বুয়েটে ভর্তির সুযোগ পাওয়া সিরাজগঞ্জের শান্ত বিশ্বাসের পাশে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’
Published: 10th, March 2025 GMT
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ভর্তির সুযোগ পাওয়া সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার মেধাবী শিক্ষার্থী শান্ত বিশ্বাসের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে ‘আমরা বিএনপি পরিবারের’ একটি প্রতিনিধিদল। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় সাক্ষাৎকালে দরিদ্র পরিবারের এই মেধাবী শিক্ষার্থীকে প্রতি মাসে মাসিক শিক্ষা ভাতা প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয়।
‘আমরা বিএনপি পরিবারের’ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ‘আমরা বিএনপি পরিবারের’ প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের নির্দেশনায় শান্ত বিশ্বাসের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে একটি প্রতিনিধিদল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ‘আমরা বিএনপি পরিবারের’ আহ্বায়ক ও বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান (রুমন), সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রুমানা মাহমুদ, ‘আমরা বিএনপি পরিবারের’ সদস্যসচিব মোকছেদুল মোমিন, সিরাজগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল কায়েস, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি জামিল হোসেন, মিরপুর থানা বিএনপি নেতা শাকিল মোল্লা প্রমুখ।
আরও পড়ুনবুয়েট ও কুয়েটে ভর্তির সুযোগ পেয়েও অর্থাভাবে ভর্তি ও পড়ালেখা অনিশ্চিত শান্ত বিশ্বাসের১৪ ঘণ্টা আগেএ সময় আতিকুর রহমান বলেন, “‘আমরা বিএনপি পরিবারের’ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে শান্ত বিশ্বাস ও তার বাবার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছি। তারেক রহমান একটি দৈনিক পত্রিকায় শান্ত বিশ্বাসের সংবাদ দেখে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে ও শুভকামনার বার্তা পৌঁছে দিতে আমাদের পাঠিয়েছেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মেধাবী ছাত্র শান্ত বিশ্বাসের ভবিষ্যৎ আরও সাফল্য কামনা করেছেন। প্রতি মাসে মাসিক শিক্ষা ভাতা দেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, শান্ত বিশ্বাস কামারখন্দ উপজেলার গোপালপুর গ্রামের কল্পনা বিশ্বাস ও জয়কৃষ্ণ বিশ্বাস দম্পতির ছেলে। দুই ভাইবোনের মধ্যে শান্ত বড়। ছোট বোন তৃষ্ণা বিশ্বাস স্থানীয় চৌবাড়ী ইসলামিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
জয়কৃষ্ণ বিশ্বাস বাড়িতে শিঙাড়া তৈরি করে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বিক্রি করেন। মা বাড়িতে সুতা কেটে যে টাকা আয় করেন, তা দিয়েই কোনোমতে চলে তাঁদের সংসার। অভাবের সংসারে কষ্ট করে পড়ালেখা করে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন শান্ত। কিন্তু অর্থাভাবে তাঁর ভর্তি ও পড়ালেখা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
এ নিয়ে সোমবার প্রথম আলো অনলাইনে ‘বুয়েট ও কুয়েটে ভর্তির সুযোগ পেয়েও অর্থাভাবে ভর্তি ও পড়ালেখা অনিশ্চিত শান্ত বিশ্বাসের’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স র জগঞ জ পর ব র র রহম ন ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক
ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।
বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।