়াও পড়ুন:

ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে সীতা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে বিগত এক মাস ধরে অবস্থান করছেন একদল বন্যহাতি। ১৭ (সতের) দলের এই বন্যহাতির তাণ্ডবে এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগান শ্রমিকদের ঘরবাড়ি, গাছপালা এবং বাগানের অভ্যন্তরে অবস্থিত কাঁচা সড়ক। 

 এদের তাণ্ডবে বাগানের ২নং সেকশনে বসবাসকারী চা শ্রমিকরা এরইমধ্যে নিজ নিজ বসতবাড়ি ছেড়ে কর্ণফুলি নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থান নিয়েছে। এই সেকশনে থাকা বহু ঘর হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ওয়াগ্গা টি লিমিটেডের পরিচালক খোরশেদুল আলম কাদেরী বলেন, “হাতির তাণ্ডবে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগানের নিজস্ব বোট চালক সানাউল্লাহর বসতবাড়ি। এসময় তিনিসহ তার স্ত্রী-সন্তানেরা ঘর হতে বের হয়ে কোনরকমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।”

বোট চালক সানাউল্লাহ বলেন, “সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আমি হাতির গর্জন শুনতে পাই। এসময় একটি বড় হাতি আমার ঘর ভাঙার চেষ্টা চালায়। আমি হতবিহ্বল হয়ে যাই। সেসময় স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে ঘরের পেছন দিয়ে কোন রকমে পালিয়ে বোটে করে এপারে চলে আসি।” 

চা বাগানের টিলা বাবু চাথোয়াই অং মারমা বলেন, “বিগত এক মাস ধরে ১৭টি হাতির একটি দল বাগানে অবস্থান করছে। মাঝে মাঝে দলটি সীতা পাহাড়ে চলে গেলেও হঠাৎ বাগানে চলে এসে আসে এবং বাগানের গাছপালা, বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমাদের চা শ্রমিকরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।”

ওয়াগ্গা চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরী বলেন, “বিগত এক মাস ধরে হাতির একটি দল ওয়াগ্গা চা বাগানে অবস্থান নিয়েছে। তাদের দলে সদস্য সংখ্যা সতেরো ১৭টি। সম্প্রতি দুটি নতুন শিশু জন্ম নিয়েছে। শিশু হস্তী শাবককে আশীর্বাদ করার জন্য সীতা পাহাড়ের গভীর অরণ্য থেকে আরো একদল হাতি যোগদান করেছে।” 

হাতি খুবই শান্তিপ্রিয় জীব। নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করে। অনেকে বলে থাকেন, মামারা বেরসিক বাদ্য বাজনা, বাঁশির সুর, গলাফাটা গান, গোলা বারুদ, ড্রামের শব্দ পছন্দ করে না। তারা কোলাহল এড়িয়ে চলে। 

গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্বচক্ষে দেখা হলো। আমাদের টিলা বাবু চাই থোয়াই অং মারমা শ্রমিকদের নিয়ে পাহাড়ের উপর বাঁশির সুর তুলেছে। সুর ও বাদ্য বাজনা এড়িয়ে মামারা (হাতি) চা বাগান পেরিয়ে সদলবলে বাঁশবনের গভীর থেকে গভীরে হারিয়ে গেলো। হয়তো আবার ফিরে আসবে।

কাপ্তাই বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ অফিসার ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, “দিন দিন হাতির আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ার ফলে হাতি খাবারের সন্ধানে প্রায়ই লোকালয়ে এসে হানা দিচ্ছে। আমাদের উচিত হাতির আবাসস্থল ধ্বংস না করা।”

ঢাকা/রাঙামাটি/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ১৩ ঘণ্টা পর রংপুরের রেল যোগাযোগ সচল
  • ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব
  • হেরোইন বিক্রির অভিযোগে ধামরাইয়ে গ্রেপ্তার ৩
  • টেকনাফে সাড়ে ৩ লাখ ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ২