শরীয়তপুরে বালতিতে ককটেল ভরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০
Published: 5th, April 2025 GMT
বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ। এখান-সেখানে বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হচ্ছে একের পর এক ককটেল। আর ধোঁয়ার কুণ্ডলী এড়িয়ে দিগ্বিদিক ছুটছেন মানুষজন। তাঁদের কয়েকজনের হাতে আবার বালতি। সেখান থেকেই ককটেল নিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজনকে লক্ষ্য করে এসব ছুড়ছেন তাঁরা। এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
ঘটনাটি শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের দূর্বাডাঙ্গা এলাকার। দুই পক্ষের এমন সংঘর্ষের একটি ১৫ সেকেন্ডের ভিডিও আজ শনিবার সকালে থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আজ সকালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ ঘটনায় নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। আহত ব্যক্তিদের জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় কয়েক বাসিন্দার সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারে স্থানীয় বাসিন্দা কুদ্দুস ব্যাপারী ও জলিল মাতবরের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। তাঁরা উভয়ই আবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তাঁদের মধ্যে কুদ্দুস ব্যাপারী বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। অন্যদিকে জলিল মাতবর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য। আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতার সময়ও তাঁদের মধ্যে বিরোধ ছিল প্রকাশ্যে। গত দুই বছরে ওই এলাকায় এই দুই পক্ষের মধ্যে অন্তত ১০টি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ দুই পক্ষই বালতিতে করে ককটেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভিডিওতে আরও দেখা যায়, খোলা মাঠে উভয় পক্ষের লোকজন মুখোমুখি অবস্থানে। সেখানে অনেকের হাতে বালতি। কেউ কেউ হেলমেট পরিহিত। ছুটতে ছুটতে প্রতিপক্ষকে লক্ষ্য করে বালতি থেকে হাতবোমা নিক্ষেপ করা হচ্ছে। মুহূর্তেই সেগুলো বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়ে ধোঁয়ার সৃষ্টি করছে।
সংঘর্ষের বিষয় জানতে কুদ্দুস ব্যাপারী ও জলিল মাতবরের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হয়। কিন্তু তাঁরা ফোন ধরেননি। খুদে বার্তা পাঠিয়েও তাঁদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সেখানে বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে জানিয়ে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল আখন্দ বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো পক্ষই লিখিত অভিযোগ করেনি। এ বিষয়ে পরবর্তী সময় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইসরায়েলের নতুন হামলায় ইরানের আইআরজিসির গোয়েন্দা প্রধান নিহত
ইরানের রাজধানী তেহরানে এবং আশপাশের এলাকায় অবস্থিত সামরিক স্থাপনাগুলোতে নতুন করে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
স্থানীয় সময় রবিবার (১৫ জুন) বিকেলে চালানো এ হামলায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) গোয়েন্দা প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ কাজেমি এবং তার ডেপুটি হাসান মোহাকিক নিহত হয়েছেন।
রবিবার রাতে ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন ও সংবাদ সংস্থাগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।
আরো পড়ুন:
ইসরায়েলে ৫০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল ইরান, তেল আবিব ও হাইফাতে সরাসরি আঘাত
ইরানে আবারো হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আরো জানিয়েছে, তেহরানে ইসরায়েলের নতুন হামলায় আইআরজিসির তৃতীয় ঊর্ধ্বতন গোয়েন্দা কর্মকর্তা মোহসেন বাঘেরিও নিহত হয়েছেন।
এর আগে, শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে ইরানের রাজধানী তেহরানে ইসরায়েলের প্রথম হামলায় সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি, আইআরজিসির কমান্ডার হোসেইন সালামিসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা এবং অন্তত ছয় জন পরমাণু বিজ্ঞানীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছিল ইরান।
রবিবার ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শুক্রবার ও শনিবার ইরানজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় ১২৮ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন প্রায় ৯০০ জন। হতাহতদের মধ্যে কমপক্ষে ৪০ জন নারী এবং বেশ কয়েকজন শিশু রয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ