নিউ জিল্যান্ডের ঘোরোয়া ক্রিকেট থেকে অবসরে ওয়াগনার
Published: 29th, March 2025 GMT
নিল ওয়াগনারই সবশেষ পেসার, যিনি ওভারের ৬টা বলের সবগুলো ব্যাটসম্যানের বুক তাক করে করতেন। নিউ জিল্যান্ডের এই অগ্রাসী পেসার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরে গিয়েছিলেন ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতেই। শনিবার (২৯ মার্চ) প্লাঙ্কেট শিল্ডে শুরু হওয়া নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টস ও ওটাগোর মধ্যকার ম্যাচটি এই বাঁহাতি পেসারের, নিজ দেশের ঘরোয়া আসরের শেষ ম্যাচ। যদিও এই ৩৯ বছর বয়সী পেসার ইংলিশ কাউন্টি ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে যাবেন।
ওয়াগনার আজ থেকে শুরু হওয়া চার দিনের ম্যাচে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টসের হয়ে খেলছেন। প্লাঙ্কেট শিল্ডের চূড়ান্ত রাউন্ডে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টস যদি ম্যাচ জিততে পারে, তাহলে এই মৌসুমের শিরোপাও জিতবে তারা। তাহলে ওয়াগনারের বিদায় হতে পারে গল্পের মতো। চূড়ান্ত রাউন্ডের আগে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টস ৮৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে রয়েছে, তবে ওয়েলিংটন (৮২) এবং ক্যান্টারবুরি (৮০) এখনও শিরোপা জয়ের দৌড়ে রয়েছে।
ওয়াগনার তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেন, “১৭ বছর আগে আমি নিউ জিল্যান্ডে এসেছিলাম এবং এখানে আমার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলাম ওটাগোর বিপক্ষে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টসের হয়ে! কাল (আজ) এই যাত্রার সম্পূর্ণ পূর্ণচক্র হবে। নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টসের হয়ে আমার শেষ ম্যাচ খেলব ওটাগোর বিপক্ষে। এরপর আমি বিদেশে চলে যাব এবং কাউন্টি ক্রিকেট খেলব ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ নিব! আমি অত্যন্ত সৌভাগ্যবান যে, আমি এই দুইটি দারুণ অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরেছি, যারা আমাকে ব্ল্যাকক্যাপ হওয়ার জন্য সর্বোচ্চ স্তরে খেলার সুযোগ দিয়েছে! অনেক অসাধারণ স্মৃতি রয়েছে। আমার বন্ধুদের ধন্যবাদ জানাতে চাই, যারা এই বছরগুলিতে আমার সঙ্গে ছিল। আমার পরিবারকেও তাদের অসাধারণ ভালোবাসা এবং সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ দিব।”
আরো পড়ুন:
কিউদের বদলি অধিনায়ক ল্যাথামও চোটে
পাকিস্তানের বিপক্ষে না খেলে, আইপিএল খেলবেন স্যান্টনার-রাচিনরা
২০০৫-০৬ মৌসুম থেকে, ওয়াগনার নিউ জিল্যান্ডে ১৩৩টি ম্যাচ খেলেছেন। নিয়েছেন ৫৬০টি প্রথম শ্রেণির উইকেট। গড় ছিল ২৭.
প্লাঙ্কেট শিল্ডে, ওয়াগনারের ৩৬৫ উইকেট তাকে সর্বকালের সেরা উইকেট শিকারীর তালিকায় উপরের দিকেই রেখেছেন। তার চেয়ে বেশি উইকেট পেয়েছেন কেবল স্টিফেন বক (৪৯২), ইউওয়েন চ্যাটফিল্ড (৩৭০) এবং ডেভিড ও’সালিভান (৩৬৮)।
ঢাকা/নাভিদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘আমি একা হয়ে গিয়েছিলাম’—তামিমের আবেগঘন স্বীকার
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল সমকালের সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ২০২৩ সালে তার আন্তর্জাতিক অবসর অপ্রত্যাশিত বা আবেগঘটিত কোনো সিদ্ধান্ত নয়। বরং ছয় থেকে আট মাস ধরে চলা দৃঢ় মানসিক চাপ ও দল থেকে বঞ্চনার কারণেই তিনি বাধ্য হয়েছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়ে দিতে।
তামিম বলেন, ‘যখন ২০২৩ সালে খবরটা দিলাম, অনেক মিডিয়া ধারণা করেছে আবেগে ছেড়েছি। কিন্তু সত্যিই, আমি দীর্ঘ সময় সমস্যার ভেতর দিয়ে যাচ্ছিলাম।’
এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তামিম যোগ করেন, ‘সেখানে আমি একা অনুভব করতে শুরু করি। আমি সব সময় সবাইকে নিয়ে গল্প করতে পছন্দ করি। আড্ডা দিতে ভালোবাসি। হঠাৎ এসব থেকে আমাকে একা করে দেওয়া হলো। সেই অভাবটা আমি মেনে নিতে পারিনি।’
তামিম জানালেন, ‘অবসর জানাতে আমার পরিবারের সঙ্গেই কথা হয়েছে। হ্যাঁ, যেদিন ঘোষণা দিয়েছি, সেদিন আবেগাপ্লুত ছিলাম। তবে বেশ আগেই যে প্রেক্ষাপট তৈরি হতে শুরু করেছে, তা অনেকেই জানেন না।’