হবিগঞ্জের বাহুবলে গৃহবধূকে উত্যক্ত করার জেরে ৩ গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার মিরপুর বাজার সংঘর্ষ শুরু হয়। সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তিন গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। 

এতে শতাধিক লোকজন আহত হয়েছেন। আহতদের বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। 

বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

জাহেদুল ইসলাম জানান, আজ দুপুরে উপজেলার বানিয়াগাও গ্রামের এক যুবক তার স্ত্রীকে নিয়ে চা বাগানে ঘুরতে যান। এসময় চারগাও গ্রামের ৩ যুবক তার স্ত্রীকে উত্যক্ত করে। এ নিয়ে বিকেলে ওই গৃহবধূর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে চারগাও গ্রামের ৩ যুবকের কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে সন্ধ্যায় মাইকে ঘোষণা দিয়ে টর্চ জ্বালিয়ে দুই গ্রামের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে বানিয়াগাও গ্রামের পক্ষ নেয় জয়পুর গ্রামের লোকজন। এতে মিরপুর বাজার রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনার চেষ্টা করছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ঘর ষ ল কজন

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’

নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’

ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্‌রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ