জীবন আমাদের ডাকছে দায়িত্ব গ্রহণ করার জন্য: সলিমুল্লাহ খান
Published: 16th, March 2025 GMT
প্রায় ৫০ বছর আগে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র হিসেবে ভর্তি হয়েছিলাম। এ থেকেই আমার বয়স সম্পর্কে আপনারা খানিকটা আন্দাজ করতে পারবেন। নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের গল্প দিয়েই একটু শুরু করি।
১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত মাত্র একবার বাংলায় সমাবর্তন বক্তৃতা দেওয়া হয়। বাকিগুলো ছিল ইংরেজিতে। ১৯৭০ সালে তৎকালীন বিচারপতি আবু সাইদ চৌধুরী প্রথমবার তাঁর সমাবর্তন বক্তৃতা বাংলায় দেন। এই দুঃখের কথা বলার একটা কারণ আছে। মিস নাদিয়া অনোয়ারকে (এআইইউবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য) ধন্যবাদ, তিনি আমাকে বাংলায় বলার আদেশ দিয়েছেন বলাই ভালো। নাদিয়া হয়তো মনে করেছেন, তাহলেই আমি হয়তো খানিকটা বলতে পারব। আমার ইংরেজির জ্ঞান সম্পর্কে তাঁর হয়তো সন্দেহ আছে। (হাসি)
কিন্তু সমস্যা হলো, আমি কোনো দিন সমাবর্তন বক্তৃতা করিনি। কোনো সমাবর্তনে হাজিরও ছিলাম না। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত ঢাবিতে কোনো সমাবর্তন হয়নি। আমি ছাত্র হিসেবে তখন বিদেশে ছিলাম। তাই নিজের ডিগ্রি তখন গ্রহণ করতে পারিনি।
যাঁরা উপস্থিত থেকে হাতে ডিগ্রি নিলেন, তাঁরা সৌভাগ্যবান। আমি মার্কিন এক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়েছিলাম, তাই আপনাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম দেখে আমার কৌতূহল হয়। আমি যুক্তরাষ্ট্রের ‘নিউ স্কুল ফর সোশ্যাল রিসার্চ’–এ উচ্চতর ডিগ্রি নেওয়ার সময় থিসিস ডিফেন্স দেওয়ার চার দিন পরই দেশে চলে আসি। ফলে সেখানেও আমি ডিগ্রি গ্রহণের অনুষ্ঠানে হাজির থাকতে পারিনি। সে জন্য আপনাদের আন্তরিক মোবারকবাদ।
আরও পড়ুননর্থ সাউথের উপাচার্য: সবাইকে একই স্কেলে মাপার দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে২৭ অক্টোবর ২০২৪কায়রোতে একটি বিশ্ববিদ্যালয় আছে আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব কায়রো, বৈরুতে আছে আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব বৈরুত। এগুলো ঊনবিংশ শতাব্দীতে তৈরি হয়েছিল আরব দেশের পরিবেশে আমেরিকার জাগতিক শিক্ষা, ইহলৌকিক শিক্ষা দেওয়ার জন্য। সেটা দিয়ে আরব জাতির অনেক উপকার তাঁরা করেছেন।
তবে মার্কিন দেশ আর বাংলাদেশের সমাজ যে এক সমাজ নয়, তাদের পার্থক্য যে যোজন যোজন দূরত্বব্যাপী, মহাসাগর পরিমাণ, সেটা আপনারা সবাই জানেন। তাদের সঙ্গে তুলনা করে সময় নষ্ট করব না।
সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লেখক ও অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আম র ক
এছাড়াও পড়ুন:
মুশফিকের প্রেমকাহিনির মঞ্চে ম্যাথুসের বিদায়ী সুর
* শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৬ টেস্টে বাংলাদেশের একটাই জয়। সেটি আবার শ্রীলঙ্কাতে। সেই জয় বাংলাদেশের শততম টেস্টে বলে আপনার তা খুব ভালোমতোই মনে থাকার কথা।
* টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ৬০০ ছাড়ানো একমাত্র স্কোরটি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সেটিও শ্রীলঙ্কাতে।
* টেস্টে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। হ্যাঁ, হ্যাঁ, সেটিও শ্রীলঙ্কাতেই।
শেষ দুটি আবার একে অন্যের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। দুটি একই টেস্টে। ২০১৩ সালে যে টেস্টে বাংলাদেশের ৬৩৮, সেটিতেই মুশফিকুর রহিমের ডাবল সেঞ্চুরি। টানা ১২ টেস্টে হারার পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ড্র-ও।
এই পুরোনো প্যাচাল খুব বেশি অপ্রাসঙ্গিক লাগবে না, যখন জানবেন ওই টেস্টটা হয়েছিল গল ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। পশ্চাৎপটে অতিকায় গল ফোর্টের পাথুরে কাঠামো আর দুই পাশে সাগর মিলিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর স্টেডিয়ামের একটি। ২০০৪ সালে সুনামিতে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়ার পর পুনর্জন্ম নেওয়া গলের সেই মাঠেই আজ শুরু বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা প্রথম টেস্ট। শুরু আসলে তিন ধরনের ক্রিকেটেই একে অন্যের নাড়ি-নক্ষত্র বুঝে নেওয়ার লড়াই। যাতে টেস্ট আছে, ওয়ানডে আছে, আছে টি-টোয়েন্টিও। দুই টেস্টের পর সাদা বলের সিরিজে তিনটি করে ম্যাচ।
আরও পড়ুনআমিনুল ইসলাম বুলবুলকে চিনতে হলে এই লেখাটা পড়তে হবে০২ জুন ২০২৫দুই দল পরস্পরের খুব চেনা। বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ২৬টি টেস্ট খেলেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ঘন ঘন দেখা হলে হৃদ্যতা যেমন হয়, তেমনি রেষারেষিও। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। গত কয়েক বছরে এই দুই দল মুখোমুখি হলেই মাঠে বা মাঠের বাইরে উত্তেজনার ফুলকি ছুটেছে। ‘টাইমড আউট’ হয়তো সেটির এক নম্বরে, এর বাইরেও নানা কিছু মিলে লঙ্কা-বাংলা এখন গনগনে এক দ্বৈরথের নাম।
গত চার বছর দুই দলের মধ্যে চতুর্থ টেস্ট সিরিজ। দুই দলের জন্যই রণকৌশল ঠিক করা তাই খুব সহজ হওয়ার কথা। বাংলাদেশ দলের জন্য হয়তো তা থাকছে না শ্রীলঙ্কা দলে নতুনের সমারোহে। ১৮ জনের দলের এক–তৃতীয়াংশই এখনো টেস্ট খেলার অপেক্ষায়। বাংলাদেশ দলেও কিছু পরিবর্তন আছে, তবে তা ধর্তব্যের মধ্যে নয়।
টেস্টের প্রস্তুতিতে গলে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল