চাঁদাবাজির মামলা করায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার ওপর ‘সমন্বয়কের’ ভাইয়ের হামলা
Published: 10th, March 2025 GMT
ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার ভাইটকান্দি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে পুলিশ ধরবে না—এমন কথা বলে ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে টাকা আদায়ের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলা করার পর গতকাল রোববার রাতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শফিউল আলমের ওপর হামলা করেছেন ‘সমন্বয়কের’ বড় ভাই।
শফিউল আলম ভাইটকান্দি ইউনিয়ন সখল্যা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শওকত আলীর ছেলে। তাঁকে পুলিশ ধরবে না—এমন শর্তে একই গ্রামের ‘সমন্বয়ক’ পরিচয় দেওয়া ওবায়দুল হক পাঁচ হাজার টাকা নেন। টাকা নেওয়ার ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে গতকাল অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শওকত আলী বাদী হয়ে ফুলপুর থানায় চাঁদাবাজির মামলা করেন।
আরও পড়ুনস্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকে পুলিশ ধরবে না—এমন কথা বলে সমন্বয়ক পরিচয়ে টাকা নেন যুবক০৮ মার্চ ২০২৫শফিউল আলম বলেন, ‘গতকাল রাত ৮টার দিকে সখল্যা মোড়ে একটি ফার্মেসির সামনে বেঞ্চে বসে ছিলাম। ওই সময় শাবল নিয়ে আমাকে হত্যার চেষ্টা করেন শহীদুল। এ সময় শহীদুলের সঙ্গে আমার ধস্তাধস্তি হয়। স্থানীয় লোকজন আসার পর তিনি পালিয়ে যান। পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।’
শফিউল আলম আরও বলেন, ‘টাকা নেওয়ার ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছিল। তা ডিলিট করার জন্য হুমকি দিতে থাকেন শহীদুল। কিন্তু আমি সেটি ডিলিট না করায় এবং কথিত সমন্বয়ক ওবায়দুলের বিরুদ্ধে আমার বাবা মামলা করায় আমার ওপর হামলা করা হয়।’
আরও পড়ুনময়মনসিংহে ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে টাকা আদায়ের ঘটনায় মামলা২০ ঘণ্টা আগেফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হাদি বলেন, টাকা আদায়ের ঘটনায় ওবায়দুল হকের বিরুদ্ধে গতকাল মামলা হয়েছে। ওই মামলার জেরে বাদীর ছেলেকে আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পায়। লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সমন বয়ক য় র ঘটন গতক ল
এছাড়াও পড়ুন:
লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল
১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।
১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।
১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।
মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।
বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।
আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।
কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।
ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি