রংপুর নগরীতে এক যুবককে অপহরণের পর সমকামে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে। সেই ভিডিও ধারণ করে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করা হয়। এসব অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কিশোর গ্যাংয়ের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। এ ঘটনায় বিকেলে মহানগর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী যুবক। গ্রেপ্তার চারজন হলো– শুভ (১৮), নাইম (১৯), জিহাদ (১৮) ও কাদের (১৮)।

অভিযোগ ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার রাতে রংপুর নগরীর অভিরাম এলাকা থেকে স্থানীয় কিশোর গ্যাং ও দুর্বৃত্তের একটি দল ২৫ বছরের ওই যুবককে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। তারা মোবাইল ফোন ও ঘড়ি ছিনিয়ে নেওয়ার পর মুক্তিপণ হিসেবে ২ লাখ টাকা দাবি করে। ভুক্তভোগীর মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিকাশের মাধ্যমে ২৫ হাজার ৫০০ টাকাও নেয়। পুরো মুক্তিপণ না পাওয়ায় নাইম ও জিহাদ ভুক্তভোগীকে সমকামিতায় বাধ্য করে এবং সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে। পরে তারা হুমকি দেয়, বাকি টাকা না পেলে ভিডিওটি অনলাইনে ছেড়ে দেওয়া হবে। 

এর কিছুক্ষণ পর ভুক্তভোগীকে ছেড়ে দেয় দলটি। পরে স্থানীয় থানায় ও সেনাক্যাম্পে অভিযোগ করেন তিনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের মেজর রেফায়েত ওসমানের নেতৃত্বে সেনা ও পুলিশের যৌথ দল রংপুরের জুম্মাপাড়া সুইপার কলোনি এলাকা থেকে ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করে। 

কোতোয়ালি থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, গ্রেপ্তাররা আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 


 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার

আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১। 

শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।  

গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।

এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে র‌্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে। 

পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কক্সবাজারে অপহৃত রোহিঙ্গা উদ্ধার, আটক ৩
  • র‌্যাব পরিচয়ে অপহরণ: চক্রের মূল হোতা গ্রেপ্তার
  • কল্পনা চাকমার অপহরণের বিচার চেয়ে ফেরার পথে হামলার অভিযোগ, গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির নিন্দা
  • আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার