সিরাজগঞ্জ শহরে ধসে পড়া দেয়ালের নিচে চাপা পড়ে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও তিন শ্রমিক। শনিবার সকালে শহরের শাহেদনগর ব্যাপারীপাড়ায় ড্রেন নির্মাণের জন্য গর্ত করা হলে পাশের দেয়াল ধসে এ ঘটনা ঘটে। হতাহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।  
 
সিরাজগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আব্দুর রহমান জানান, ড্রেন নির্মাণের শ্রমিকরা পাঁচ ফুট মাটির নিচে খননের কাজ করছিলেন। এ সময় পাশে থাকা বাড়ির ৬ থেকে ৭ ফুট উঁচু একটি দেয়াল ধসে পড়ে। পাঁচ শ্রমিক নিচে চাপা পড়েন। ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সহায়তায় দেয়াল সরিয়ে তাদের উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসকরা দুইজনকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসার জন্য বগুড়ায় পাঠানো হয়।   

সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, নিহত একজনের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। আরেকজনের মরদেহ স্বজনরা বাড়ি নিয়ে গেছে। হতাহতদের পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দ য় ল ধস ম ত য স র জগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ