ঢাকার ধামরাইয়ে ব্যবসায়িক বিরোধের জেরে বিএনপি নেতা আবুল কাশেমকে (৫৭) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার (২১ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠানো হয়। গতকাল ধামরাইয়ের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. আব্দুল জলিল (৫০), মো. আব্দুল বাছেদ (৪৭), আবু সাঈম (৪০), আব্দুল গফুর (৪৭) ও আলী হোসেন (৩৩)। তারা সবাই ধামরাইয়ের গাংগুটিয়া ইউনিয়নের জালসা এলাকার বাসিন্দা।

এর আগে, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের জালসা এলাকায় বাড়ির পাশে সড়কের ওপরে তাকে কুপিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে দুপুর ১টার দিকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে মামলার জন্য আবুল কাশেমের স্ত্রী মোসা.

শাহিদা আক্তারের সঙ্গে থানা পুলিশ যোগাযোগ করলেও তিনি অভিযোগ দিতে কালক্ষেপণ করেন ও পরবর্তীতে মামলা করবে না বলে জানায়। এর জেরে রাতে ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আতাউল মাহমুদ খান বাদী হয়ে মামলা করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- মো. আব্দুল জলিল (৫০), মো. আব্দুল বাছেদ (৪৭), মো. বাবুল মিয়া (৩৮), মো. বিল্টু (২৭), আব্দুল আহাদ (৪৫), আবু সাঈম (৪০), আব্দুল গফুর (৪৭) ও আব্দুল মালেকসহ (৪২) অজ্ঞাত আরো ৪-৫ জন। তারা ধামরাইয়ের গাংগুটিয়া ও সানোড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা।

নিহত আবুল কাশেম (৫৭) ধামরাইয়ের গাংগুটিয়া ইউনিয়নের জালসা এলাকার মৃত রইজ উদ্দিন মাস্টারের ছেলে। তিনি গাংগুটিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ছিলেন।

মামলার এজাহারে পুলিশ বলছে, স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায়, আবুল কাশেম পেশায় ব্যবসায়ী ছিলেন। ২০ মার্চ বেলা ১১টার দিকে চিকিৎসার জন্য মানিকগঞ্জে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে নিজের বাড়ি থেকে ১০০ গজ পশ্চিমে পাকা সড়কে পৌঁছালে সেখানে আগে থেকেই ওঁৎপেতে থাকা আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আবুল কাশেমের ওপর হামলা চালায়। তাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার কোমরের ডান পাশে পিছনে, কোমরের নিচে বাম পাশে, হাঁটুর উপরে কোমরের নিচে ডান পাশে গভীর গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে রক্তাক্ত মুমুর্ষু অবস্থায় ঘটনাস্থলে ফেলে যায়।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পার্শ্ববর্তী কাওয়ালীপাড়া একটি হাসপাতালে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে মরদেহ ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে মামলার বাদী ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আতাউল মাহমুদ খান বলেন, ‘‘হত্যার খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ সকালে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। অন্যান্য আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।’’

সাব্বির/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

এইচএসসি ও সমমান উত্তীর্ণদের জন্য ৩ কোটি টাকার স্কলারশিপ ঘোষণা

উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান এবং ‘এ’ লেভেল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য তিন কোটি টাকার মেগা স্কলারশিপ প্রোগ্রাম চালু করেছে ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ব্রাঞ্চ ক্যাম্পাস।

এ বিশেষ উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা এখন দেশে থেকেই মালয়েশিয়ার ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাচ্ছেন।

আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ব্রাঞ্চ ক্যাম্পাস রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত। এটি মালয়েশিয়া ও আন্তর্জাতিক শিক্ষকদের সমন্বয়ে বৈশ্বিক পাঠ্যক্রম অনুযায়ী পরিচালিত।

এই স্কলারশিপ প্রোগ্রামের আওতায় যোগ্য শিক্ষার্থীরা ২০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত বৃত্তি পেতে পারেন, যা নির্ধারিত হবে তাঁদের এইচএসসি, সমমান ও ‘এ’ লেভেল পরীক্ষার ফল এবং একটি বিনা মূল্যের অনলাইন প্লেসমেন্ট টেস্টের মাধ্যমে। এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে শিক্ষার্থীরা তাঁদের মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে স্কলারশিপ নিয়ে আন্তর্জাতিক মানের ডিগ্রি অর্জনের পথ উন্মুক্ত করতে পারবেন।

শিক্ষার্থীরা অনলাইনে নিবন্ধন করে বিনা মূল্যে প্লেসমেন্ট টেস্টে অংশ নিতে পারবেন নিম্নলিখিত লিংকে: https://ucsi-scholarship-form.web.app/

বিস্তারিত তথ্য, ভর্তিপ্রক্রিয়া ও প্রোগ্রামগুলো সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন:
https://www.bangladesh.ucsiuniversity.edu.my/

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এইচএসসি ও সমমান উত্তীর্ণদের জন্য ৩ কোটি টাকার স্কলারশিপ ঘোষণা
  • ‎নামাজরত বাবাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ, ৩ পুলিশ আহত
  • দেশের প্রথম মালয়েশিয়ান ডিগ্রি ক্যাম্পাস: ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ব্রাঞ্চ ক্যাম্পাস
  • সড়ক বিভাজকে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, কিশোর নিহত