গতি বাড়াতে নতুন রান আপের চেষ্টা তানজিমের
Published: 16th, March 2025 GMT
বাংলাদেশ জাতীয় দলের পেসার তানজিম সাকিব বলের গতি বাড়াতে নতুন রান আপ নিয়ে কাজ করছেন। তাকে নতুন রান আপ নিয়ে সহায়তা করছেন জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।
জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ করা স্থানীয় এই কোচ মনে করেন, নতুন রান আপে তানজিম মানিয়ে নিতে পারলে তার বলের গতি ঘণ্টায় ২ থেকে ৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে।
সালাউদ্দিনের মতে, তানজিম বোলিং করার জন্য যেভাবে রান আপ শুরু করে সেভাবে শেষ করতে পারে না। শেষ মুহূর্তে এসে তার দৌড়ের গতি কমে যায়। যে কারণে বলের গতি কম পায়।
তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘গতি বাড়াতে কিছু মূল জিনিসি দরকার। এর একটি হলো- আপনি গতিতে বল করতে চাইলে একই গতিতে রান আপ শেষ করতে হবে, দৌড়ের গতি কমানো যাবে না। তানজিমের বোলিং দেখে মনে হয়েছে, শেষ মুহূর্তে সে রান আপের গতি ছেড়ে দেয় (ডি এক্সিলারেট)।’
তিনি বলেন, ‘এটা তার বলের গতি ঘণ্টায় ১ থেকে ২ কিলোমিটার কমে যাওয়ার কারণ হতে পারে। তার রান আপ ঠিক থাকলে গতি বাড়ানো সম্ভব। সে ২, ৩ কিংবা ৫ কিলোমিটার গতি বাড়াতে পারে কিনা সেটা নিয়েই কাজ করা হচ্ছে।’
সালাউদ্দিন জানিয়েছেন, এটা একটা প্রক্রিয়া। ধাপে ধাপে এগোতে হয়। রান আপ মসৃণ হওয়া দরকার। স্বল্প রান আপে বোলিং করলে শেষ মুহূর্তে দৌড়ের গতি কমানো যাবে না। কোচ জানান, নতুন রান আপে মানিয়ে নিতে পারলে তার গতি বাড়তে পারে।
নতুন রান আপ নিয়ে কাজ করছেন জানিয়ে সংবাদ মাধ্যম ক্রিকবাজকে তানজিম বলেন, ‘শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রান আপে গতি ধরে রাখা নিয়ে কাজ করছি। আমি জানি, এটা রপ্ত করতে সময় লাগবে। সেজন্য ধীরে ধীরে এগোচ্ছি। কারণ একদিনে এটা ঠিক করে ফেলা সম্ভব নয়। ডিপিএলে নতুন রান আপে বোলিং করার চেষ্টা করেছি। মনে হয়েছে, রান আপ মসৃণ হলে গতির সঙ্গে সুইংও হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক জ কর
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্ধিরগঞ্জে ইয়াবাসহ চিহ্নিত মাদক কারবারি গ্রেপ্তার
সিদ্ধিরগঞ্জে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১০০ পিস ইয়াবাসহ রিয়াজ (২৯) নামে এক চিহ্নিত মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার (২ নভেম্বর) গভীর রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি কান্দাপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত রিয়াজ কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানার মোকশাইল গ্রামের আব্দুল ছাত্তার মিয়ার ছেলে। সে বর্তমানে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি কান্দাপাড়া এলাকায় মিজানের বাড়ির ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছিল।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জহুরুল ইসলাম জানান, থানা এলাকায় মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও বিশেষ অভিযান চলাকালীন সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারি যে, মিজমিজি কান্দাপাড়া এলাকায় মিজানের বাসার সামনের পাকা রাস্তার ওপর রিয়াজ নামে ওই ব্যক্তি ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে।
এমন তথ্যের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছালে রিয়াজ পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশ সদস্যরা তাকে ধাওয়া করে আটক করতে সক্ষম হন। পরে তার দেহ তল্লাশি করে লুঙ্গির ভাঁজ থেকে সাদা পলিথিনে মোড়ানো ১০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মাদকের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৩০ হাজার টাকা।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহীনূর আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেপ্তারকৃত রিয়াজ একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে দীর্ঘদিন ধরে সিদ্ধিরগঞ্জসহ আশপাশের এলাকায় মাদকদ্রব্য ইয়াবা বিক্রি করে আসছিল বলে স্বীকার করেছে।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।