যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পবিরোধী বিশাল বিক্ষোভের কর্মসূচি
Published: 5th, April 2025 GMT
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কর্তৃত্ববাদীদের বাড়াবাড়ি এবং ধনকুবেরদের সমর্থিত এজেন্ডার বিরুদ্ধে শনিবার আমেরিকা জুড়ে বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির বামপন্থী সংগঠনগুলো।
আমেরিকার বামপন্থী সংগঠনগুলোর বরাতে দ্য গার্ডিয়ান জানায়, শনিবার ওয়াশিংটন ডিসি, ফ্লোরিডা এবং দেশের অন্যান্য স্থানে ৫ লাখের বেশি মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিক্ষোভের পরিকল্পনাকারী দলগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ইনডিভিজিবল। এর প্রতিষ্ঠাতা এজরা লেভিন বলেন, গত কয়েক বছরের মধ্যে এটি আমেরিকান ইতিহাসে সবচেয়ে বড় একদিনের বিক্ষোভ হতে যাচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সবচেয়ে বড় কর্মসূচি ওয়াশিংটন ডিসির ন্যাশনাল মলে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যেখানে মেরিল্যান্ডের ডেমোক্র্যাট জেমি রাসকিন, ফ্লোরিডার ম্যাক্সওয়েল ফ্রস্ট এবং মিনেসোটার ইলহান ওমরসহ কংগ্রেস সদস্যরা জনতার সঙ্গে কথা বলবেন।
বিক্ষোভকারীদের ওয়েবসাইটে বলা হয়, আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে নির্লজ্জ ক্ষমতা দখল বন্ধ করার জন্য এটি একটি দেশব্যাপী কর্মসূচি।
তারা বলেন, ট্রাম্প, মাস্ক এবং তাদের কোটিপতি বন্ধুরা আমাদের সরকার, আমাদের অর্থনীতি এবং আমাদের মৌলিক অধিকারের ওপর সর্বাত্মক আক্রমণ চালাচ্ছে।
‘তারা আমেরিকার কিছু অংশ কেড়ে নিতে চায় - সামাজিক নিরাপত্তা অফিস বন্ধ করে দেওয়া, প্রয়োজনীয় কর্মীদের বরখাস্ত করা, ভোক্তা সুরক্ষা বাতিল করা এবং মেডিকেডকে ধ্বংস করা - এই সবকিছুই তাদের কোটিপতি কর কেলেঙ্কারির অর্থায়নের জন্য। তারা আমাদের করের ডলার, আমাদের পাবলিক সার্ভিস এবং আমাদের গণতন্ত্র অতি ধনীদের হাতে তুলে দিচ্ছে। আমরা যদি এখনই লড়াই না করি, তাহলে বাঁচানোর মতো কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না।’
১ এপ্রিল ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণার পর এই সপ্তাহে শেয়ার বাজারের পতনের পর এই বিক্ষোভ শুরু হয়। অর্থনৈতিক বিপর্যয় সত্ত্বেও, ট্রাম্প শুক্রবার বলেছিলেন: ‘আমার নীতি কখনও পরিবর্তন হবে না।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আম র ক ন আম র ক আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাবির ‘ক্ষণিকা’ বাসে হামলা, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও ছাত্রসংগঠনগুলোর নিন্দা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ‘ক্ষণিকা’ বাসে মঙ্গলবার দুপুরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। একই সঙ্গে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
মঙ্গলবার দুপুরে উত্তরা আজমপুর এলাকায় টঙ্গী-গাজীপুর রুটে চলাচলকারী ‘ক্ষণিকা’ বাসে হামলা চালায় একদল দুর্বৃত্ত। হামলায় বাসচালকসহ পাঁচ–ছয়জন আহত হন। আহত ব্যক্তিরা বর্তমানে উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঘটনার পর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হলপাড়া থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি ভিসি চত্বর ঘুরে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে শেষ হয়। সেখানে তাঁরা সমাবেশ করেন।
সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম মাহমুদ হামলাকারীদের দুর্বৃত্ত উল্লেখ করে বলেন, কিছু সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি সারা দেশে বায়বীয় বিদ্বেষ ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আজকের ঘটনায় শিক্ষার্থী সেজে কারা হামলা করেছে, তাদের খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হাসিব আল ইসলাম বলেন, ‘কিশোর গ্যাংয়ের সন্ত্রাসীরা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে আঘাত করার চেষ্টা করেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ ক্ষণিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়েছে। অভ্যুত্থানের ৮ মাস পার হলেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনো বাংলাদেশের মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি। আমরা দ্রুত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ সারা বাংলাদেশের মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানাই।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন ব্যবস্থাপক কামরুল হাসান মঙ্গলবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, সড়কে একদল স্কুলশিক্ষার্থীর মধ্যে ঝামেলা হলে তারা হঠাৎ গাড়ি ভাঙচুর শুরু করে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসটিও ভাঙচুর করা হয়। এতে সাতজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। হামলার সঙ্গে জড়িত সব অপরাধীকে দ্রুত শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে তারা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘একটি কুচক্রী মহল জুলাই গণ–অভ্যুত্থানপরবর্তী বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের অভূতপূর্ব ঐক্যে ফাটল সৃষ্টির পরিকল্পনার অংশ হিসেবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী রেজিমেও শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনৈক্যের বীজ বপণের এমন চেষ্টা আমরা দেখেছি। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, নতুন বাংলাদেশে এমন যেকোনো কূটচাল ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে।’
হামলার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। বিবৃতিতে বলা হয়, এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা শুধু শিক্ষার পরিবেশকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে না, বরং সার্বিকভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিরও ইঙ্গিত করে। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বহীনতা ও নিষ্ক্রিয়তা অত্যন্ত হতাশাজনক। এসব ঘটনা প্রতিরোধে অন্তর্বর্তী সরকারকে আরও বেশি কার্যকর পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানায় দলটি।