ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইউট্যাব) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে।

এতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ড. মামুনুর রশিদ এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ফোকলোর বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর হোসেন (বাবু)।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সংগঠনটির পৃষ্টপোষক তারেক রহমানের সম্মতিক্রমে এ কমিটির অনুমোদন দেন  ইউট্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড.

এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান।

কমিটিতে আছেন- সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. খালেদউজ্জামান (মিজান), অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আমীরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. জিএম শফিউর রহমান, অধ্যাপক ড. মো. আবদুস সোবাহান (হীরা), অধ্যাপক ড. মো. গোলাম আরিফ, অধ্যাপক মো. আলতাফ হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. কুদরত-ই-জাহান, অধ্যাপক ড. মো. আবুল হাসান (মুকুল)।

অন্যদের মাঝে আরো আছেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সৈয়দ সরওয়ার জাহান (লিটন), সাংগঠনিক সম্পাদক, অধ্যাপক ড. মো. আতাউর রহমান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, অধ্যাপক ড. এএইচএম খুরশীদ আলম (রিপন), প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক ড. আব্দুল মতিন, সহ-প্রচার সম্পাদক, অধ্যাপক ড. মো. নূরুজ্জামান হক।

সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছবিরুল ইসলাম হাওলাদার, অধ্যাপক ড. মো. গোলাম ছাদিক, অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম, অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলিম, অধ্যাপক ড. মো. ফরিদুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল ইসলাম ফারুকী, অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল হক, অধ্যাপক ড. ফারজানা আশরাফী নীলা, অধ্যাপক ড. আওরঙ্গজীব আব্দুর রাহমান, অধ্যাপক ড. মো. হাসনাত কবীর, অধ্যাপক ড. মো. দেলোয়ার হোসেন, অধ্যাপক মুহাম্মদ মশিহুর রহমান (দুলাল)।

সদস্যদের মাঝে আরো আছেন, অধ্যাপক ড. মো. শাহাদাৎ হোসেন, অধ্যাপক ড. আখতার বানু (আলপনা), অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশীদ, অধ্যাপক ড. মো. নুরুল আলম, অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমান, অধ্যাপক ড. মজিবর রহমান, অধ্যাপক ড. মো. আরিফুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. আসাদুল হক, অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক জোয়াদ্দার, অধ্যাপক ড. মোরশেদুল ইসলাম (পিটার), অধ্যাপক ড. মোছা. মর্জিনা বেগম, অধ্যাপক ড. এ. নাঈম ফারুকী (লুথার), অধ্যাপক ড. সুমাইয়া আবেদীন ও স্বপ্নীল রহমান।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র রহম ন ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

যে কারণে ইরানের তেল ও গ্যাস স্থাপনায় হামলা

ইরানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তেল ও গ্যাস স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। মধ্যপ্রাচ্যের এ দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের মধ্যে কয়েক দশক ধরে বৈরিতা চলছে। তবে এবারই প্রথম ইসরায়েল ইরানে হামলা চালানোর পর দুই পক্ষ সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে। দুই পক্ষে পাল্টাপাল্টি হামলা তীব্র হতে থাকায় বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলের বাজারে অস্থিরতা তৈরির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

গত শনিবার গভীর রাতে ইরানের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েল একটি গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি ডিপোতে হামলা চালিয়েছে। একই সঙ্গে রাজধানী তেহরানে একটি তেল শোধনাগারেও আগুন ধরে যায়। সেখানে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছেন।

বিশ্বের অন্যতম বড় গ্যাসক্ষেত্র ‘সাউথ পার্স’-এ ইসরায়েলের হামলায় আগুন লাগার পর ইরান আংশিকভাবে এ ক্ষেত্রে উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে। ইরান কাতারের সঙ্গে ভাগাভাগি করে এই গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলন করে থাকে।

ইসরায়েল নজিরবিহীনভাবে ইরানের জ্বালানি স্থাপনাগুলোতে হামলা চালানোয় মধ্যপ্রাচ্য থেকে তেল সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম আরও বাড়তে পারে। দুই দেশই একে অন্যের ভূখণ্ডে আরও বড় ধরনের হামলার হুমকি দিচ্ছে।

ইরান বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রাকৃতিক গ্যাস ও তৃতীয় বৃহত্তম অপরিশোধিত তেল মজুতের অধিকারী– এই তথ্য যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি তথ্য প্রশাসনের (ইআইএ) দেওয়া। ফলে দেশটির জ্বালানি অবকাঠামো দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তু ছিল। তবে এতদিন ইসরায়েল ইরানের জ্বালানি স্থাপনাগুলোতে হামলা এড়িয়ে চলছিল, বিশেষ করে তার মিত্র যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশের চাপ ছিল। কিন্তু এবার তা বদলে গেছে।

গত শনিবার রাতে তেহরানের উত্তর-পশ্চিমে শাররান জ্বালানি ডিপো ও শহরের দক্ষিণে শার-রে অঞ্চলে অবস্থিত দেশের অন্যতম বৃহৎ তেল শোধনাগারে বড় ধরনের আগুন লাগে।  এ ছাড়া ইরানের দক্ষিণ বুশেহর প্রদেশের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় গ্যাসক্ষেত্র সাউথ পার্স লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। 

হামলায় সাউথ পার্সের ‘ফেইজ ১৪’ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রে আগুন লাগে। ফলে এখানে দৈনিক ১ দশমিক ২ কোটি ঘনমিটার গ্যাস উৎপাদনকারী একটি অফশোর প্ল্যাটফর্ম বন্ধ হয়ে গেছে।

ইসরায়েলের হামলার প্রথম দিনে তেল ও গ্যাস স্থাপনা বাদ পড়লেও বাজারে তেলের দাম প্রায় ৯ শতাংশ বেড়ে যায়। সোমবার  বিশ্ববাজারে তেলের দামে আরও বড় উল্লম্ফন হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মধ্যপ্রাচ্য ইনস্টিটিউটের গবেষক অ্যালান এয়ার বলেন, ইসরায়েল চায়, ইরানের ওপর হামলায় যুক্তরাষ্ট্রও জড়িয়ে পড়ুক। তাদের লক্ষ্য, ইরানের এই সরকারের পতন ঘটানো। ইরানের সামরিক প্রতিক্রিয়া ছাড়া উপায় নেই। কারণ, দেশের অভ্যন্তরে সম্মান রক্ষার বিষয় আছে। কিন্তু ইসরায়েলে বড় ধরনের ক্ষতি করার মতো ক্ষমতা ইরানের নেই। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইরানের বন্ধুর সংখ্যা কম। আর থাকলেও ইসরায়েল পরিষ্কারভাবে দেখিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক মতামতকে পাত্তা দেয় না– বলেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ