পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় ইভটিজিংয়ের অভিযোগে রেজাউল গাজী (৪০) নামে এক অটোরিকশাচালকের মাথা ন্যাড়া করে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে পৌর শহরের এতিমখানা চৌরাস্তা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। 

রেজাউল গাজীর বাড়ি কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের অঞ্জুপাড়া গ্রামে। 

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রেজাউল গাজী প্রায় দুই বছর ধরে কলাপাড়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়-সংলগ্ন সড়ক দিয়ে যাতায়াতের সময় শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সী নারীদের উত্যক্ত করার পাশাপাশি অশালীন অঙ্গভঙ্গি করতেন। শুক্রবার রাতে বিক্ষুব্ধ জনতা তাকে মারধর করার পর মাথা ন্যাড়া করে দেয়। এ সময় স্থানীয় কয়েকজনের অনুরোধে তাকে পুলিশে সোপর্দ না করে ছেড়ে দেওয়া হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা কল্পনা বেগম বলেছেন, “রেজাউল গাজী প্রায় দুই বছর যাবত স্কুলে যাতায়াতের সময় শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন নারীদের উত্যক্ত এবং অশালীন অঙ্গভঙ্গি করছিল। আজ দুপুরে আমার এক বোনের মেয়ের সামনে অশালীন ভঙ্গি করেছে। এর আগেও একই রকম অঙ্গভঙ্গির কারণে এলাকার নারীরা প্রতিবাদ করলে তাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় রেজাউল। এলাকার সবাই শুক্রবার রাতে তাকে ধরে ন্যাড়া করে দিয়েছে।” 

একই এলাকার আরেক বাসিন্দা রুমা বেগম বলেন, “আমার সঙ্গে কয়েকদিন আগে ওই যুবক অশালীন অঙ্গভঙ্গি করেছে। আমি প্রতিবাদ করলে সে আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।”

কলাপাড়া থানার ওসি জুয়েল ইসলাম জানিয়েছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা/ইমরান/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জ উল গ জ কল প ড়

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ