জামালপুরে মাদক মামলায় এক ভাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও আরেক ভাইকে খালাস দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ মো. আবুবকর সিদ্দিক এই রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত ভুট্টু মিয়া ও খালাসপ্রাপ্ত মনু মিয়া দুই ভাই। তারা বকশীগঞ্জ উপজেলার চরকাউরিয়া সীমারপাড় এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বকশীগঞ্জ উপজেলার চরকাউরিয়া সীমারপাড় এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। সে সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ভুট্টু মিয়া ও মনু মিয়া পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় মনু মিয়া পালিয়ে গেলেও ৩১ গ্রাম হেরোইনসহ ভুট্টু মিয়াকে আটক করা হয়। পরে দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়। ২০১৯ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন এবং একই বছর ২৬ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ১১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯ জনের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ভুট্টু মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারক। আর মনু মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট এ.

কে.এম. নাজমুল হুদা। তিনি বলেন, ‘‘রায় ঘোষণাকালে ভুট্টু মিয়া আদালতে উপস্থিত না থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।’’

ঢাকা/শোভন/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ