বিশ্বের অনেক দেশের মতো সংযুক্ত আরব আমিরাতে রবিবার মুসলমানদের পবিত্র ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপন হয়। দেশটির সর্ববৃহৎ শেখ জায়েদ মসজিদে ঈদের জামাতে সবচেয়ে বেশি মুসল্লির সমাগম হয়।

স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

আমিরাতের প্রেসিডেন্ট থেকে শুরু করে প্রথম সারির সরকারি-বেসরকারি শেখরা এই মসজিদে নামাজ আদায় করেন। সরকারি ও কূটনৈতিক ব্যক্তিরা এই মসজিদে নামাজ আদায় করার কারণে সারা রাত মসজিদে অতিরিক্ত নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। তবে কূটনৈতিক ব্যক্তিরা এ মসজিদে নামাজ আদায় করলেও সাধারণ মানুষের প্রবেশে কোনো বাধা ছিল না। এখানে সব দেশের পেশাজীবী মানুষকে নামাজ আদায়ের সুযোগ দেওয়া হয়। তবে নিরাপত্তা-সংক্রান্ত কারণে মসজিদের ভেতর প্রবেশ করতে অনেক সময় লেগে যায়। মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করার জন্য রাত ৩টা থেকেই মুসল্লিরা মসজিদে আসা শুরু করেন।

আরো পড়ুন:

পঞ্চগড়ের যে মসজিদে প্রতিদিন ইফতার করেন ৩০০ জন

দেশের সব মসজিদে একই পদ্ধতিতে খতমে তারাবিহ পড়ার আহ্বান

মসজিদের ভেতর প্রবেশ করার আগে প্রথম সিকিউরিটি গেটে কোনো বাধা না থাকলেও দ্বিতীয় সিকিউরিটি গেট থেকে বডি চেকিংয়ে মাধ্যমে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়। সিকিউরিটি ব্যবস্থা এতটাই কড়াকড়ি যে, গেটের বাইরে হাজার হাজার মানুষের ভিড় জমে যায় কিন্তু মসজিদের ভেতর ঢোকার আগেই নামাজ শুরু হয়ে যায়। যার ফলে নামাজ পড়তে আসা এক-তৃতীয়াংশ লোক ভেতরে প্রবেশ করতে পারেননি। তারা বাইরে নামাজ আদায় করেন।

২০০৭ সালে নির্মিত শেখ জায়েদ মসজিদটি আরব আমিরাতে আয়তনে সবচেয়ে বড় মসজিদ ও বিশ্বের ২৩তম বৃহত্তম মসজিদ। এই মসজিদের ভেতরে ৪১ হাজার মুসল্লির নামাজ আদায় করার ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে অমুসলিম ভিজিটরদেরও প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। তবে কিছু নিয়ম-কানুনের মধ্য দিয়ে তারা ভেতরে প্রবেশ করতে পারেন।

ঢাকা/রাসেল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মসজ দ ঈদ প রব শ ক আম র ত

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাম্পবিরোধী স্লোগান দিয়ে উড়োজাহাজে গ্রেপ্তার ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুক্তরাজ্যের নাগরিক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পতন চেয়ে স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে যুক্তরাজ্যে ৪১ বছর বয়সী এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত রোববার লন্ডনের লুটন বিমানবন্দর থেকে গ্লাসগোগামী একটি ফ্লাইটে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই ব্যক্তির নাম অভয় নায়েক। তিনি লন্ডনের কাছে বেডফোর্ডশায়ারের লুটন শহরের বাসিন্দা।

অভয় নায়েক ইজিজেট ফ্লাইটে হামলা ও যাত্রীদের নিরাপত্তাঝুঁকিতে ফেলার মতো আচরণ করেছেন। তিনি উড়োজাহাজে বোমা ফাটানোর হুমকি দিয়েছিলেন। তিনি মাঝ আকাশে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় স্লোগান দিয়ে চিৎকার করেছিলেন, যা যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়।

ওই ঘটনার একটি ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, অভয় নায়েক স্লোগান দিচ্ছেন, ‘আমেরিকার পতন হোক’, ‘ট্রাম্পের পতন হোক’। এরপরই তিনি ‘আল্লাহু আকবর’ (যার অর্থ ‘আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ’) বলে স্লোগান দেন। পরে দুজন ব্যক্তি তাঁকে কাবু করে উড়োজাহাজের মেঝেতে ফেলে দেন।

ওই ব্যক্তির নাম অভয় নায়েক। তিনি কোন ধর্মের অনুসারী, সে ব্যাপারে তাৎক্ষিণক কিছু জানা যায়নি।

ওই ব্যক্তির এমন আচরণের পর পাইলটরা বাধ্য হয়ে গ্লাসগোতে জরুরি অবতরণ করেন। সেখানেই স্কটিশ পুলিশ এসে অভয় নায়েককে গ্রেপ্তার করে।

স্কটল্যান্ডের পুলিশ এক বিবৃতিতে জানায়, ‘গত রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ২০ মিনিটের দিকে গ্লাসগোতে পৌঁছানো ইজিজেটের একটি ফ্লাইটে এক ব্যক্তি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন এমন খবর পেয়ে আমরা সেখানে যাই।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা মনে করি, ঘটনাটি এককভাবে ওই ব্যক্তির, অন্য কেউ জড়িত নন। যেসব ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়েছে, সেগুলো সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকর্তারা খতিয়ে দেখছেন।’

উড়োজাহাজ অবতরণের পরই অভয় নায়েককে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আক্রমণ ও যাত্রীদের নিরাপত্তাঝুঁকিতে ফেলার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের কোনো অভিযোগ আনা হয়নি।

ইজিজেট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘বেপরোয়া আচরণের কারণে একজন যাত্রীকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আমরা কর্তৃপক্ষকে তদন্তে সহযোগিতা করছি।’

পাইসলি শেরিফ আদালতে হাজিরার সময় অভয় নায়েক কোনো বক্তব্য দেননি। তাঁকে বিচারিক হেফাজতে পাঠানো হয়েছে এবং আগামী সপ্তাহে তাঁকে আবার আদালতে হাজির করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ