Samakal:
2025-05-01@07:11:08 GMT

হামজার নতুন মাইলফলক

Published: 5th, April 2025 GMT

হামজার নতুন মাইলফলক

বিশ্বকাপ এলেই ফুটবল নিয়ে দেশের মানুষের উন্মাদনা চোখে পড়ে, ব্রাজিল-আর্জেন্টিনাকে ঘিরে তৈরি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ। অথচ সেই তুলনায় দেশের ফুটবলের প্রতি আগ্রহ বরাবরই কম। তবে সময় বদলাচ্ছে, আর বদলের অন্যতম নাম হামজা চৌধুরী। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের এই মিডফিল্ডারের আগমনে বাংলাদেশের ফুটবলে যেন নতুন করে প্রাণ ফিরেছে।

সম্প্রতি ভারতের মাটিতে বাংলাদেশ জাতীয় দলের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে বড় ভূমিকা রেখেছেন হামজা। ভারতকে রুখে দিয়ে এশিয়া কাপের যোগ্যতা অর্জনের পথে এগিয়ে গেছে লাল-সবুজের দল। আর অভিষেক ম্যাচেই নজর কাড়েন হামজা, যিনি ইংল্যান্ডে বেড়ে ওঠা হলেও রক্তে টান অনুভব করেছেন বাংলাদেশের।

বাংলাদেশের হয়ে খেলা শুরুর এক মাসও হয়নি, এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া। ফেসবুকে হামজার অনুসারীর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০ লাখ, এক মিলিয়ন! এই ভালোবাসায় মুগ্ধ হামজা নিজেই। ফেসবুকে ভক্তদের উদ্দেশে তিনি লেখেন, 'এক মিলিয়ন ফলোয়ার! আলহামদুলিল্লাহ। আপনাদের সমর্থনের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ।'

২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ চালু করেন হামজা। শুরুতে খুব বেশি সক্রিয় না থাকলেও, বাংলাদেশে আসার পর পোস্ট করেছেন শৈশবের কিছু ছবি ও ভিডিও। ভক্তদের ভালোবাসায় সাড়া দিয়ে এগিয়ে চলা এই মিডফিল্ডার এখন শুধু মাঠেই নয়, ভক্তদের মনেও স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছেন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

হাজার কোটি টাকা নিট মুনাফার মাইলফলকে সিটি ব্যাংক

২০২৪ সালে এক অনন্য মাইলফলক স্থাপন করেছে দেশীয় মালিকানাধীন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সিটি ব্যাংক। গত বছর ব্যাংকটি সমন্বিতভাবে ১,০১৪ কোটি টাকা নিট মুনাফা করেছে যা এখন পর্যন্ত ব্যাংকের ৪২ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। সিটি ব্যাংক এককভাবে ১,০৮৫ কোটি টাকা নিট মুনাফা অর্জন করলেও সহযোগী দুটি প্রতিষ্ঠানের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের বাজারমূল্য হ্রাস পাওয়ায় প্রভিশন ব্যয় হওয়ার কারণে ব্যাংকের সমন্বিত নিট মুনাফা ১,০১৪ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। সিটি ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

২০২৩ সালে ব্যাংকটির সমন্বিত নিট মুনাফা ছিল ৬৩৮ কোটি টাকা। সে তুলনায় ২০২৪ সালে সমন্বিত মুনাফা বেড়েছে ৩৭৬ কোটি টাকা বা ৫৯ শতাংশ- যা সিটি ব্যাংকের ইতিহাসে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি।

মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের সভায় ২০২৪ সালের আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করে ব্যাংকটি। সেই সঙ্গে ঘোষণা করা হয় ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ, যার মধ্যে ১২.৫ শতাংশ নগদ এবং ১২.৫ শতাংশ বোনাস। গত বছরও একই হারে লভ্যাংশ দিয়েছিল সিটি ব্যাংক। শেয়ারধারীদের অনুমোদনের পর এই লভ্যাংশ বার্ষিক সাধারণ সভায় বিতরণ করা হবে। ঘোষিত নগদ লভ্যাংশে ব্যয় হবে প্রায় ১৭০ কোটি টাকারও বেশি। পাশাপাশি বোনাস হিসেবে প্রতি ১০০ শেয়ারের বিপরীতে ১২.৫টি নতুন শেয়ার দেওয়া হবে।

রেকর্ড মুনাফার প্রভাব পড়েছে ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয়েও। ২০২৩ সালের ৪.৭৪ টাকার তুলনায় ২০২৪ সালে ইপিএস বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.৫৩ টাকায়, অর্থাৎ প্রবৃদ্ধি ৫৮.৯ শতাংশ। একইভাবে শেয়ারপ্রতি প্রকৃত সম্পদমূল্য বেড়ে হয়েছে ৩৪.৩৯ টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় ৫.৩৮ টাকা বা ২০.৪১ শতাংশ বেশি।

রেকর্ড মুনাফার কারণ জানতে চাইলে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফিন বলেন, ‘মানুষ আমাদের ওপর আস্থা রেখে আমানত রেখেছে। আয়-ব্যয়ের অনুপাত ৬০ শতাংশ থেকে কমে ৪২ শতাংশে নেমে এসেছে। ফলে মুনাফায় বড় উল্লম্ফন ঘটেছে। আমরা কর্মীদের বেতন বাড়িয়ে ৩০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় করেছি, যা কর্মীদের উৎসাহিত করেছে। আমাদের পরিচালনা পর্ষদ সৎ ও মেধাবী। ব্যাংকে ঈর্ষণীয় পর্যায়ের সুশাসন বিদ্যমান। এসবই রেকর্ড মুনাফার পেছনের মূল কারণ।’

২০২৪ সালে ব্যাংকের আমানত বেড়েছে ৩১ শতাংশ বা ১২,১৭৭ কোটি টাকা, যেখানে ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১২ শতাংশ বা ৪,৮৩১ কোটি টাকা। এই উদ্বৃত্ত তহবিলের বড় একটি অংশ সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করা হয়েছে, যা আগের বিনিয়োগ থেকে ৬,১৫০ কোটি টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২,৪৮৮ কোটি টাকায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দুই হাজারি ক্লাবে গিয়ে মিরাজের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি
  • এবার হাজার কোটি টাকার মুনাফার ক্লাবে সিটি ব্যাংক
  • হাজার কোটি টাকা নিট মুনাফার মাইলফলকে সিটি ব্যাংক