ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের মাল্টিপারপাস হলে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হলো ‘নেক্সট৫০: কালেকটিভ ফিউচারস’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান। এই বইয়ে দেশ ও দেশের বাইরে অবস্থানরত ৮১ জন শিক্ষক ও গবেষক বাংলাদেশের আগামী ৫০ বছরের উন্নয়ন ও উদ্ভাবনের সম্ভাবনাগুলো তুলে ধরেছেন।

৯টি মূল বিষয়ে বিভক্ত ৪৯টি অধ্যায়ে বইটিতে নগরায়ণ, অবকাঠামো, জলবায়ু সহনশীলতা, আবাসন, শাসনব্যবস্থা এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের মতো বিষয়গুলো নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে বইটিতে।

মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার এবং আবুল খায়ের গ্রুপের ব্র্যান্ড মার্কেটিং ডিরেক্টর নওশাদ চৌধুরী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দেশের স্বনামধন্য স্থপতি, নগর-পরিকল্পনাবিদ ও গবেষকেরা।

অনুষ্ঠানে বইটির ভূমিকা উপস্থাপন করেন এর প্রধান সম্পাদক এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব আর্কিটেকচার অ্যান্ড ডিজাইনের ডিন অধ্যাপক ফুয়াদ এইচ মল্লিক।

বুয়েটের অধ্যাপক মোহাম্মদ জাকিউল ইসলাম বইটির আন্তবিভাগীয় দৃষ্টিভঙ্গি এবং বাংলাদেশের দ্রুত পরিবর্তনশীল নগরকাঠামোর জন্য এর প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরেন।

সংশ্লিষ্টদের মতে, নীতিনির্ধারক, পেশাজীবী ও সাধারণ পাঠকদের জন্য সহজ ভাষায় লেখা এই বইটি গবেষণা এবং বাস্তব জীবনে তা প্রয়োগের মধ্যে সেতুবন্ধ তৈরি করবে, যা ভবিষ্যৎ প্রকল্পে নীতি ও কৌশল নির্ধারণে সহায়ক হবে।

ওপেন স্টুডিও এবং কনটেক্সট বিডির উদ্যোগটির সহযোগিতায় ছিল শাহ্ সিমেন্ট। আলোচনায় শাহ সিমেন্টসহ গুরুত্বপূর্ণ স্টেকহোল্ডাররাও অংশ নেন, যাঁরা নির্মিত পরিবেশে বেসরকারি খাতের ভূমিকা নিয়ে কথা বলেন।

বইটির নির্বাহী সম্পাদক তানজিল শফিক এবং সাইমুম কবীর সমাপনী বক্তব্যে বইটির প্রস্তুতির পেছনের সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং নীতিনির্ধারণ ও বাস্তবায়নে এর সম্ভাব্য প্রভাবের কথা উল্লেখ করেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ বইট র

এছাড়াও পড়ুন:

জরুরি বৈঠকে বসছে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোয় ইসরায়েলি হামলার পরিপ্রেক্ষিতে জরুরি বৈঠকে বসছে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) বোর্ড অব গভর্নরস। আজ সোমবার আইএইএর সদর দপ্তরে এ বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। খবর বিবিসির

রাশিয়া, চীন ও ভেনেজুয়েলের সহায়তায় এবং ইরানের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে জরুরি বৈঠকে বসছে আইএইএ।

ইরান শুরুতে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়ে প্রস্তাব উত্থাপন করতে চেয়েছিল। তবে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, ওই প্রস্তাবে সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থন পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল না। ফলে, ইরান এখন সাধারণ বিবৃতি দেওয়ার দিকে নজর দিয়েছে। ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়ে এই বিবৃতি দেওয়া হবে।

ইরান বলেছে, আইএইএ–র বোর্ড অফ গভর্নরদের অবশ্যই ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাতে হবে। তবে এই পরিস্থিতিতে এ ধরনের নিন্দা জানানোর সম্ভাবনা কম।

তবে এই বৈঠকে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির পথ সুগম হবে কী না তার কোনো স্পষ্ট আভাস পাওয়া যায়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ