রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে ইতোমধ্যে রাজধানী ছেড়েছেন অনেক মানুষ। তবে, বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে যারা এখনো ঢাকা ছাড়তে পারেননি, তারা ঈদের আগের দিন নিজ নিজ বাড়িতে ফিরছেন। এসব মানুষের অনেকেই ট্রেনের যাত্রী। তাই, ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশনে বেড়েছে যাত্রীদের চাপ। 

বাংলাদেশ রেলওয়ে যাত্রী সাধারণের কথা বিবেচনা করে রোববার (৩১ মার্চ) বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে। এদিন সকাল থেকেই প্রতিটি ট্রেন নির্ধারিত সময়ে স্টেশন ত্যাগ করেছে।

রেল সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রবিবার কমলাপুর স্টেশনে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করছেন অসংখ্য মানুষ। কোনো ট্রেন কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছানোমাত্রই যাত্রীরা তাতে উঠছেন। 

কমলাপুর রেল স্টেশনের ম্যানেজার আনোয়ার হোসেন বলেছেন, প্রতিটি ট্রেন নির্ধারিত সময়ে স্টেশন ত্যাগ করছে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রায় ২০টি ট্রেন বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে কমলাপুর স্টেশন ছেড়েছে। সবগুলো ট্রেন নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যাবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমরা চেষ্টা করছি, যেন ট্রেনের ছাদে কেউ উঠতে না পারে। অনেকেই নিয়মের বাইরে গিয়ে ট্রেনের ছাদে ওঠার চেষ্টা করছেন। আমরা তাদের নামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি।”

স্টেশনে অপেক্ষারত চাঁপাই এক্সপ্রেসের যাত্রী মোহাম্মদ আলী বলেন, “আমাদের ট্রেন এখনো আসেনি। আশা করছি, ট্রেনে ভালোভাবেই উঠতে পারব। তবে, সিট ঠিকমতো পাব কিনা, তা নিয়ে চিন্তায় আছি।”

আরেক যাত্রী হেদায়েত উল্লাহ বলেন, “ট্রেনে সিট পেয়েছি। তবে, মানুষের চাপ বেশি। কেউ কেউ সিট না পেয়ে দাঁড়িয়ে যাত্রা করছেন। এতে কিছুটা হলেও সমস্যা হচ্ছে। ঈদ বলে কথা। ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে হলে একটু সমস্যা মেনে নিতে হবে।”

ঢাকা/এমআর/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল

১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।

১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।

১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।

মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।

বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে  গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।

আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে

২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।

কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।

ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি

সম্পর্কিত নিবন্ধ