পাবনার বেড়া পৌর এলাকায় ছয় বছরের একটি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী অভিযুক্ত ব্যক্তির বাড়িতে আগুন দিয়েছেন। আজ শনিবার রাত ৮টার দিকে আগুন দেওয়ার এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসীর সহায়তায় পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করেছে।

পুলিশ ও শিশুটির স্বজনদের ভাষ্য, আজ বিকেলে ভ্যানচালক গোলজার হোসেনের (৪৮) বাড়িতে কেউ ছিল না। এ সময় তিনি মেয়েটিকে তাঁর ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। বাড়ি ফিরে শিশুটি যন্ত্রণায় কান্নাকাটি করতে থাকলে বিষয়টি জানাজানি হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে বাড়ির লোকজন শিশুটিকে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পাবনা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন।

বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তাহমিনা সুলতানা বলেন, ‘সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে শিশুটিকে হাসপাতালে আনা হয়। প্রাথমিকভাবে আমরা ধর্ষণের আলামত পেয়েছি। শিশুটির যৌনাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে শিশুটিকে পাবনা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।’

স্থানীয় সূত্র জানায়, ঘটনা জানাজানি হলে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার পর থেকে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী গোলজারকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ তাঁকে আটক থানায় নিয়ে যায়। এরপর এলাকাবাসী বেড়া পৌর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। একপর্যায়ে গোলজারের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আগুনে আসবাবসহ ঘর পুড়ে গেছে।

আগামীকাল রোববার সকাল ১০টায় ধর্ষকের বিচারের দাবিতে এলাকাবাসী বেড়া পৌর এলাকার কানাইবাড়ি মোড়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবেন। এদিকে জাতীয়তাবাদী তাঁতি দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ ইউনুছ আলী দরিদ্র পরিবারের শিশুটির চিকিৎসা ও আইনি সহায়তার দায়িত্ব নিয়েছেন।

বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অলিউর রহমান বলেন, অভিযুক্ত গোলজারকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এল ক ব স র এল ক

এছাড়াও পড়ুন:

জাহাঙ্গীরনগরে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন একটি ভবন থেকে পড়ে মো. আরিফুল (৩০) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন নতুন গ্রন্থাগারে গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

আহত অবস্থায় আরিফুলকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে নেওয়া হয়। সেখান থেকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সন্ধ্যার দিকে তিনি মারা যান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের চিকিৎসক নিংতম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁকে কয়েকজন উদ্ধার করে মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে আসেন। জানানো হয়, তিনি ভবন থেকে পড়ে গেছেন। অবস্থা খারাপ দেখে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে এনাম মেডিকেলে পাঠানো হয়। তাঁর মুখে ক্ষত ছিল এবং দাঁত পড়ে গিয়েছিল।

ভবনটি নির্মাণ করছে অনিক ট্রেডিং করপোরেশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানের প্রধান প্রকৌশলী মোমিনুল করিম বলেন, ‘আমাদের নির্মাণকাজ বর্তমানে বন্ধ আছে। তবে কিছু শ্রমিক সেখানে থাকেন। দুপুরে ফোনে জানতে পারি, একজন শ্রমিক পড়ে গেছেন। সম্ভবত অসাবধানতাবশত হাঁটাচলার সময় এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।’

এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপক সুলতান বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একজন রোগী এসেছিলেন। তিনি ছাদ থেকে পড়ে গেছেন। আমাদের হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তাঁর মৃত্যু হয়।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম রাশিদুল আলম গতকাল রাতে বলেন, ‘খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা জানিয়েছে, একজন শ্রমিক মারা গেছেন। এমন একটি ঘটনা আমাদের আগেই জানানো হয়নি কেন, তা জিজ্ঞাস করেছি। বিষয়টি প্রো-ভিসি (প্রশাসন) দেখছেন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ