ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, বর্তমানে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বোঝাপড়া আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে ভালো। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করছি।

দেশে চলমান বিনিয়োগ সম্মেলনে আগত বিদেশি বিনিয়োগকারীদের স্বাগত জানিয়েছে মঙ্গলবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এক বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।

মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, বর্তমানে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বোঝাপড়া আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে ভালো। ফলে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ একটি চমৎকার স্থান। বিনিয়োগের সুরক্ষায় যা যা করণীয়, একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা করব।

বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেন, ‘আমি নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে পারি, বাংলাদেশের ইসলামপন্থা একটি শান্তিপূর্ণ সংস্কারমূলক ধারায় কাজ করে। এ ভূখণ্ডে ইসলাম প্রসারের ঐতিহাসিক কারণে সহিংসতার কোনো স্থান নাই। বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনাকে বড় করে না দেখে, সামগ্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করলে বাংলাদেশকে একটি ইতিবাচক, শান্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, কর্মঠ জনগোষ্ঠীর দেশ হিসেবেই দেখা যাবে।’

বাংলাদেশ একটি সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এগোচ্ছে উল্লেখ করে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম আরও বলেন, অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করছি। আর কোনো স্বৈরতন্ত্র যাতে জন্ম নিতে না পারে, সেজন্য জাতি হিসেবে আমরা ঐক্যবদ্ধ ও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

ইসলামী আন্দোলনের পুরানা পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে উপস্থিতি ছিলেন দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুস আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান, ইমতিয়াজ আলম, সহকারী মহাসচিব কে এম আতিকুর রহমান, আহমাদ আব্দুল কাইউম প্রমুখ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক জ কর ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

শেখ হাসিনার সঙ্গে আসামি ৮ প্রাক্তন ভিসিসহ ২০১ জন

ঢাকার সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার এক ছাত্রকে ‘হত্যাচেষ্টা’র অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর বোন শেখ রেহানাসহ ২০১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য, শিক্ষক, সাংবাদিক, অভিনেতা-অভিনেত্রীদেরও আসামি করা হয়েছে। 

ঢাকা মহানগর হাকিম মনিরুল ইসলাম বুধবার অভিযোগটি আমলে নিয়ে শাহবাগ থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। গত ২০ মার্চ সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্র সাইফুদ্দিন মোহাম্মদ এমদাদের পক্ষে ছাত্রদলের সাবেক নেতা এম এ হাশেম রাজু আদালতে এ মামলার আবেদন করেন। 

মামলায় অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন– শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সালমান এফ রহমান, আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ প্রমুখ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্যসহ কয়েকজন শিক্ষক আছেন আসামির তালিকায়। তারা হলেন– ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. হারুন-অর-রশিদ, ঢাবি শিক্ষক অধ্যাপক মেসবাহ কামাল ও অধ্যাপক আবু জাফর মো. শফিউল আলম ভূঁইয়া, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য মুহম্মদ জাফর ইকবাল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য আনোয়ার হোসেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য মীজানুর রহমান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য আবদুল মান্নান, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য এম অহিদুজ্জামান, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ড. অনুপম সেন, সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান, নঈম নিজাম, শ্যামল দত্ত, মোজাম্মেল বাবু, আলমগীর হোসেন, আবেদ খান প্রমুখ।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে– ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গত ৪ আগস্ট সকালে মামলার বাদী এম এ হাশেম রাজুর নেতৃত্বে একটি মিছিল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে পরীবাগে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনের মোড়ে এসে পৌঁছায়। তখন ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী পথরোধ করে ছাত্র-জনতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলিবর্ষণ, হাতবোমা, পেট্রোল বোমা ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এ গুলিতে আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সাইফুদ্দিন মোহাম্মদ এমদাদের ডান চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। 

এদিকে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আব্দুন নূর নামে এক সাংবাদিক নিহতের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনাসহ ১৬২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। নিহতের বাবা হাফেজ আবুল বাশার গত মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম এম মিজবাউর রহমানের আদালতে এ মামলা করেন। 

মামলায় অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন– সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনিসুল হক, হাছান মাহমুদ, সালমান এফ রহমান প্রমুখ। 

মামলার বাদী আবুল বাশার বলেন, আব্দুন নূর ময়মনসিংহের গফরগাঁও এলাকায় অভিযান নিউজ নামে পত্রিকার রিপোর্টার ছিল। আন্দোলনের সময় ১ আগস্ট সে ঢাকায় আসে এবং যাত্রাবাড়ীতে ৫ আগস্ট গুলিতে মারা যায়। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ