পাবনার চাটমোহরে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল নেতাসহ দু’জনের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের শ্রীধরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে রাতেই থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

অভিযুক্ত দুজন হলেন- হরিপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও একই ইউনিয়নের তেবাড়িয়া মোল্লাপাড়া গ্রামের তোজাম্মেল হোসেন তজুর ছেলে রতন হোসেন। একই গ্রামের মহসিন হোসেনের ছেলে মামুন হোসেন।

ভুক্তভোগী ছাত্রী ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে রতন ও মামুনসহ বেশ কয়েকজন বিরক্ত করত স্কুলছাত্রীকে। এ ছাড়া নানারকম কুপ্রস্তাব দিত। এতে ওই স্কুলছাত্রী সাড়া না দেওয়ায় মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে তিন-চারটি মোটরসাইকেলে রতন-মামুনসহ বেশ কয়েকজন ওই স্কুলছাত্রীর বাড়িতে যান। এ সময় তারা দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে এবং ওই স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তারা। পরে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে তারা ঘরে ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা চালায়। এ সময় ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা ও স্বজনরা নামাজ আদায়ে স্থানীয় মসজিদে ছিলেন। পরে ওই স্কুল ছাত্রী ও তার মায়ের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যান। 

এ বিষয়ে হরিপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি রাহাত হোসেন বলেন, ‘অভিযুক্ত রতন হরিপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক। ঘটনার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা চাই, দোষী ব্যক্তির বিচার হোক।’

এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফুলচাঁদ হোসেন বলেন, বিষয়টি জেলার নেতাদের জানানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল আলম বলেন, মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প বন ছ ত রদল ন ত ছ ত রদল র ওই স ক ল

এছাড়াও পড়ুন:

পটিয়ায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার

চট্টগ্রামের পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকার একটি দোকান থেকে নুরুল আবছার (২৭) নামের এক ব্যবসায়ীকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায় একদল মুখোশধারী ব্যক্তি। আজ বুধবার সকাল সাতটায় তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পুলিশের তৎপরতায় সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি ছাড়া পান।

উদ্ধারের পর পটিয়া থানা প্রাঙ্গণে অপহরণের শিকার নুরুল আবছার প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ব্যাংকে চাকরি করতেন। সম্প্রতি তাঁর চাকরি চলে যায়। এরপর পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকার সাহিত্য বিশারদ সড়কে মুরগির দোকান দেন। প্রতিদিনের মতো আজ সকালে দোকান খোলেন তিনি। এ সময় তিন থেকে চারজন মুখোশধারী লোক ধারালো অস্ত্রের মুখে তাঁকে ধরে অটোরিকশায় উঠিয়ে নিয়ে যায়। তারা তাঁর পকেটে থাকা ৪০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। পরে আরও ৪ লাখ টাকা দাবি করে, পরে ১৭ লাখ এনে দিতে বলেন। তাঁকে চন্দ্র কালারপোল নামের নির্জন এলাকায় নিয়ে অপহরণকারীরা তাঁকে মারধরের পাশাপাশি ছুরিকাঘাতও করেন।

পটিয়া থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ চন্দ্র দে প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত তাঁকে উদ্ধারের তৎপরতায় নামে। পরে চন্দ্র কালারপোল এলাকায় পুলিশ গেলে উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়।

পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান জানান, ব্যবসায়ীকে অপহরণ করার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরে তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পটিয়ায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার