রাজশাহীতে আজ শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বেলা ৩টায় রাজশাহী আবহাওয়া অফিস এই তাপমাত্রা রেকর্ড করে। আবহাওয়া অফিস বলছে, রাজশাহীতে এটি চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। আগামী কয়েক দিন এই তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, সবশেষ রাজশাহীতে গত ২১ ও ২২ মার্চ ৮ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। তখন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে। তারপর ২৩ মার্চ থেকে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজশাহী ও যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা ২ ডিগ্রির বেশি বেড়ে গেছে। আজ শুক্রবার বেলা ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়া অফিস বলছে, কোনো এলাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি হলে তাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। সেই হিসাবে রাজশাহীতে আজ মাঝারি তাপপ্রবাহ চলছে। গতকাল ছিল মৃদু তাপপ্রবাহ।

রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সহকারী পর্যবেক্ষক আনোয়ারা খাতুন জানান, কিছুদিন আগে বৃষ্টি হওয়ার পর থেকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ সময়ে তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।

এদিকে তাপপ্রবাহের কারণে জনজীবনে অস্বস্তি নেমে এসেছে। বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষেরা। গরমের মধ্যে নানা প্রয়োজনে বাইরে বের হওয়া বেশির ভাগ মানুষ ছাতা ব্যবহার করছেন।

নগরের বিনোদপুর এলাকায় আখের রস বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম বলেন, তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় তাঁর বেচাবিক্রি বেড়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্ধারিত সময়ের আগেই সব আখের রস বিক্রি করেছেন।

নগরের তালাইমারী এলাকায় বালু টানার কাজ করছিলেন শ্রমিক আবদুর রহিম। তিনি বলেন, ‘বারবার শুধু গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। আজকে রোদের তীব্রতা অনেক বেশি। শরীরে ঝিমানি এসে গেছে।’

রিকশাচালক বাহাস আলীর সঙ্গে কথা হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনি বলেন, খাঁ খাঁ রোদে রিকশা চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। এই রোদে থাকলে শরীর অসুস্থ হয়ে পড়বে। তাই ক্যাম্পাসে এসে বিশ্রাম নিচ্ছেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র কর ড কর স লস য় স দশম ক

এছাড়াও পড়ুন:

এক ঘরে দুই পীর হইতে পারে না: বদিউল আলম মজুমদার

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, একই সংসদীয় আসনে পুরুষ ও নারী—দুজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি থাকলে সেটা কতটুকু কার্যকর হবে, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, ‘দ্বৈত প্রতিনিধিত্ব হলে এর সমস্যা হইল, ওই যে আমাদের গ্রামবাংলায় যে কথা আছে, এক ঘরে দুই পীর হইতে পারে না।’

আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর ডেইলি স্টার ভবনে ‘নারীর ক্ষমতায়নে সংসদে সরাসরি ভোটে নারী প্রতিনিধিত্ব নির্বাচন: প্রয়োজনীয়তা, চ্যালেঞ্জ ও সমাধান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বর্তমান যে নির্বাচনপদ্ধতি, সেখানে অনেক সংসদীয় আসনেই সংসদ সদস্যরা নারী সংসদ সদস্যদের যেতেই দেন না। তিনি বলেন, দৈত্ব প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি কার্যকর হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

সংরক্ষিত নারী আসন ১০০টি করা হলে ভয়াবহ মনোনয়ন–বাণিজ্য হবে বলেও মন্তব্য করেন বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তার মাধ্যমে সারা দেশে একঝাঁক নারী নেতৃত্ব বের হয়ে আসবে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে সংরক্ষণপদ্ধতির প্রয়োজনীয়তা থাকবে না।

শামা ওবায়েদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ