১২ দিন বন্ধ থাকবে তামাবিল স্থলবন্দরসহ সিলেটে আমদানি-রপ্তানি
Published: 29th, March 2025 GMT
সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দরসহ সিলেট অঞ্চলের সকল শুল্ক স্টেশন ১২ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ২৬ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে।
একই সময়ে তামাবিল, শেওলা, সুতারকান্দি, ভোলাগঞ্জ ও জকিগঞ্জ শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে। সব কয়টি বন্দরের সঙ্গে মিল রেখে এই ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ৭ এপ্রিল থেকে ফের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু হবে।
শনিবার (২৯ মার্চ) যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক থাকবে জানিয়ে তামাবিল স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘‘পাথর আমদানিকারক গ্রুপ আমাদের একটি চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, তারা আমদানি কার্যক্রম বন্ধ রাখবে। আমাদের সরকারি বন্ধ যেটা সেটাই। তাদের চিঠির আলোকে বলা যায়, আমদানি কার্যক্রম ২৬ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।”
ঢাকা/নূর/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’