সিরাজগঞ্জে পানিতে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু
Published: 7th, March 2025 GMT
সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে ডোবার পানিতে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে।সম্পর্কে তারা মামাতো ও ফুপাতো বোন।
শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকেলে কাজীপুর উপজেলার মাইজবাড়ী ইউনিয়নের বিলচতল গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহতেরা হলো-বিলচতল গ্রামের হাফিজার রহমানের মেয়ে তন্নী (৮) হাফিজার রহমানের বোনের মেয়ে আনিকা (৮)।
নিহত তন্নীর চাচা আব্দুল বারিক বলেন, “দুপুরে তন্নী ও আনিকা বাড়ি পাশে স্তুপ করে রাখা বালুর ওপর খেলা করছিলো। এরপর থেকে তাদের আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। বিকেলে বালুর পাশে ডোবায় তাদের মরদেহ ভেসে উঠতে দেখে পরিবারকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।”
কাজীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আলম বলেন, “যমুনা নদী থেকে উত্তোলনকৃত বালু বিলচতল গ্রামের হাফিজার রহমানের বাড়ির পাশে স্তুপ করে রাখা ছিল। ওই বালুর ওপর খেলতে যায় তন্নী ও আনিকা। খেলার এক পর্যায়ে তারা ডোবার পানিতে নেমে ডুবে যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল।”
সিরাজগঞ্জ/অদিত্য/এসবি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
স্ত্রী-সন্তানসহ সাবেক অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামালের আয়কর নথি তলবের নির্দেশ
সাবেক অর্থমন্ত্রী আবু হেনা মোহাম্মদ মুস্তফা কামাল ওরফে লোটাস কামাল, তাঁর স্ত্রী কাশমিরি কামাল এবং তাঁদের দুই মেয়ে কাশফি কামাল ও নাফিসা কামালের আয়কর নথি তলবের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। দুদকের পৃথক চারটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর সিনিয়র জজ সাব্বির ফয়েজের আদালত আজ সোমবার এ আদেশ দেন।
দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ এ আবেদনগুলো করেন। পরে আদালত তা মঞ্জুর করেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা তানজির আহমেদ এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
লোটাস কামালের আয়কর নথি তলবের আবেদনে বলা হয়, লোটাস কামালের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে। তিনি অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করেছেন। তাঁর নামে ৩২টি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনক অর্থ লেনদেন করার অভিযোগটি তদন্তাধীন রয়েছে।
কাশমিরি কামালের আবেদনে বলা হয়, মুস্তফা কামাল অর্থমন্ত্রী থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে ৪৪ কোটি ১১ লাখ ৬২ হাজার ১৪৬ টাকা অর্জন করেছেন। এই অবৈধ সম্পদ তিনি তাঁর স্ত্রীর নামে দেখিয়েছেন। এ ছাড়া তাঁর নামে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খুলে উক্ত প্রতিষ্ঠান এবং নিজ নামে মোট ২০টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে মোট ২৯ কোটি ৭৩ লাখ ১০ হাজার ২০৭ টাকা হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরের মাধ্যমে সন্দেহজনক অসংখ্য লেনদেন করার অভিযোগটি তদন্তাধীন রয়েছে।
কাশফি কামালের আয়কর নথি তলবের আবেদনে উল্লেখ করা হয় যে মুস্তফা কামাল তাঁর অবৈধভাবে অর্জিত ৩১ কোটি ৭৮ লাখ ৮৩ হাজার ১৯৫ টাকা বৈধ করতে নিজ কন্যা কাশফি কামালের নামে দেখিয়েছেন। এ ছাড়া কাশফি কামালের নামে খোলা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ মোট ৩৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ১৮৭ কোটি ৪৮ লাখ ২৩ হাজার ৫৪৮ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে বিষয়টি তদন্তাধীন।
নাফিসা কামালের আবেদনে দাবি করা হয় যে মুস্তফা কামাল তাঁর অবৈধ ৬২ কোটি ৬৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫১৬ টাকা বৈধ করতে মেয়ে নাফিসা কামালের নামে স্থানান্তর করেছেন। এখানেও নাফিসা কামালের নামে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে। তাঁর নামে মোট ১৮টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ১৯৯ কোটি ২৩ লাখ ৪০ হাজার ৫৪৭ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে, যা নিয়ে তদন্ত চলছে।