সিরাজগঞ্জে ডাকাতির শিকার হয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর রাজশাহী শাখার নেতারা। অস্ত্রের মুখে এসময় ৮১ হাজার টাকা ও ৭টি মোবাইল লুট করেছে ডাকাতদল।

গতকাল রোববার রাত ৯টার দিকে সিরাজগঞ্জের যমুনা সেতু পশ্চিম মহাসড়কের ঝাঔল এলাকায় এ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় রাতেই সিরাজগঞ্জ যমুনা সেতুর পশ্চিম থানায় একটি ডাকাতির মামলা করেছেন জেলা জামায়াতের শিক্ষা বিভাগের চেয়ারম্যান ড.

মো: ওবায়দুল্লাহ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন- যমুনা সেতু পশ্চিম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত (ওসি) আনারুল ইসলাম।

ডাকাতির শিকার জেলা জামায়াতের অন্য নেতারা হলেন, জেলা জামায়াতের কর্ম পরিষদ সদস্য ⁠ফারুক মো. ইসমাইল আলম, গোদাগাড়ী উপজেলা জামায়াতের শিক্ষা বিষয়ক সদস্য ⁠গোলাম মোস্তফা, গোদাগাড়ী উপজেলা জামায়াতের শিক্ষা বিষয়ক সদস্য ⁠শওকত আলী, চারঘাট উপজেলা জামায়াতের শিক্ষা বিভাগের সদস্য ⁠আজম আলী ও ⁠আশেক আব্দুর রহমান, বাঘা উপজেলা জামায়াতের শিক্ষা বিষয়ক সদস্য ⁠আবু হানিফ, পুঠিয়া উপজেলা জামায়াতের শিক্ষা বিষয়ক সদস্য আব্দুল আজিজ।

জেলা জামায়াতের কর্ম পরিষদ সদস্য ডাকাতির শিকার ⁠ফারুক মো. ইসমাইল আলম বলেন, ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে আমাদের একটি সংবাদ সম্মেলন ছিল। সেটি করে আমরা একটি মাইক্রোবাসে ফিরছিলাম। রাত সাড়ে ৮টার দিকে সিরাজগঞ্জ যমুনা সেতুর পশ্চিম থানা এলাকার ধান গবেষণাগারের সামনে গেলে ডাকাতরা ইট ছুড়ে মারে। কিন্তু আমাদের ড্রাইভার ভেবেছেন যে গাড়ির চাকা পাংচার হয়েছে। একারণে গাড়ি থামিয়ে চাকা দেখতে নামেন। এসময় ১০-১২ জন ডাকাত বড় বড় ছুরি ও হাসুয়া নিয়ে এসে আমাদের গলায় ধরে।

তিনি আরও বলেন, আমরা শুরুতেই বুঝতে পেরে তাদের বলেছি, কাউকে আঘাত করো না। তোমাদের যা প্রয়োজন নিয়ে যাও। এসময় তারা আমার কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকাসহ সবার কাছ থেকে মোট ৮১ হাজার টাকা, ৭টি মোবাইল নিয়ে নেয়। আমার মোবাইলটি গাড়ির সিটের পেছনে থাকায় সেটি রক্ষা পায়। যাওয়ার সময় তারা গাড়িতে রাখা দুটি ব্লেজার ছিল- সেগুলোও নিয়ে যায়।

তিনি জানান, ডাকাতদের বয়স ছিল ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। তাদের পরনে প্যান্ট শার্ট ছিল। একজন লুঙ্গি পরেছিল। এ ঘটনায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে যমুনা সেতুর পশ্চিম থানায় আমরা মামলা করেছি।

এ বিষয়ে যমুনা সেতুর পশ্চিম থানার ওসি আনারুল ইসলাম বলেন, ডাকাতদের পুলিশ আটক করতে পারেনি। পুলিশ তাদের চিহ্নিত করে আটক করার চেষ্টা করছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব ষয়ক সদস য স র জগঞ জ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

নরসিংদীতে বিএনপি-ছাত্রদল সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৩

নরসিংদীর পলাশে শোডাউনকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ইসমাইল হোসেন (২৬) নামে এক ছাত্রদল কর্মী গুলিবিদ্ধসহ তিন জন আহত হয়েছেন।

রবিবার (১৫ জুন) রাতে উপজেলার বিএডিসি মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ ইসমাইল হোসেন উপজেলা ছাত্রদলের কর্মী ও ঘোড়াশাল পৌর এলাকার খানেপুর মহল্লার আব্দুর রহিমের ছেলে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিকেলে উপজেলা ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিট পলাশ বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে শোডাউনের উদ্দেশে একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি বিএডিসি মোড় এলাকায় গেলে বিপরীত দিক থেকে আসা জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েলের নেতৃত্বে তার সমর্থকদের একটি শোডাউনের মুখোমুখি হয়। এসময় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন ছাত্রদল কর্মী ইসমাইল হোসেন ও বিএনপি নেতা ফজলুল কবির জুয়েলসহ আরো একজন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের মধ্যে ছাত্রদল কর্মী ইসমাইলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও বিএনপি নেতা ফজলুল কবির জুয়েলকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২ পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০

বাগেরহাটে বিএনপির সম্মেলনে ২ পক্ষের সংঘর্ষ

পলাশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, ‘‘জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েল নির্বাচনি এলাকায় শোডাউন করতে যান। এসময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হলে তিন জন আহত হন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’’

ঢাকা/হৃদয়/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যশোরে ধর্ষণের শিকার সেই শিশুটিকে চিকিৎসা সহায়তা দিলেন তারেক রহমান  
  • নরসিংদীতে বিএনপি-ছাত্রদল সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৩