‘সিকান্দার’-এর জন্য সানি দেওলের শুভকামনা, কী বলছেন অন্য তারকারা
Published: 30th, March 2025 GMT
‘সিকান্দার’ মুক্তি পেয়েছে রোববার। ঈদে আবার সালমান খানের ধামাকা এন্ট্রি হলো বলে প্রশংসায় ভাসতে শুরু করেছে ‘সিকান্দার মুক্তির প্রথম দিনই প্রশংসায় ভাসলেও সিকান্দার কিন্তু লড়াইয়ের মুখেই থাকছে। লড়াইটা মোহনলালের ‘এল২ এমপুরান’ আর সানি দেওলের ‘জাট’ সিনেমার সঙ্গে।
কয়েক দিন আগে অবশ্য সালমান খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘অভিনেতা মোহনলালকে আমি খুব সম্মান করি। এই ছবির পরিচালক পৃথ্বীরাজ সুকুমারন। আমার বিশ্বাস, এটাও এক ধুন্ধুমার সিনেমা হবে। এরপর সানির (দেওল) “জাট” আসছে। আমি চাই যে সব বহুজাতিক কোম্পানি তাদের কর্মচারীদের বেতন যেন বাড়িয়ে দেয়। কারণ, পরপর তিনটি ছবি আসছে (সজোরে হেসে)।’ সানি দেওলের ‘জাট’ মুক্তি পাবে ১০ এপ্রিল। ‘জাট’-এর সঙ্গে যেখানে সালমান খানের ‘সিকান্দার’-এর লড়াই জমবে বলে মনে করা হচ্ছে, সেখানে সানি দেওল কী বলছেন!
লড়াইকে পাশে সরিয়ে সানি দেওল বরং ‘সিকান্দার’-এর জন্য শুভকামনাই জানিয়েছেন। রোববার সকালে নিজের ইনস্টাগ্রামে ‘সিকান্দার’-এর পোস্টার শেয়ার করেছেন। এরপর সানি সেখানে লিখেছেন, ‘প্রিয় সালমান খান, “সিকান্দার”-এর জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা। চাক দে ফাট্টে।’
এসেছিলেন সানি দেওলও। এএফপি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পটুয়াখালীতে সৎমা ও দাদিকে গলা কেটে হত্যা
পটুয়াখালীতে কুলসুম বেগম ও মোসা. সাহিদা বেগম নামের দুই নারীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক তরুণের বিরুদ্ধে। আজ শুক্রবার বেলা একটার দিকে সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের চারাবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত আল আমিন (২৭) সম্পর্কে নিহত সাহিদা বেগমের সৎছেলে এবং বৃদ্ধা কুলসুম বেগমের নাতি। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক। পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত দুই নারীর স্বজন মো. আশ্রাফ খাঁ জানান, আল আমিন দীর্ঘদিন ধরে অস্বাভাবিক চলাফেরা করছেন। এরপর তাঁর পরিবার তাঁকে মানসিক হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। দুপুরে আল আমিনের বাবা রাজ্জাক খাঁ পাশের একটি মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে গেলে আল আমিন দা দিয়ে গলা কেটে তাঁর সৎমা সাহিদা বেগম ও বৃদ্ধ দাদি কুলসুম বেগমকে হত্যা করেন।
বাহাদুর আলম খাঁ (৫০) নামের এক আত্মীয় বলেন, নিহত সাহিদা সম্পর্কে তাঁর চাচিশাশুড়ি এবং কুলসুম বেগম দাদিশাশুড়ি। দুপুরে বাড়ির সবাই জুমার নামাজ পড়তে গেলে মানসিক ভারসাম্যহীন ছোট ছেলে আল আমিন রান্নার কাজে ব্যবহৃত ধারালো দা দিয়ে প্রথমে সৎমা এবং পরে দাদিকে গলা কেটে হত্যা করেন। তিনি বলেন, আল আমিন মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করে পটুয়াখালী সরকারি কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। এরপর তিন বছর আগে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতে যান। সেখান থেকে বাড়িতে ফিরে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করেন। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে চিকিৎসক দেখালেও সুস্থ হননি।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইমতিয়াজ আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, দুই নারীকে হত্যার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। হত্যাকাণ্ড ঘটানো ব্যক্তি ওই পরিবারের সদস্য। ঘটনার পর মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। জড়িত তরুণ এখন পলাতক। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন কি না, তদন্ত করে দেখা হবে।