মাগুরায় আগ্নেয়াস্ত্র, গুলিসহ বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার
Published: 9th, April 2025 GMT
মাগুরায় আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও মাদকসহ জেলা বিএনপি সাবেক সদস্য ফরিদ খান ও তার আট সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। গতকাল মঙ্গলবার মাগুরা শহরের পারলা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বুধবার তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
ফরিদ খান শহরের পারলা এলাকার মৃত হাবিবুর রহমান খানের ছেলে।
সদর থানার ওসি আয়ুব আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আজ বুধবার সকালে আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও মাদকসহ যৌথ বাহিনী ফরিদ খান ও তার ৮ সহযোগীকে সদর থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এ সময় যৌথ বাহিনী ফরিদ খানের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ১টি চাইনিজ পিস্তল, ১টি ম্যাগাজিন, ২টি ওয়ান শুটার গান, ৪টি ওয়ান শুটার গানের অ্যামুনেশন, ২৬৪ রাউন্ড অ্যায়ার গানের অ্যামুনেশন, ৭ রাউন্ড ২২ অ্যামুনেশন, পিস্তল অ্যামুনেশন ১ রাউন্ড, চাইনিজ কুরাল ২টি, চাপাতি ৬টি, মদ ২ বোতল এবং নগদ দেড় লাখ টাকাসহ ১১টি মোবাইল ফোন হস্তান্তর করে।
আটককৃত ব্যক্তিরা হচ্ছে ফরিদ হাসান খান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রেজা, শহরের হাসপাতাল পাড়ার বাসিন্দা নূহু দারুল হুদা, ভায়না এলাকার কাজী আরিফুল হক, আবালপুর গ্রামের আবদুল জলিল, শ্রীপুর উপজেলার বাখেরা গ্রামের আইনুল হোসাইন, শাহীন শেখ, পটুয়াখালী সদর উপজেলার ইলিয়াছ খান ও ঢাকার আদাবর এলাকার সৈয়দ খায়রল আলম।
ওসি আরও জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে যৌথ বাহিনী জানতে পারে ফরিদ খান আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে শহরের পারলা এলাকায় অবস্থান করছেন। এ সংবাদের ভিত্তিতে যৌথ বাহিনী সেখানে অভিযান চালায়। অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, মদসহ ফরিদ খান ও তার ৮ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে। আজ সকালে যৌথ বাহিনী তাদের সদর থানায় হস্তান্তর করে। তাদের নামে বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ফরিদ খানের ভাই জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক পিকুল খান বলেন, ঘটনাটি ষড়যন্ত্রমূলক, প্রতিপক্ষরা তাদের ফাঁসাতে এমন কাজ করেছে। যেখান থেকে অস্ত্র উদ্ধার দেখানো হয়েছে ওটা আমাদের ব্যবসায়িক ফার্ম।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ ফর দ খ ন শহর র
এছাড়াও পড়ুন:
সাকিবের পথে হাঁটছেন মিরাজ
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে নিজের তুলনাকে মেহেদী হাসান মিরাজ হয়তো উপভোগই করেন। কারণ, তাঁর স্বপ্ন সাকিবের মতো বিশ্বনন্দিত অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা। সেই পথে বোধ হয় গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে টেস্টে দেশে-বিদেশে সম্প্রতি ভালো করছেন। পাকিস্তানে দারুণ প্রশংসিত ছিলেন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের হোম সিরিজে উভয় টেস্টে নিজেকে ছাপিয়ে গেলেন। সিলেটের হারের ম্যাচেও ১০ উইকেট ছিল তাঁর। চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নিয়ে সাকিব ও সোহাগ গাজীর কাতারে নাম লেখালেন। মূলত মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট জেতা সম্ভব হয়।
গতকাল শতকের ঘরে যেতে কম কসরত করতে হয়নি তাঁর। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে তো অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিলেন হাসানের আউটের শঙ্কায়। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় দ্বিতীয় শতকের দেখা পান তিনি। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল মিরাজের। গতকালের পারফরম্যান্স নিয়ে টাইগার এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় চেষ্টা করেছিলাম ২ রান নিয়ে ১০০ রানে যেতে। সেভাবে দৌড় দিয়েছিলাম। কিন্তু ফিল্ডারের হাতে বল চলে গিয়েছিল (হাসি)। তার পর তো আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। হাসান অনেক ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তানজিমও ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তাইজুল ভাইও। এই তিনজনকেই অনেক অনেক ধন্যবাদ। কারণ, ওদের জন্যই আমি ১০০ রান করতে পেরেছি।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট প্রাপ্তিকে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দাবি মিরাজের, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ১০০ করেছিলাম, ৩ উইকেট নিয়েছিলাম। অল্পের জন্য ৫ উইকেট হয়নি। হলে ভালো লাগত। ওই ম্যাচ হেরেছিলাম এই মাঠে। সে জিনিসটা মাথায় ছিল। ভালো লাগছে ম্যাচটি জিতেছি।’ মিরাজ ১৬২ বলে ১১টি চার ও একটি ছয় মেরে ১০৪ রান করেন। ২১ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন পাঁচ উইকেট।
টেস্টে এ রকম অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বাংলাদেশে আর দু’জনের আছে। সাকিব আল হাসান দু’বার ম্যাচে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট পেয়েছেন ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে আর ২০১৪ সালে খুলনায়। সোহাগ গাজী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট শিকার করেন চট্টগ্রামে। সেই মাইলফলক ছোঁয়া মিরাজকে সম্প্রতি অলরাউন্ডার ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়। সাকিবের বিকল্প ভাবা হয় তাঁকে এখন।
এ ব্যাপারে মিরাজের অভিমত, ‘দেখেন একটা জিনিস, যখন সাকিব ভাই ছিলেন, ভিন্ন রোল ছিল। এখন ভিন্ন রোল। যেহেতু টিম ম্যানেজমেন্ট, সবাই ব্যাটিংয়ে আস্থা রাখে। আমিও ভেবেছি আমার ব্যাটিংটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন হয়তো আমি লিডিং রোল প্লে করছি, আগে সাকিব ভাই করত। এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি।’
সিলেটে দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট করে নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি মিরাজ। চট্টগ্রামে সাদমান, তাইজুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ম্যাচ জয়ের নায়ক হন। এই সাফল্য নিয়ে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, প্রথম ম্যাচ হারার পর যেভাবে কামব্যাক করেছি, এটা খুবই দরকার ছিল। আমাদের সবাই ভেবেছিল, আমরা ভালো করব।’ মিরাজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কোচিং স্টাফ ও সতীর্থের কাছে। আর তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা পুরো দলের।