ভেষজ ওষুধ খাইয়ে ভাড়াটিয়াকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাড়ির মালিক গ্রেপ্তার
Published: 7th, April 2025 GMT
নেত্রকোনায় ভাড়াটিয়া এক গৃহবধূকে (৩৭) ধর্ষণের অভিযোগে বাড়ির মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় শহরের পারলা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম আনোয়ার হোসেন (৪৭)।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, স্বামীসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে আনোয়ারের বাসায় ভাড়া থাকেন ওই গৃহবধূ। সম্প্রতি তাঁকে প্রেমের প্রস্তাব দেন আনোয়ার। কিন্তু এতে রাজি না হওয়ায় ওই নারীর ওপর ক্ষিপ্ত হন আনোয়ার। তিনি ভেষজ ওষুধের মাধ্যমে কবিরাজি চিকিৎসা করতেন। গত ২৩ মার্চ বেলা ১১টায় ওই নারীকে চিকিৎসার নামে ভেষজ ওষুধ সেবন করান আনোয়ার। একপর্যায়ে গৃহবধূ অচেতন হয়ে পড়লে তাঁকে ধর্ষণ করেন আনোয়ার। জ্ঞান ফিরলে আনোয়ার তাঁকে বিষয়টি গোপন রাখতে বলেন। অন্যথায় প্রাণনাশের হুমকিসহ ভয় দেখান। এরপর ২৪ ও ২৫ মার্চ তাঁকে আবারও ধর্ষণ করেন আনোয়ার। গতকাল সকালে স্বামীকে বিষয়টি জানান ওই গৃহবধূ। পরে সন্ধ্যায় নেত্রকোনা মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমনে আনোয়ারের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
আজ সোমবার সকালে আনোয়ারকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী শাহনেওয়াজ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ হবধ
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের
নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে।
আরো পড়ুন:
জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল
সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন
মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।
মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”
মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।”
ঢাকা/শরিফুল/রফিক