স্কুলছাত্রী অপহরণ ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা, আসামি ছাত্রদল নেতাসহ ২
Published: 12th, March 2025 GMT
পাবনার চাটমোহরে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল নেতাসহ দু’জনের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের শ্রীধরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে রাতেই থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত দুজন হলেন- হরিপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও একই ইউনিয়নের তেবাড়িয়া মোল্লাপাড়া গ্রামের তোজাম্মেল হোসেন তজুর ছেলে রতন হোসেন। একই গ্রামের মহসিন হোসেনের ছেলে মামুন হোসেন।
ভুক্তভোগী ছাত্রী ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে রতন ও মামুনসহ বেশ কয়েকজন বিরক্ত করত স্কুলছাত্রীকে। এ ছাড়া নানারকম কুপ্রস্তাব দিত। এতে ওই স্কুলছাত্রী সাড়া না দেওয়ায় মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে তিন-চারটি মোটরসাইকেলে রতন-মামুনসহ বেশ কয়েকজন ওই স্কুলছাত্রীর বাড়িতে যান। এ সময় তারা দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে এবং ওই স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তারা। পরে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে তারা ঘরে ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা চালায়। এ সময় ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা ও স্বজনরা নামাজ আদায়ে স্থানীয় মসজিদে ছিলেন। পরে ওই স্কুল ছাত্রী ও তার মায়ের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যান।
এ বিষয়ে হরিপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি রাহাত হোসেন বলেন, ‘অভিযুক্ত রতন হরিপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক। ঘটনার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা চাই, দোষী ব্যক্তির বিচার হোক।’
এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফুলচাঁদ হোসেন বলেন, বিষয়টি জেলার নেতাদের জানানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল আলম বলেন, মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প বন ছ ত রদল ন ত ছ ত রদল র ওই স ক ল
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।