তুরস্কের ইস্তাম্বুলের মেয়র ও প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী একরেম ইমামোগলুর গ্রেপ্তার নিয়ে গত সোমবার রাতে ষষ্ঠ দিনের মতো বিক্ষোভ হয়েছে। এরদোয়ান এ বিক্ষোভকে ‘জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলন’ বলে মন্তব্য করেছেন। সেই সঙ্গে তিনি প্রধান বিরোধী দলকে পুলিশের ওপর হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের জন্য জবাবদিহি করতে হবে বলেও জানিয়েছেন।
ইমামোগলু তুরস্কের প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) নেতা। তিনি ও তাঁর সমর্থকদের দাবি, ইমামোগলুর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অগণতান্ত্রিক। গতকাল মঙ্গলবার রয়টার্স জানায়, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তুরস্কের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ চলছে। এতে অংশ নিচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। সেই সঙ্গে চলছে ধড়পাকড়ও। গত পাঁচ দিনে অন্তত ১ হাজার ১৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে সাংবাদিকও আছেন। শত শত কর্মী সমর্থকের এক্স অ্যাকাউন্ট ব্লক করা হয়েছে। এক সাংবাদিককে ইস্তাম্বুলের সিটি হলের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আন্দোলনের পাঁচ দিনে ১২৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
দ্য গার্ডিয়ান অনলাইন জানায়, রাজধানী আঙ্কারায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে কথা বলেছেন এরদোয়ান। তিনি এ বিক্ষোভকে ‘জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলন’ বলে বর্ণনা করেন। তিনি বিরোধী দল সিএইচপির বিরুদ্ধে আন্দোলনে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ আনেন। তবে দলটি এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
গ্রেপ্তার সত্ত্বেও গত সোমবার সিএইচপি তুরস্কের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইমামোগলুকে দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ঘোষণা করেছে। ২০২৮ সালে ওই নির্বাচন হলেও তুরস্কে প্রেসিডেন্ট পদের দলীয় মনোনয়ন অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়। সমালোচকরা বলছেন, সিএইচপি নেতার কাছে হারের ভয়ে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার আগেই এরদোয়ান তাঁকে গ্রেপ্তার করেছেন।
বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের সিংহভাগই তরুণ। তাদের অনেকেই এরদোয়ান ছাড়া তুরস্কের আর কোনো প্রেসিডেন্টকে দেখেননি। তারাই মূলত এ বিক্ষোভের প্রাণশক্তি হিসেবে কাজ করছেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ত রস ক এরদ য় ন ত রস ক র এরদ য় ন স এইচপ
এছাড়াও পড়ুন:
মামলা করলেন ঢাবির সেই শিক্ষিকা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষিকার এডিটেড ও ‘আপত্তিকর’ ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষিকা শেহরীন আনিম ভূঁইয়া মোনামী সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামালাটি করেন।
শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদ মনসুর রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়েছে। তদন্তপূর্বক আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।”
পুলিশ জানায়, সন্দেহভাজন আসামি মুজতবা খন্দকার সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্ট। মুজতবা তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শিক্ষিকার ছবি অশালীনভাবে এডিট করে পোস্ট করেন এবং ক্যাপশনে লেখেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইনি, পোশাকের স্বাধীনতায় পরেছে বিকিনি।”
এছাড়া আরো তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এজাহারে। মামলায় বেশ কিছু অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়েছে, যারা এই ছবি ও তথ্য ছড়াতে সাহায্য করেছেন।
ঢাকা/এমআর/মেহেদী