মাথায় মৃত্যুর খাঁড়া নিয়ে ‘সিকান্দার’ সিনেমার শুটিং করছিলেন সালমান খান। তাই এই ছবি নিয়ে তাঁর ভক্তদের প্রত্যাশা ছিল তুঙ্গে। তবে সব প্রত্যাশা ভেঙে গেছে। সিনেমা নিয়ে আলোচনা চললেও বক্স অফিস সংগ্রহ হতাশ করছে ‘সিকান্দার’।
এর মধ্যেই সালমানের একটি মন্তব্য সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেই ভিডিওতে আক্ষেপ করতে দেখা গিয়েছে ভাইজানকে। অন্য তারকাদের ছবি মুক্তি পেলে সালমান উৎসাহ দিয়ে থাকেন। প্রকাশ্যে সেই ছবি দেখার আবেদন করেন। কিন্তু তাঁর ছবির বেলায় যেন গোটা বলিউড নীরব।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি সালমানের সামনে তুলে ধরেন সঞ্চালক। এই প্রশ্ন করার পরে সালমানের অভিব্যক্তি দেখে অনুরাগীদের মন ভেঙেছে।
সালমান বলেছেন, ‘ওরা সবাই হয়তো ভাবে, আমার ছবির জন্য আলাদা করে উৎসাহ দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু সবার উৎসাহের দরকার পড়ে।’
ইদে মুক্তি পেয়েছে ‘সিকন্দর’। ইদের সময় ভাইজানের ছবি মুক্তি পেলে প্রেক্ষাগৃহ ভরে উঠতে সময় লাগত না। কিন্তু এই বার ব্যতিক্রমের সাক্ষী থাকলেন সালমান। অধিকাংশ দিনই প্রেক্ষাগৃহ ভরল না। অধিকাংশ প্রেক্ষগৃহই খালি। সূত্র: আনন্দবাজার।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
চেন্নাইয়ের বিদায়, অবসরের ইঙ্গিত দিলেন ধোনি!
আইপিএল ২০২৫-এর প্লে-অফে জায়গা হলো না চেন্নাই সুপার কিংসের। ঘরের মাঠ এম চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে পাঞ্জাব কিংসের কাছে ৪ উইকেটে হেরে এবারের আসর থেকে ছিটকে গেছে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর শুধু চেন্নাইয়ের বিদায়ই নয়, আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন ‘ক্যাপ্টেন কুল’ ধোনি। শুরু হয়েছে জোর গুঞ্জন—এটাই কি তার শেষ আইপিএল?
ম্যাচ শুরুর আগেই টসের সময় ধোনিকে ঘিরে তৈরি হয় রহস্য। ধারাভাষ্যকার ড্যানি মরিসনের সরাসরি প্রশ্ন ছিল, ধোনি কি আগামী মৌসুমেও আইপিএলে দেখা যাবে? জবাবে হেসে ধোনি বলেন, ‘আমি তো জানি না পরের ম্যাচেই খেলব কি না।’ এই মন্তব্যেই ধোনির ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা। যদিও ম্যাচ শেষে নিজের ক্রিকেট ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি ধোনি। তাকেও সে ব্যাপারে আর প্রশ্ন করেননি সঞ্চালক।
ধোনির মন্তব্যে সাবেক অস্ট্রেলিয়ান উইকেটকিপার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট বলেন, ‘ধোনি একজন চিরস্মরণীয় কিংবদন্তি। তার আর কিছু প্রমাণের নেই। সম্ভবত এবার সরে দাঁড়ানোর সময় এসেছে। যদিও ভক্তদের জন্য তা কষ্টদায়ক হবে।’
চেন্নাই প্রথমে ব্যাট করে ১৯১ রান তোলে। স্যাম কারানের ৮৮ রানের ইনিংস ছাড়া ব্যাট হাতে কেউই তেমন জ্বলে উঠতে পারেননি। শেষ দিকে যুজবেন্দ্র চাহালের হ্যাটট্রিকে মাত্র ৪ বল বাকি থাকতে গুটিয়ে যায় ইনিংস। চাহাল ৪ উইকেট নেন, জানসেন ও আর্শদীপ নেন ২টি করে।
জবাবে পাঞ্জাবের হয়ে ঝড়ো সূচনা এনে দেন প্রিয়াংশ আর্য ও প্রভসিমরান সিং। প্রভসিমরান খেলেন ৩৬ বলে ৫৪ রানের দারুণ ইনিংস। এরপর শ্রেয়াস আইয়ারের ৭২ রানের অনবদ্য ইনিংস এবং শশাঙ্ক সিংয়ের শেষের ২৩ রানের ক্যামিওতে দুই বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় পাঞ্জাব। এই জয়ে তারা উঠে এসেছে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে।