১৯৯৭ সালে তামিল সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন ঐশ্বরিয়া। একই বছর বলিউডে যাত্রা শুরু করেন। দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে অসংখ্য দর্শকপ্রিয় ও প্রশংসিত সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি।

বলিউডের প্রথম সারির সব নায়কের সঙ্গে কাজ করেছেন ঐশ্বরিয়া। কাজের সুবাদে একাধিক নায়কের সঙ্গে সম্পর্কেও জড়ান এই প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী। কখনো কখনো অন্যের প্রেম ভাঙার অভিযোগও উঠে তার বিরুদ্ধে। এমন এক ঘটনা ঘটেছিল অভিনেত্রী মনীষা কৈরালার সঙ্গে। তারপর পাগলের মতো কেঁদেছিলেন ঐশ্বরিয়া।

১৯৯৫ সালে মুক্তি পায় মনীষা কৈরালা অভিনীত ‘বোম্বে’ সিনেমা। এতে তার অভিনয় দেখে ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। রাজীব মুলচান্ডানির সঙ্গে মনীষা কৈরালার প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পেছনের নারী ঐশ্বরিয়া। এ খবর জানার পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এই অভিনেত্রী। বেশ আগে শোটাইম ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানান ঐশ্বরিয়া।  

‘হাম দিল দে চুকে সনম’ তারকা ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন বলেন, “আমি তামিল ভাষার ‘বোম্বে’ সিনেমা দেখে এটিকে অসাধারণ মনে হয়েছিল। ১ এপ্রিল বোম্বে পৌঁছাই। কাকতালীয়ভাবে রাজীব আমাকে ফোন করেন। ‘বোম্বে’ সিনেমায় মনীষা কতটা দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন, তা আমি চিৎকার করে বলছিলাম। মনীষাকে অভিনন্দন জানাতে তাকে ফুলের তোড়া পাঠাতে চাই— এ কথাও রাজীবকে বলি।”

পরের ঘটনা বর্ণনা করে ঐশ্বরিয়া রাই বলেন, “তারপর রাজীব আমাকে জিজ্ঞাসা করে, ‘তুমি কি খবরের কাগজ পড়েছো? মনীষা অভিযোগ করেছে, সে একটি প্রেমপত্র খুঁজে পেয়েছে, যা আমি তোমাকে (ঐশ্বরিয়া) লেখেছি।’ এটি আমাকে ভীষণভাবে আহত করে।”

একগুচ্ছ প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে ঐশ্বরিয়া রাই বলেন, “যদি এই প্রতিবেদনের কোনো সত্যতা থাকে, তাহলে ১৯৯৪ সালের জুলাই মাসে কেন বের হয়নি? কয়েক মাসের মধ্যে এই কারণে যদি রাজীবের সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়, তাহলে পুরো নয় মাস ধরে এটি নিয়ে কেন চিন্তা করছিলেন? তারপর কেন এটি প্রকাশ্যে আনলেন?”

এ ঘটনার পর পাগলের মতো কেঁদেছিলেন ঐশ্বরিয়া রাই। তা জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, “মনীষার এই ঘটনা আমার উপরে গভীর প্রভাব ফেলেছিল। আমি পাগলের মতো কেঁদেছিলাম। যা কিছু ঘটেছিল তার জন্য সত্যিই খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। এতকিছু বলার পর সে (মনীষা) বারবার বলে, ‘তার উদ্ধৃতি ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।’ সেই বিচ্ছেদের পর তার (মনীষা) অসংখ্য সম্পর্কের খবর প্রকাশ করে মিডিয়া।”

তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ডিএসইতে সাপ্তাহিক দাম কমার শীর্ষে মিডল্যান্ড ব্যাংক

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (২৭ থেকে ৩১ জুলাই) লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর মধ্যে ব্যাংক খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি মিডল্যান্ড ব্যাংক পিএলসি শেয়ারের দাম সবচেয়ে বেশি কমেছে। বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কম থাকায় কোম্পানিটির শেয়ার ডিএসইর সাপ্তাহিক দাম কমার তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে।

শনিবার (২ আগস্ট) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্যমতে, বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে ২০.৫৬ শতাংশ। বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী মূল্য ছিল ২৪.৮০ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৯.৭০ টাকা। এর ফলে কোম্পানিটির শেয়ার ডিএসইর সাপ্তাহিক দাম কমার তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে।

আরো পড়ুন:

ডিএসইতে সাপ্তাহিক দাম বাড়ার শীর্ষে রহিমা ফুড

ডিএসইতে সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে সিটি ব্যাংক

ডিএসইতে সাপ্তাহিক দাম কমার শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ডের ১৬.১৯ শতাংশ, সিঙ্গার বাংলাদেশের ১১.৪৭ শতাংশ, এনআরবি ব্যাংকের ১০.৮১ শতাংশ, প্রাইম ফাইন্যান্সের ১০.৪২ শতাংশ, বে-লিজিংয়ের ৯.৮০ শতাংশ, সান লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৯.৭২ শতাংশ, মাইডাস ফাইন্যান্সের ৯.৫২ শতাংশ, ইউনিয়ন ক্যাপিটালের ৯.২৬ শতাংশ ও ফারইস্ট ফাইন্যান্সের ৮.৮২ শতাংশ শেয়ার দর কমেছে।

ঢাকা/এনটি/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ