সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দিতে ভারত সীমান্তের ওপারে ভারতীয় খাসিয়ার গুলিতে দুই বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। বুধবার বিকেলে বিছনাকান্দি সীমান্তের মরকি টিলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

গুলিবিদ্ধ দুজন হলেন, গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দি ইউনিয়নের কুলুমছড়ার পাড় এলাকার জাকির মিয়ার ছেলে ইয়ামিন মিয়া (২২) ও তার চাচা আক্তার হোসেন।  তারা দু’জন ভারতীয় চিনি চোরাকারবারি সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।

স্থানীয় বাসিন্দা শামীম মিয়া জানান, সীমান্তে চিনি আনতে গিয়ে দু’জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তারা গোপনে সিলেট শহরে চিকিৎসা নিচ্ছেন। 

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিছনাকান্দি ইউনিয়নের বিছনাকান্দি বিওপি এলাকায় সীমান্তের ১২৬৪ নম্বর মেইন পিলার থেকে ২০০ গজ ভারতের ভেতরে মরকিটিলা এলাকায় ইয়ামিন মিয়া ও আক্তার হোসেনসহ একদল বাংলাদেশি চোরাকারবারি চিনি আনতে যান। এ সময় চোরাকারবারিরা খাসিয়াদের সঙ্গে টাকা পয়সার  লেনদেন নিয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে খাসিয়ারা তাদের লক্ষ্য করে কয়েকটি গুলি ছোড়ে। এতে দু’জন গুলিবিদ্ধ হন।

সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো.

নাজমুল হক বলেন, সীমান্তের ওপারে  দুজন বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ হয়েছে। ভারতীয় খাসিয়ার সঙ্গে চোরাচালান লেনদেন নিয়ে তর্কে জড়িয়ে এক পর্যায়ে খাসিয়াদের ছোঁড়া গুলিতে দুজন আহত হওয়ার বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) কাছে প্রতিবাদ পাঠানো হয়েছে।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি

সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।

আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’

অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ