জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জি এম কাদের) এবং তাঁর স্ত্রী শরীফা কাদেরের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।

রোববার এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) থেকে সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ নির্দেশ পাঠায়।

এ ছাড়া আগামী ১৫ দিনের মধ্যে জি এম কাদের, তাঁর স্ত্রী, মেয়ে ইশরাত জাহান কাদের ও জামাতা মাহফুজ আহমেদের ব্যাংক হিসাব সম্পর্কিত সব তথ্য চেয়েছে। ২০১৭ সালের ১ জুলাই থেকে হালনাগাদ ব্যাংক হিসাবের যাবতীয় তথ্য দিতে হবে। উল্লেখ্য, মাহফুজ আহমেদ দেশের স্বনামধন্য অভিনেতা।

সিআইসির কর্মকর্তারা জানান, ওই চারজনের আয়কর নথি খতিয়ে দেখতে তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছেন কর গোয়েন্দারা।

গত বছরের জুলাই-আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন জি এম কাদের এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

২০ মার্চ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দলীয় পদ ও প্রার্থিতার জন্য ঘুষ গ্রহণের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এম ক দ র

এছাড়াও পড়ুন:

জব্দ করা জাটকা এতিমখানায় বিতরণ, সেই মাছ লুট করলেন আড়তদারেরা

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় জব্দ করা ৭০ কেজি জাটকা দুটি মাদ্রাসা ও এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছিল। তবে সেই মাছ লুট করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন আড়তদারের বিরুদ্ধে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার আমিরাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

উপজেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেলে মৎস্য কার্যালয়ের উদ্যোগে পরিচালিত জাটকা রক্ষার অভিযানে আমিরাবাদ ও দশানী বাজার থেকে ৭০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন মৎস্য কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাস। পরে আমিরাবাদ এলাকায় জব্দ করা জাটকা উপজেলার হাজীপুর ও ফরাজীকান্দি মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষক ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। স্থানীয় কিছু দুস্থ মানুষকেও কিছু জাটকা দেওয়া হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই জাটকা নিয়ে ওই দুই মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কমিটির লোকজন সন্ধ্যায় আমিরাবাদের বেড়িবাঁধ এলাকায় পৌঁছান। তখন আমিরাবাদ বাজারের মাছের আড়তদার আবুল প্রধান, আরিফ গাজী, সেরু প্রধানিয়া, দেলু বেপারীসহ আরও কয়েকজন তাঁদের পথরোধ করেন এবং জাটকাগুলো লুট করে নিয়ে যান।

হাজীপুর মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও ফরাজীকান্দি মাদ্রাসার শিক্ষক মো. আল আমিন অভিযোগ করেন, মাছের ওই আড়তদারেরা তাঁদের নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে তাঁদের কাছ থেকে জাটকা লুট করে নিয়ে যান। বাধা দিয়েও কাজ হয়নি। বিষয়টি মৎস্য কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানিয়েছেন।

এ অভিযোগের বিষয়ে আবুল প্রধান, আরিফ গাজী ও সেরু প্রধানিয়ার মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগ করা হলে সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়। তবে দেলু ব্যাপারী মুঠোফোনে বলেন, জাটকা লুট করা তাঁদের উচিত হয়নি। ওই জাটকা আজ (বৃহস্পতিবার) তাঁরা ফেরত দেবেন। এটি তাঁদের বড় ভুল হয়েছে।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাস বলেন, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। জাটকা উদ্ধারে ব্যবস্থাপনা নেওয়া হচ্ছে।

ইউএনও মাহমুদা কুলসুম মনি বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর জাটকা উদ্ধারে তিনি থানার ওসি ও মৎস্য কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টির তদন্ত চলছে। এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এতিমদের জাটকা লুট হওয়ার বিষয়টি খুব দুঃখজনক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ