“সাংগঠনিক নিয়ম বিরোধী কার্যক্রমের দায় যুবদল নিবে না”
Published: 11th, March 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ মহানগরের আওতাধীন জাতীয়তাবাদী যুবদলের সকল পর্যায়ের নেতা কর্মীদের সদয় অবগতির জন্য আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল ও সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ জানান, যুবদল নেতাকর্মীদের কোন প্রকার সাংগঠনিক নিয়ম বিরোধী কার্যক্রম, উশৃঙ্খল আচরণ ও দুষ্কর্মের দায় সংগঠন নিবে না।
কোন ব্যক্তি বিশেষ কোন প্রকার অপকর্মে লিপ্ত হইলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহনের পাশাপাশি প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হইবে।
মঙ্গলবার ( ১১ মার্চ) নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক (দপ্তরে সংযুক্ত) সাইফুল আলম সজীব স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয় - যুবদলের পরিচয় ব্যবহার করে যে সকল ব্যক্তিবর্গ বিভিন্ন প্রকার ফেস্টুন, ব্যানার, পোষ্টার লাগিয়েছেন এবং কেন্দ্রীয় যুবদলের নির্দেশনার পরেও উক্ত ফেস্টুন ব্যানার ও পোষ্টার অপসারন করেননি সে সকল ব্যক্তিবর্গ অত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে নিজ দায়িত্বে উক্ত ব্যানার, ফেস্টুন অথবা পোষ্টার অপসারন করিবেন।
ভবিষ্যতে ব্যানার, ফেস্টুন অথবা পোষ্টার করার প্রয়োজন হইলে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল ও সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ এর অনুমতিক্রমে উক্ত ব্যানার, ফেস্টুন অথবা পোষ্টার করার জন্য নির্দেশ প্রদাণ করা হইল। ইহার ব্যত্যয় ঘটিলে কোন প্রকার কারণ দর্শানো ব্যাতীত কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হইবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: য বদল ন র য়ণগঞ জ য বদল র গঠন ক
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।