জামালপুরে সরকারি পুকুরের মাছ ধরে নিলেন বিএনপি নেতা
Published: 29th, March 2025 GMT
জামালপুরে সরকারি একটি পুকুরের মাছ ধরে নিয়ে গেছেন বিএনপির এক নেতা। আজ শনিবার ভোরে শহরের ফুলবাড়িয়া এলাকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কার্যালয় প্রাঙ্গণের পুকুর থেকে মাছ ধরে নিয়ে যাওয়ার এ ঘটনা ঘটে।
ওই নেতার নাম এস এম আপেল মাহমুদ। তিনি জামালপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি শহরের ফুলবাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা।
পাউবোর জামালপুর কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ ভোরে আপেল মাহমুদ জেলেসহ ১০ থেকে ১২ জন লোক নিয়ে এসে পাউবোর পুকুরে জাল দিয়ে মাছ ধরতে শুরু করেন। খবর পেয়ে পাউবোর কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা পুকুর পাড়ে গিয়ে তাঁকে মাছ ধরতে নিষেধ করেন। কিন্তু ওই নেতা তাঁদের (কর্মকর্তা ও কর্মচারী) বিভিন্নভাবে শাসান। পরে পাউবোর কর্মকর্তারা ৯৯৯–এ ফোন দিয়ে বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই ওই নেতা মাছ ধরে নিয়ে যান।
ঘটনাস্থলে যাওয়া জামালপুর সদর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো.
পাউবোর জামালপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নকিবুজ্জামান খান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, তিন মাস আগে পুকুরে মাছের পোনা ছাড়া হয়েছিল। মাছ তেমন একটা বড়ও হয়নি। হঠাৎ সকালে অফিস থেকে জানানো হয়, আপেল নামের ওই ব্যক্তি পুকুরে জাল ফেলে মাছ ধরছেন। পরে উপ–বিভাগীয় প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামসহ কয়েকজন পুকুর পাড়ে যান। কিন্তু এর আগেই তাঁরা মাছ ধরে নিয়ে গেছেন। তখন পুকুর পাড়ে ওই নেতা ও তাঁর লোকজন ছিলেন। তিনি (আপেল) শফিকুল ইসলামকে নানাভাবে হুমকিও দেন। তিনি বলেন, বিষয়টি তাঁরা বিএনপির জ্যেষ্ঠ কয়েকজন নেতাকে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এস এম আপেল মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই জায়গায় আমি মাছ ছাড়ছি। সরকারি পুকুরে আমি মাছ অবমুক্ত করছি। মাছ ধরা ও ছাড়া নিয়ে তো কোনো সমস্যা নেই। আপনি (প্রতিবেদক) আমাকে ফোন করছেন কেন?’
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন বলেন, বিএনপির দু–একজন কর্মীর অপকর্মের দায় বিএনপি নেবে না। অপকর্মের দায় তাঁকেই বহন করতে হবে। অবশ্যই তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর মকর ত ব এনপ র ওই ন ত
এছাড়াও পড়ুন:
শ্রীবরদীতে ভারতীয় জিরা নিয়ে তুলকালাম
শেরপুরের শ্রীবরদী সীমান্তে ১৬ বস্তা ভারতীয় চোরাই জিরা ও কাপড় আটক করেছেন স্থানীয়রা। পরে স্থানীয় স্বার্থান্বেষী একটি মহল আত্মসাতের উদ্দেশ্যে সেসব জিরা সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে অন্য একটি পক্ষ আবার সেই জিরা আটক করে। এ নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার ভায়াডাঙ্গা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
পরবর্তীতে হাসধরা এলাকায় দ্বিতীয়বার আটক হয়। এসময় স্থানীয়রা বেশকিছু বস্তা জিরা লুট করে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা পুলিশ ও বিজিবিকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে মালামাল উদ্ধার করে তাওয়াকুচা বিজিবি ক্যাম্পে নিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, রাত ৯টার দিকে ভারতীয় চোরাই জিরা ও কাপড় বোঝাই একটি ট্রলি ঝিনাইগাতী থেকে ভায়াডাঙ্গা বাজার দিয়ে শ্রীবরদী হয়ে শেরপুরের দিকে যাচ্ছিলো। স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে ট্রলিটি আটক করে। এসময় ট্রলি চালক কৌশলে পালিয়ে যায়।
সেসময় স্থানীয় অপর একটি পক্ষ সুকৌশলে আরেক চালককে দিয়ে ট্রলিটি সরিয়ে নিয়ে যায়। ঘটনা জানাজানি হওয়ার সাথে সাথে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে হাসধরা এলাকায় ট্রলিটি আবার আটক হয়। এসময় প্রায় অর্ধেক মালামাল লুট করে এক পক্ষ।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. ইমন আকন্দ বলেন, “আমরা ভায়াডাঙ্গা বাজারে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। পরবর্তীতে স্থানীয় কয়েকজন নেতা নতুন করে অন্য ড্রাইভার দিয়ে ট্রলি সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। আমরা অবৈধ পাচার হওয়া মালামাল জব্দ হোক এটাই চাই। এছাড়াও যারা মালামাল লুট করেছে এবং এই পাচারের সাথে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি করছি।”
এ ব্যাপারে শ্রীবরদী তাওয়াকুচা বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার আতিয়ার রহমান বলেন, “আমরা স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে ১৬ বস্তা অবৈধ মালামাল জব্দ করেছি। এই ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা চলমান আছে।”
শ্রীবরদী থানার উপ-পরিদর্শক সুলতান আহমেদ বলেন, “আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার পূর্বেই বিজিবি মালামাল জব্দ করেছে। এই ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”
ঢাকা/তারিকুল/এস