গুলশানে মোটরসাইকেলের চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে নিহত ১ নারী
Published: 7th, April 2025 GMT
রাজধানীর গুলশানের সড়কে চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে মাথায় আঘাত পেয়ে এক নারী নিহত হয়েছেন। তাঁর নাম ফারজানা আক্তার মিম (৩০)। রোববার দিবাগত রাত দুইটার দিকে গুলশান ৩২ নম্বর সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহবুব হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, মহাখালী তিতুমীর কলেজের পাশে এক বান্ধবীর জন্মদিনের অনুষ্ঠান শেষে রাইড শেয়ারিংয়ের মোটরসাইকেলে বাসায় ফিরছিলেন ফারজানা।
গুলশান ৩২ নম্বরে এলে মোটরসাইকেলের চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে সড়কে ছিটকে পড়ে মাথায় আঘাত পান তিনি। উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এসআই মাহবুব হোসাইন আরও বলেন, ফারজানা একটি বিউটি পারলারে কাজ করতেন। পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত আবেদন করায় তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ফারজানার বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার আমান গ্রামে। তাঁর বাবার নাম আবদুল বারেক। তিনি রাজধানীর শাহজাদপুর বাঁশতলা এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় স্কুলছাত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা, যুবক গ্রেপ্তার
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় স্কুলছাত্রীকে (১৫) শ্বাসরোধে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী এক যুবকে বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত জুনেল মিয়াকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন তিনি।
গতকাল রোববার রাত ১২টার দিকে কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের দাউদপুর গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে জুনেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কুলাউড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান।
জুনেলের দেওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কুলাউড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে জুনেল মেয়েটিকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু মেয়েটি সেই প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি। এতে ক্ষুব্ধ হন জুনেল। ১২ জুন বিকেলে স্থানীয় একটি কোচিং সেন্টার থেকে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে জুনেল আবারও তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। একপর্যায়ে মুখ চেপে ধরে তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পাশের ছড়ার ঝোপে লাশ ফেলে পালিয়ে যান।
নিখোঁজ হওয়ার পর ১২ জুন ছাত্রীর পরিবার কুলাউড়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে। দুই দিন পর ১৪ জুন বিকেলে বাড়ির পাশের ছড়ায় তার লাশ পাওয়া যায়। ওই রাতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন মেয়েটির মা। পরে বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গতকাল রাতে জুনেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এসআই হাবিবুর রহমান বলেন, হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার জুনেলকে আজ মৌলভীবাজার আদালতে পাঠানো হবে। সেখানে ১৬৪ ধারায় তাঁর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে।