Samakal:
2025-11-03@19:57:04 GMT

তুরস্কে বিক্ষোভ চলছেই

Published: 26th, March 2025 GMT

তুরস্কে বিক্ষোভ চলছেই

তুরস্কের ইস্তাম্বুলের মেয়র ও প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী একরেম ইমামোগলুর গ্রেপ্তার নিয়ে গত সোমবার রাতে ষষ্ঠ দিনের মতো বিক্ষোভ হয়েছে। এরদোয়ান এ বিক্ষোভকে ‘জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলন’ বলে মন্তব্য করেছেন। সেই সঙ্গে তিনি প্রধান বিরোধী দলকে পুলিশের ওপর হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের জন্য জবাবদিহি করতে হবে বলেও জানিয়েছেন।

ইমামোগলু তুরস্কের প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) নেতা। তিনি ও তাঁর সমর্থকদের দাবি, ইমামোগলুর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অগণতান্ত্রিক। গতকাল মঙ্গলবার রয়টার্স জানায়, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তুরস্কের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ চলছে। এতে অংশ নিচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। সেই সঙ্গে চলছে ধড়পাকড়ও। গত পাঁচ দিনে অন্তত ১ হাজার ১৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে সাংবাদিকও আছেন। শত শত কর্মী সমর্থকের এক্স অ্যাকাউন্ট ব্লক করা হয়েছে। এক সাংবাদিককে ইস্তাম্বুলের সিটি হলের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আন্দোলনের পাঁচ দিনে ১২৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।  

দ্য গার্ডিয়ান অনলাইন জানায়, রাজধানী আঙ্কারায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে কথা বলেছেন এরদোয়ান। তিনি এ বিক্ষোভকে ‘জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলন’ বলে বর্ণনা করেন। তিনি বিরোধী দল সিএইচপির বিরুদ্ধে আন্দোলনে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ আনেন। তবে দলটি এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। 

গ্রেপ্তার সত্ত্বেও গত সোমবার সিএইচপি তুরস্কের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইমামোগলুকে দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ঘোষণা করেছে। ২০২৮ সালে ওই নির্বাচন হলেও তুরস্কে প্রেসিডেন্ট পদের দলীয় মনোনয়ন অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়। সমালোচকরা বলছেন, সিএইচপি নেতার কাছে হারের ভয়ে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার আগেই এরদোয়ান তাঁকে গ্রেপ্তার করেছেন। 

বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের সিংহভাগই তরুণ। তাদের অনেকেই এরদোয়ান ছাড়া তুরস্কের আর কোনো প্রেসিডেন্টকে দেখেননি। তারাই মূলত এ বিক্ষোভের প্রাণশক্তি হিসেবে কাজ করছেন। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত রস ক এরদ য় ন ত রস ক র এরদ য় ন স এইচপ

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ