সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় এক গৃহবধূর ঘরে ঢুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে শ্রমিক লীগ নেতা আব্দুল মোমিনের বিরুদ্ধে। তিনি উপজেলার লাহিড়ী মোহনপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। ভুক্তভোগী গৃহবধূ তাঁর বিরুদ্ধে উল্লাপাড়া মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

ভুক্তভোগী গৃহবধূ অভিযোগে জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী না থাকার সুযোগে আব্দুল মোমিন দীর্ঘদিন ধরে তাঁকে কুপ্রস্তাব দিচ্ছিলেন। এতে তিনি রাজি না হওয়ায় হুমকিও দেন। এর জেরে কয়েক দিন আগে রাতে মোমিন তাঁর ঘরে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় তিনি চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তিনি পালিয়ে যান।

স্থানীয় মাতুব্বররা ঘটনার বিচার করবেন বলে ভুক্তভোগী গৃহবধূকে আশ্বাস দেন। কিন্তু তারা সময়ক্ষেপণ করায় তিনি গত শনিবার রাতে উল্লাপাড়া মডেল থানায় আব্দুল মোমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন। আব্দুল মোমিনের সঙ্গে নানাভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি পলাতক থাকায় এ বিষয়ে বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। 

উল্লাপাড়া মডেল থানার ওসি মো.

রাকিবুল হাসান বলেন, গৃহবধূ অভিযোগ দেওয়ার পর থেকে আব্দুল মোমিন পলাতক রয়েছেন। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উল ল প ড় গ হবধ

এছাড়াও পড়ুন:

সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে অপদস্থ বাবা, ছেলেকেও পিটিয়ে হত্যা

হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় দু’পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে অপদস্থ হওয়া বাবাকে রক্ষা করতে গিয়ে জাকির হোসেন (৩৮) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। এ সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

রবিবার (১৫ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার বদলপুর ইউনিয়নের পিরিজপুর গ্রামে এ সংঘর্ষ ঘটে। 

নিহত জাকির হোসেন ওই গ্রামের পল্লী চিকিৎসক হারুনুর রশিদের ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে গনি মিয়া গং ও শাজাহান মিয়া গংয়ের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে পিরিজপুর পয়েন্টে গনি মিয়ার ছেলে হোসাইন মিয়া ও শাজাহান মিয়ার ছেলে মহসিন মিয়ার মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে।

সংঘর্ষ থামাতে স্থানীয় হারুনুর রশিদ নামে একজন এগিয়ে গেলে তাকে অপদস্থ করা হয়। তখন বাবাকে রক্ষায় তার ছেলে জাকির হোসেন দোকান থেকে বের হলে প্রতিপক্ষের লোকজন তার ওপর চড়াও হয়। তাদের মারপিটে গুরুতর আহত অবস্থায় জাকিরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

আহতদের মধ্যে তজিমুল মিয়া (৫৫), রুবেল মিয়া (২৭) ও উজ্জ্বল মিয়া (৩০) নামে ৩ জনকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্য আহতরা বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। 

স্থানীয় ইউপি সদস্য ময়না মিয়া বলেন, ‘‘দীর্ঘদিনের জমিসংক্রান্ত বিরোধ থেকেই এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।’’ 

রাতে এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন আজমিরীগঞ্জ থানার ওসি মো. সফিকুল ইসলাম।

ওসি বলেন, ‘‘ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে নারী-পুরুষ ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া গ্রাম থেকে কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।’’

ঢাকা/মামুন/টিপু 

সম্পর্কিত নিবন্ধ