সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ পালন করছেন পিরোজপুর নাজিরপুর উপজেলার অর্ধশত পরিবার। আজ রোববার সকাল ৮টায় উপজেলার শেখমাটিয়া ইউনিয়নের রঘুনাথপুর খেজুরতলা গ্রামের আল আমীন মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

শেখমাটিয়া ইউনিয়নের খেজুরতলা গ্রামের পল্লি চিকিৎসক মো. হুমায়ুন কবির জানান, তারা প্রায় অর্ধশত  পরিবারের ৬০ নারী ও পুরুষ স্থানীয় খেজুরতলা বাজারের আল-আমিন মসজিদে সকাল ৮টায় ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। ওই নামাজে ইমামতি করেন স্থানীয় স্কুলশিক্ষক মাওলানা মো.

কামরুজ্জামান।  

তারা গত ১৭ বছর ধরে এ মসজিদে ঈদের নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করছেন। তিনি আরও জানান, তারা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা শুরু করেছিলেন। আর সে অনুযায়ী, শনিবার তাদের ২৯টি রোজা পূর্ণ হয়। আজ রোববার তারা সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন।   

সরেজমিনে দেখা গেছে, মসজিদের সামনের অংশে নামাজ আদায় করছেন পুরুষ মুসল্লিরা। আর পেছনের অংশে (বারান্দায়) কাপড় দিয়ে আটকে পর্দাবেষ্টিত করে নামাজ আদায় করছেন নারীরা। 

নামাজে অংশ নেওয়া স্থানীয় নারীরা জানান, ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে সবাই একসঙ্গে নামাজ আদায় করছি। নামাজ শেষে ঈমামের নেতৃত্বে বিশ্বের সব নর-নারীর জন্য মঙ্গল কমনা করে দোয়া করা হয়।

প্রসঙ্গত, শুরেশ্বর পীরের অনুসারীরা প্রতি বছর সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দুই ঈদ পালন করে থাকেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দ য় কর করছ ন মসজ দ

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ