রাজধানীতে বৃষ্টি, দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকতে পারে ৩ দিন
Published: 20th, March 2025 GMT
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আজ বৃহস্পতিবার বৃষ্টির শুরু হয়েছে। দেশের ছয় বিভাগের বিভিন্ন স্থানেই আজ এ বৃষ্টি হতে পারে। আজই শেষ নয়; আগামী তিন দিন ধরেই বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া হতে পারে দেশের বিভিন্ন স্থানে। সঙ্গে থাকতে পারে শিলাবৃষ্টি। আজ দুপুরে আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে। মূলত কালবৈশাখীর কারণেই এ বৃষ্টি হতে পারে।
আজ সকাল থেকেই রাজধানীর আকাশে মেঘ ছিল। কখনো কখনো সেই মেঘের মাঝে দেখা গেছে রোদ। দুপুর ১২টার দিকে মেঘের বিস্তৃতি বাড়তে থাকে। বেলা প্রায় একটার দিকে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি শুরু হয়েছে নগরীর নানা স্থানে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকালে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরেছে। সেখানে বলা হয়েছে, আজ রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বিদ্যুৎ এবং এর সঙ্গে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে; সঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যত্র আংশিকভাবে মেঘলাসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
রাজশাহী ও সিরাজগঞ্জ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আজ তা কিছুটা কমে আসতে পারে, আবহাওয়া অফিসের বার্তা তা–ই জানাচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা আজ প্রথম আলোকে বলেন, আজ শুধু রাজধানীতে নয়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলেও বৃষ্টির পাশাপাশি ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। যেসব এলাকায় বৃষ্টি সম্ভাবনা অপেক্ষকৃত বেশি, এর মধ্যে আছে রাজশাহী, সিলেট, কুষ্টিয়া ও সিরাজগঞ্জ।
এখন কালবৈশাখীর মৌসুম। এ সময় উত্তর–পশ্চিমের বায়ুর সঙ্গে সাগর থেকে জলীয় বাষ্প নিয়ে আসা দখিনা বাতাসের সংঘাতে বজ্রমেঘ ও সেখান থেকে বৃষ্টি হয়। এর সঙ্গে থাকে ঝোড়ো হাওয়া।
গতকাল বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়িতে, ৩৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ দেশের তাপমাত্রা কমতে পারে, এমনটাই বলা হয়েছে আবহাওয়ার বার্তায়।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।
ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি