রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বরে ফুটপাতে বসা ভাসমান বিক্রেতার কাছ থেকে জুতা কিনতে গিয়ে এক নারী হেনস্তার শিকার হয়েছেন, এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ১ মিনিট ১৬ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, ওই নারীকে চড়-থাপ্পড় দিচ্ছেন একজন। তাঁর হাত ধরে টানাটানিও করা হচ্ছিল। কয়েকজন ওই নারীকে চোর, চোর বলছিলেন।

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজ্জাদ রুমন প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাটি ঘটেছে গত রোববার বিকেলে। এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার বিকেলে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তিনি এখন থানায় আছেন। হেনস্তার শিকার নারীকেও থানায় ডাকা হয়েছে। এখন ওই নারী যদি আইনি ব্যবস্থা নেন, সেই অনুযায়ী পুলিশ পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে। ওই নারী আসার পর হেফাজতে নেওয়া ব্যক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

পুলিশ জানায়, মূলত জুতা কেনা নিয়ে ভাসমান বিক্রেতার সঙ্গে ওই নারীর ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই এ ঘটনার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ওই ন র

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় ৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ২ জনকে কুপিয়ে হত্যা

খুলনায় মাত্র আট ঘণ্টার ব্যবধানে দুজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) রাতে খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকায় মনোয়ার হোসেন টগর নামে এক যুবক এবং শনিবার (২ আগস্ট) ভোরে দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুরে আল-আমিন সিকদার নামে এক ভ্যানচালক খুন হন। 

দিঘলিয়ায় ভ্যানচালককে কুপিয়ে হত্যা
পুলিশ জানায়, শনিবার ভোর আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর নন্দনপ্রতাপ গ্রামে আল-আমিন সিকদার (৩৩) নামে এক ভ্যানচালককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত আল-আমিন ওই গ্রামের কাওসার শিকদারের ছেলে।

দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম শাহীন বলেন, “আল-আমিনের স্ত্রীর সাবেক স্বামী মো. আসাদুল ঝিনাইদহ থেকে এসে অতর্কিতে তার ওপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর আসাদুল পালিয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তার সাবেক স্ত্রীকে বিয়ে করার কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে।”

ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

নগরীতে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
অপরদিকে, শুক্রবার রাত সোয়া ৯টার দিকে খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন সবুজবাগ এলাকায় নিজ বাড়িতে ছুরিকাঘাতে খুন হন মনোয়ার হোসেন টগর (২৫) নামে এক যুবক। তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা জামাল হাওলাদারের ছেলে। 

স্থানীয়রা জানান, রাত সোয়া ৯টার দিকে কয়েকজন যুবক টগরের বাড়িতে প্রবেশ করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা তাকে ছুরিকাঘাত করে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সোনাডাঙ্গা মডেল থানার এসআই আবদুল হাই বলেন, “প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, হত্যাকারীরা টগরের পূর্ব পরিচিত।  তাদের সবাইকে শনাক্ত করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।” 

ঢাকা/নুরুজ্জামান/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ