ঈদুল ফিতরে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি টানা ৮ দিন বন্ধ থাকছে
Published: 28th, March 2025 GMT
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে টানা আট দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকছে পঞ্চগড়ের চতুর্দেশীয় (বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটান) বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে। আগামীকাল শনিবার থেকে ৫ এপ্রিল (শনিবার) পর্যন্ত মোট আট দিন বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে। তবে এ সময় বন্দরের অভিবাসনচৌকি দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের দপ্তর সম্পাদক আবদুল মালেক খান স্বাক্ষরিত সিএন্ডএফ কার্যোক্রম বন্ধ রাখাসংক্রান্ত একটি চিঠি ইতিমধ্যে বাংলাবান্ধা শুল্কস্টেশন ও স্থলবন্দর লিমিটেড কর্তৃপক্ষকে দিয়েছে।
আরও পড়ুনবাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে নেপালে গেল ৪২ টন আলু২০ জানুয়ারি ২০২৫চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপ এবং লোড আনলোডের দুটি শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শনিবার (২৯ মার্চ) থেকে আগামী ৫ এপ্রিল (শনিবার) পর্যন্ত মোট আট দিন বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে। আগামী ৬ এপ্রিল (রোববার) সকালে যথারীতি বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে।
বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ ফিরোজ কবীর বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বন্দরের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও এ সময় ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে মানুষ পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট সময়কালে ফ্যাসিবাদী শক্তি নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে, এসবির প্রতিবেদন
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কর্মসূচি পালনকালে ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে সারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি)।
গতকাল সোমবার এসবির এক প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনটি পুলিশের সব বিভাগকে পাঠিয়ে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছে এসবি। এসবির একটি সূত্র প্রথম আলোকে এই প্রতিবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সামাজিক সংগঠনগুলো ১ জুলাই থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। এই ধারাবাহিকতায় ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত কর্মসূচি পালনের সময়কাল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে কর্মসূচি পালনকে কেন্দ্র করে বিতাড়িত ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টি, ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির কর্মসূচিতে বাধা প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টা চালাতে পারে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ও জানমাল রক্ষায় পুলিশের বিভিন্ন বিভাগকে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে এসবি।
নির্দেশনাগুলো হলো ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা। ৮ আগস্ট পর্যন্ত নিয়মিত সন্দেহজনক ব্যক্তিসহ মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও অন্যান্য যানবাহন তল্লাশি করা। বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশন ও বিমানবন্দরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল অভিযান পরিচালনা করা। মোবাইল প্যাট্রোল জোরদার করা। গুজব রোধে সাইবার পেট্রোলিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখাসহ গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা।
এ ছাড়া কোনো অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকলে তা তাৎক্ষণিকভাবে এসবিকে অবহিত করার কথাও বলা হয়েছে।