চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় নুরুল হক (৫৩) নামের এক জামায়াত নেতাকে কাপড় কাটার কাঁচির আঘাতে হত্যা করা হয়েছে। আজ সোমবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে উপজেলার কলাউজান ইউনিয়নের কানুরাম বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নুরুল হক পেশায় পল্লিচিকিৎসক ছিলেন।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সজীব বড়ুয়া (৩৫) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। নিহত নুরুল হক কলাউজান ইউনিয়নের বলিপাড়া এলাকার মৃত আজিজুর রহমানের ছেলে। আটক যুবক একই ইউনিয়নের বড়ুয়াপাড়া এলাকার খোকা বড়ুয়ার ছেলে। তিনি পেশায় একজন দিনমজুর।

নিহত নুরুল হক জামায়াতে ইসলামীর সহযোগী সংগঠন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কলাউজান ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড শাখার তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন লোহাগাড়া উপজেলা শাখার সভাপতি আব্দুস সালাম।

ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে কানুরাম বাজার উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাদশা মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, জামায়াত নেতা নুরুল হক কানুরাম বাজারের একটি চেম্বারে রোগী দেখেন। আজ সন্ধ্যায় তিনি পাশের একটি গ্রাম থেকে রোগী দেখে চেম্বারে ফিরে দেখেন ফিরে দেখেন, সজীব বড়ুয়া মাদকাসক্ত হয়ে তার চেম্বারে বমি করেছেন। এতে নুরুল হক ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠি দিয়ে সজীবকে তাড়িয়ে দেন। এর জের ধরে সজীব পাশের একটি দরজির দোকান থেকে কাপড় কাটার কাঁচি নিয়ে নুরুল হকের মুখে উপর্যুপরি আঘাত করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সজীব বড়ুয়াকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন এলাকাবাসী।

লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক নাহিদ হাসান প্রথম আলোকে বলেন, আজ সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে নুরুল হককে হাসপাতালে আনেন স্থানীয় লোকজন। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। তাঁর মুখে ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় তাঁর।

এদিকে ঘটনার পরপরই লোহাগাড়া থানার ওসি আরিফুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। লোহাগাড়া থানার উপপরিদর্শক মো.

জাহেদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় লোদের সহযোগিতায় সজীব বড়ুয়া নামের এক যুবককে আটক করেছে। পাশাপাশি লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছে। এ ঘটনায় তদন্তসাপেক্ষে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রথম আল ক ন র ল হক এ ঘটন র একট উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচন: বিএনপির যে প্রার্থীদের সঙ্গে লড়বেন এনসিপির শীর্ষ নেতারা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ২৩৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শীর্ষ নেতাদের যেসব আসনে নির্বাচন করার কথা রয়েছে, সেখানেও প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি।

সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ২৩৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আরো পড়ুন:

বিএনপির প্রার্থী তালিকায় নেই তারকারা

কুষ্টিয়ায় মনোনয়নবঞ্চিত সোহরাব- সমর্থকদের বিক্ষোভ

বিএনপির ঘোষিত আসনভিত্তিক তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ঢাকা-১১ (বাড্ডা-ভাটারা-রামপুরা) আসনের তাদের প্রার্থী এম এ কাইয়ুম। এই আসনে নির্বাচন করতে পারেন এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম।

রংপুর-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ এনামুল হক ভরসা। এই আসনে নির্বাচন করতে পারেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

পঞ্চগড়-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ নওশাদ জমির। এই আসনে নির্বাচন করার সম্ভাবনা রয়েছে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের।

কুমিল্লা-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী। এই আসনে নির্বাচন করতে পারেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

চাঁদপুর-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী করা হয়েছে মো. মমিনুল হককে। এই আসনে নির্বাচন করতে পারেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিপির মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “এখন পর্যন্ত আমাদের দলের আসনভিত্তিক মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়নি। যখন চূড়ান্ত করা হবে, আপনাদের জানানো হবে।”

এর আগে রবিবার (৩ নভেম্বর) সমসাময়িক রাজনৈতিক প্রসঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমরা ৩০০ আসন ধরে এগোচ্ছি। ঢাকা থেকেই আমি দাঁড়াব। আর কে কোন আসনে দাঁড়াবেন, আমরা প্রার্থী তালিকা এ মাসেই দিতে পারি।”

অবশ্য বিএনপি ও এনসিপি চূড়ান্ত মনোনয়ন না দেওয়া পর্যন্ত যে কোনো আসনে যেকোনো সময় পরিবর্তন আসতে পারে বলে তারা ঘোষণা দিয়ে রেখেছে। 

ঢাকা/রায়হান/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ