বিলাসবহুল আবাসন নির্মাণের মাধ্যমে বহু বছর ধরেই নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে আসছে ‘এডিসন রিয়েল এস্টেট’। এটি শুধু একটি রিয়েল এস্টেট ব্র্যান্ড নয়, বরং আধুনিক ও সাশ্রয়ী আবাসনের জন্য বহু মানুষের আস্থার জায়গা।

বর্তমানে আবাসন নির্মাণে মধ্যম আয়ের মানুষদের কথা ভেবে নতুন একটি সম্ভাবনার দ্বার খুলেছে এডিসন রিয়েল এস্টেটের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ‘নেস্ট’। ঢাকায় একটি নিজের বাড়ি—মধ্যম আয়ের মানুষদের জন্য কেবল একটি স্বপ্ন। আর এই স্বপ্নকে বাস্তব করে তুলতেই কাজ করছে নেস্ট। এডিসন রিয়েল এস্টেটের চেয়ারম্যান আমিনুর রশিদের নেতৃত্বে মধ্যম আয়ের মানুষের জন্য উচ্চমানের, সুপরিকল্পিত ও সাশ্রয়ী আবাসনের সুযোগ তৈরি করতেই নেস্টের যাত্রা।

সাশ্রয়ী মূল্যে মানসম্পন্ন বাড়ি

নেস্টের লক্ষ্য সহজ—মানের সঙ্গে আপস না করেই মানুষের সাধ্যের মধ্যে আবাসন নিশ্চিত করা। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, কম বাজেটের ফ্ল্যাট মানেই নিম্নমানের নির্মাণশৈলী এবং অপরিকল্পিত নকশা। কিন্তু নেস্ট সেই বাস্তবতাকে পাল্টে দিচ্ছে। স্মার্ট স্পেস প্ল্যানিং, আধুনিক ডিজাইন ও কার্যকর নির্মাণ কৌশলের মাধ্যমে তারা মধ্যম আয়ের গ্রাহকদের জন্য মানসম্পন্ন আবাসন নিশ্চিত করছে। এই প্রকল্প শুরুর পর থেকেই নেস্ট আবাসন খাতে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। বিশেষভাবে, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নেস্টের একাধিক প্রকল্প ব্যাপক সাড়া পেয়েছে। বসুন্ধরায় তাদের একতলা বিশিষ্ট অ্যাপার্টমেন্টগুলো বর্তমানে গ্রাহকদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে। কারণ, এগুলো সাশ্রয়ী তো বটেই, পাশাপাশি মানসম্পন্ন।

তলাবিশিষ্ট আবাসন প্রকল্প ‘ফ্লোরেন্স’.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল এস ট ট র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ