সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে এক কিশোরকে (১২) গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। পাবনার বেড়ায় মামার বাড়ি থেকে শুক্রবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সিরাজগঞ্জ ডিবি পুলিশের ওসি একরামুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তাকে কিশোর শোধনাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলে ওসি জানান।

বৃহস্পতিবার রাতে ভুক্তভোগী শিশুর বাবা বাদী হয়ে রায়গঞ্জ থানায় মামলা করেছেন বলে জানান রায়গঞ্জ থানার ওসি মো.

আসাদুজ্জামান। 

জানা গেছে, গত রোববার সকালে ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি জানাজানি হয় বুধবার। মাঝে চারদিন সালিশের নামে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয় বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে শিশুটিকে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বজন। বাড়ির পাশে এনজিওর মাধ্যমে পরিচালিত একটি স্কুলে সাত বছর বয়সী শিশুটি পড়াশোনা করে। স্কুলঘরের মালিকের স্ত্রী সেখানে শিক্ষকতা করেন। 

মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন সকালে স্কুলে এলে শিক্ষিকার ছেলে শিশুটিকে আরেকটি ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর শিশুটি ঘটনা জানালেও স্বজনরা থানায় না জানিয়ে বিষয়টি গোপন রাখে। বিষয়টি জানাজানি হলে কিশোরসহ পরিবারের সদস্যরা পাবনার বেড়ায় গা-ঢাকা দেয়। এরপর ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।


 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স র জগঞ জ ব ষয়ট

এছাড়াও পড়ুন:

পটুয়াখালীতে সৎমা ও দাদিকে গলা কেটে হত্যা

পটুয়াখালীতে কুলসুম বেগম ও মোসা. সাহিদা বেগম নামের দুই নারীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক তরুণের বিরুদ্ধে। আজ শুক্রবার বেলা একটার দিকে সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের চারাবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত আল আমিন (২৭) সম্পর্কে নিহত সাহিদা বেগমের সৎছেলে এবং বৃদ্ধা কুলসুম বেগমের নাতি। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক। পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহত দুই নারীর স্বজন মো. আশ্রাফ খাঁ জানান, আল আমিন দীর্ঘদিন ধরে অস্বাভাবিক চলাফেরা করছেন। এরপর তাঁর পরিবার তাঁকে মানসিক হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। দুপুরে আল আমিনের বাবা রাজ্জাক খাঁ পাশের একটি মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে গেলে আল আমিন দা দিয়ে গলা কেটে তাঁর সৎমা সাহিদা বেগম ও বৃদ্ধ দাদি কুলসুম বেগমকে হত্যা করেন।

বাহাদুর আলম খাঁ (৫০) নামের এক আত্মীয় বলেন, নিহত সাহিদা সম্পর্কে তাঁর চাচিশাশুড়ি এবং কুলসুম বেগম দাদিশাশুড়ি। দুপুরে বাড়ির সবাই জুমার নামাজ পড়তে গেলে মানসিক ভারসাম্যহীন ছোট ছেলে আল আমিন রান্নার কাজে ব্যবহৃত ধারালো দা দিয়ে প্রথমে সৎমা এবং পরে দাদিকে গলা কেটে হত্যা করেন। তিনি বলেন, আল আমিন মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করে পটুয়াখালী সরকারি কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। এরপর তিন বছর আগে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতে যান। সেখান থেকে বাড়িতে ফিরে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করেন। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে চিকিৎসক দেখালেও সুস্থ হননি।

পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইমতিয়াজ আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, দুই নারীকে হত্যার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। হত্যাকাণ্ড ঘটানো ব্যক্তি ওই পরিবারের সদস্য। ঘটনার পর মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। জড়িত তরুণ এখন পলাতক। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন কি না, তদন্ত করে দেখা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অ্যান্টার্কটিকায় বিরল স্কুইডের সন্ধান
  • পানিতে ভাসছিল ২২ দিনের শিশুর মৃতদেহ, ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন মা
  • বাঁধন কাঁদলেন, কিন্তু কেন...
  • মামাত বোনকে ধর্ষণ-হত্যা করে নিখোঁজের গল্প সাজায় নয়ন: পুলিশ
  • আমাদের যত ঘুঘু 
  • বাউন্ডারি সীমানায় ক্যাচের নিয়ম পাল্টাচ্ছে এমসিসি
  • কমিটি নেই, সবাই নেতা
  • কোরবানির গরু কেনার আড়াই লাখ টাকা ছিনিয়ে নিতে ব্যবসায়ী জাকিরকে হত্যা করা হয়
  • শ্রীলঙ্কা পৌঁছেছেন মিরাজ-শান্তরা
  • পটুয়াখালীতে সৎমা ও দাদিকে গলা কেটে হত্যা