বাড্ডায় ‘সিনিয়র–জুনিয়র দ্বন্দ্বের জেরে’ আহত তরুণের মৃত্যু, গ্রেপ্তার ৩
Published: 13th, March 2025 GMT
রাজধানীর বাড্ডায় ছুরিকাঘাতে আহত তরুণ মো. তানভীর (২২) আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। তিনি বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন।
পুলিশ ও নিহত তানভীরের পরিবারের সদস্যরা বলেছেন, সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বের জেরে তানভীরকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল। তানভীর ছিলেন জুনিয়র গ্রুপের সদস্য। ওই ঘটনায় করা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তানভীরকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন তাঁর বাবা সাহাদুল্লাহ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তিনি সপরিবার বাড্ডা কবরস্থান এলাকায় থাকেন। তানভীর তাঁদের সঙ্গেই থাকতেন। গতকাল রাতে তানভীর কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে আবার বাইরে বের হন। বাসার কাছে স্থানীয় সিনিয়র গ্রুপের ছয়-সাতজন সদস্য পূর্বশত্রুতার জেরে তানভীরের পিঠে এলোপাতাড়ি ছুরি মেরে তার কাছ থেকে মুঠোফোন ও মাসিক বেতনের ১০ হাজার টাকা নিয়ে রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় তানভীরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকাল ৯টার দিকে মারা যান বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক মো.
আজ সকালে বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বের জেরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রাতে তানভীরের বাবা সাহাদুল্লাহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. হাসানুর রহমান বলেন, মামলা হওয়ার পর গতকাল রাতেই বাড্ডার কবরস্থান এলাকায় অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত শাওন, হাবিব ও স্বাধীনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গৌরনদী থানার ওসি-এসআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা
এক লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগে গৌরনদী মডেল থানার ওসি ইউনুস মিয়া ও উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী এক নারী। বরিশাল সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে আজ মঙ্গলবার মামলাটি দায়ের করেন গৌরনদীর বাটাজোর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আজাদ সরদারের স্ত্রী সুমা বেগম।
অভিযোগকারীর আইনজীবী নাজিম উদ্দীন আহমেদ পান্না এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলাটি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী নারী মামলায় অভিযোগ করেছেন, গত ১১ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয় কতিপয় দুর্বৃত্তরা তার (সুমা) শ্বশুরবাড়ির পাকা কবরস্থান ভাঙচুর করে ও দখলের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় বাদী জরুরি সেবা ৯৯৯- এ কল করলে থানার এসআই নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে যান। তবে নজরুল ইসলাম ভুক্তভোগী সুমা বেগমসহ মামলার তিনজন সাক্ষীকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। ওসি এবং এসআই আটককৃতদের ছেড়ে দিতে সুমা বেগমের কাছে এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। টাকা দিকে অপরাগতা প্রকাশ করায় মামলায় জড়ানোর হুমকি দেন ওসি এবং এসআই। ওইদিন রাত নয়টার পর থানা হেফাজত থেকে বাদী ও মামলার তিনজন সাক্ষীকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ওসি এবং এসআই মামলার বাদী ও তিন সাক্ষীকে দীর্ঘসময় থানায় আটকে রাখার সুযোগে দুর্বৃত্তরা কবরস্থান ভাঙচুর করে দখল করতে পেরেছে। বাদীর দায়ের করা এজাহার থানায় মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়নি। এ ঘটনায় বাদী সুমা বেগম গত ১৩ এপ্রিল দুর্নীতি দমন কমিশনের বরিশাল কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিলে কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া বলেন, ‘ঘুষ দাবির কোনো ঘটনা সেদিন ঘটেনি। একটি কু-চক্রী মহলের প্ররোচনায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।