সিরাজগঞ্জে ডাকাতের কবলে ৮ জামায়াত নেতা, টাকা-মোবাইল লুট
Published: 10th, March 2025 GMT
সিরাজগঞ্জে ডাকাতির শিকার হয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর রাজশাহী শাখার নেতারা। অস্ত্রের মুখে এসময় ৮১ হাজার টাকা ও ৭টি মোবাইল লুট করেছে ডাকাতদল।
গতকাল রোববার রাত ৯টার দিকে সিরাজগঞ্জের যমুনা সেতু পশ্চিম মহাসড়কের ঝাঔল এলাকায় এ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় রাতেই সিরাজগঞ্জ যমুনা সেতুর পশ্চিম থানায় একটি ডাকাতির মামলা করেছেন জেলা জামায়াতের শিক্ষা বিভাগের চেয়ারম্যান ড.
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন- যমুনা সেতু পশ্চিম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত (ওসি) আনারুল ইসলাম।
ডাকাতির শিকার জেলা জামায়াতের অন্য নেতারা হলেন, জেলা জামায়াতের কর্ম পরিষদ সদস্য ফারুক মো. ইসমাইল আলম, গোদাগাড়ী উপজেলা জামায়াতের শিক্ষা বিষয়ক সদস্য গোলাম মোস্তফা, গোদাগাড়ী উপজেলা জামায়াতের শিক্ষা বিষয়ক সদস্য শওকত আলী, চারঘাট উপজেলা জামায়াতের শিক্ষা বিভাগের সদস্য আজম আলী ও আশেক আব্দুর রহমান, বাঘা উপজেলা জামায়াতের শিক্ষা বিষয়ক সদস্য আবু হানিফ, পুঠিয়া উপজেলা জামায়াতের শিক্ষা বিষয়ক সদস্য আব্দুল আজিজ।
জেলা জামায়াতের কর্ম পরিষদ সদস্য ডাকাতির শিকার ফারুক মো. ইসমাইল আলম বলেন, ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে আমাদের একটি সংবাদ সম্মেলন ছিল। সেটি করে আমরা একটি মাইক্রোবাসে ফিরছিলাম। রাত সাড়ে ৮টার দিকে সিরাজগঞ্জ যমুনা সেতুর পশ্চিম থানা এলাকার ধান গবেষণাগারের সামনে গেলে ডাকাতরা ইট ছুড়ে মারে। কিন্তু আমাদের ড্রাইভার ভেবেছেন যে গাড়ির চাকা পাংচার হয়েছে। একারণে গাড়ি থামিয়ে চাকা দেখতে নামেন। এসময় ১০-১২ জন ডাকাত বড় বড় ছুরি ও হাসুয়া নিয়ে এসে আমাদের গলায় ধরে।
তিনি আরও বলেন, আমরা শুরুতেই বুঝতে পেরে তাদের বলেছি, কাউকে আঘাত করো না। তোমাদের যা প্রয়োজন নিয়ে যাও। এসময় তারা আমার কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকাসহ সবার কাছ থেকে মোট ৮১ হাজার টাকা, ৭টি মোবাইল নিয়ে নেয়। আমার মোবাইলটি গাড়ির সিটের পেছনে থাকায় সেটি রক্ষা পায়। যাওয়ার সময় তারা গাড়িতে রাখা দুটি ব্লেজার ছিল- সেগুলোও নিয়ে যায়।
তিনি জানান, ডাকাতদের বয়স ছিল ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। তাদের পরনে প্যান্ট শার্ট ছিল। একজন লুঙ্গি পরেছিল। এ ঘটনায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে যমুনা সেতুর পশ্চিম থানায় আমরা মামলা করেছি।
এ বিষয়ে যমুনা সেতুর পশ্চিম থানার ওসি আনারুল ইসলাম বলেন, ডাকাতদের পুলিশ আটক করতে পারেনি। পুলিশ তাদের চিহ্নিত করে আটক করার চেষ্টা করছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব ষয়ক সদস য স র জগঞ জ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
জেলা কৃষকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের আহ্বায়ক কমিটির নেতাদের বিরুদ্ধে একটি পক্ষের ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক ডা. শাহীন মিয়া।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক ডা. শাহীন মিয়া আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব আলম মিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক জুয়েল আরমান, ফজলু মেম্বার, মনির মল্লিক, শাহাদাত হোসেন, ওবায়দুর রহমান, শাহ আল বেপারী, সেলিম হোসেন দিপু।
সংবাদ সম্মেলনে শাহীন মিয়া বলেন, কোন চাঁদাবাজ, দখলবাজ ও স্বৈরাচারের দোসর এদের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র যেকোনো অঙ্গ সংগঠনের পদে থাকতে পারে না। নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সভাপতি হিসেবে আমার সংগঠনে যারা চাঁদাবাজ, দখলবাজ স্বৈরাচারের দোসর আমি তাদেরকে বহিষ্কার করেছি।
আওয়ামীলীগের সাথে শাহীনের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আনাদের ব্যাপারে পাল্টা তিনি বলেন, রূপগঞ্জ থানার সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলামকে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দোসর, দলীয় নেতাকর্মীদের নির্যাতন ও সাংগঠনিক দূর্বলতার কারণে তাকে ৩০ নভেম্বর ২০২৩ সালে সভাপতি পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এছাড়াও বিএনপির অসহযোগ আন্দোলনে নজরুলের কোন প্রকার সম্পৃক্ততা ছিল না। সে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসনামলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম হত্যা মামলার আসামি রূপগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সালাউদ্দিনের যোগসাজসে রূপগঞ্জ ইউনিয়নের একাধিক মৌজার আবাদী জমিতে বালি ভরাট করে সাধারণ কৃষকের দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি করেছিল।
এছাড়াও অসহায় ও সাধারন মানুষের বসতবাড়ি সহ জবরদখল করে নেয় তারা। নজরুল দোসরদের আস্থাভাজন হওয়ার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের উপর বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় নির্যাতন করেছিল। এভাবে বিগত ১৭ বছরে স্বৈরাচার সরকারের আস্থাভাজন হয়ে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন এই নজরুল। সে হলো মৌসুমী পাখি।
তিনি বলেন, ১৭ টি বছর জুলুম নির্যাতন সহ্য করে এই নারায়ণগঞ্জে কৃষক দলকে হাতের মুঠোয় রেখেছি আজ সেই কৃষক দলের ভাবমূতি ক্ষুন্ন করতে এই নজরুল স্বৈরাচারের সাথে হাত মিলিয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠনের মানহানি করেছে।
আমি এরই মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং তার বিরুদ্ধে কৃষক দলের কেন্দ্রীয় পর্যায়ে থেকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। বিষয়টি আমি আমার হাইকমান্ডকে অবগত করেছি।
তিনি আরও বলেন, রূপগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি সার্জন মোমেনকে চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও দলীয় শৃংখল বঙ্গের দায়ে ১০ই এপ্রিল সভাপতি পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। সে বিগত সতেরো বছর নেতাকর্মীদের নির্যাতন করে নিজের স্বার্থ হাসিল করেছে। ৫ ই আগস্টের পর ৪০ বিঘা জমির উপর মাছের প্রজেক্ট দখল করে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন মোমেন।
স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সময় সে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেছেন তার নিজের জন্য। এখনো সে এলাকায় সাধারণ মানুষকে মামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করছে এর যথেষ্ট প্রমাণ আমার কাছে এসেছে এবং অনেক সাধারণ মানুষ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে। যে সমস্ত মানুষ কোন দল করে না দল বুঝেনা। এ সমস্ত অভিযোগের কারণে তাকে তার পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে নজরুলসহ কৃষকদলের বেশ কয়েকজন নেতা সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় শাহীনের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের লোকজনকে টাকার বিনিময়ে পুনর্বাসনসহ বেশ কিছু অভিযোগ আনেন তারা।