পিএসজি ভক্তদের খোঁচা দিয়ে প্যারিসের বিমানে মার্টিনেজ
Published: 9th, April 2025 GMT
কাতার বিশ্বকাপের পর থেকে ফ্রান্সের ফুটবল ভক্তদের শত্রু বনে গেছেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। কাতারে লেস ব্লুজদের বিশ্বকাপের ফাইনালে হারানোর পর উপহাস করতে ছাড়েননি আর্জেন্টাইনরা। যাতে বড় ভূমিকা ছিল মার্টিনেজের।
কিলিয়ান এমবাপ্পেদের আদতে বানানো পুতুল কোলে নিয়ে উপহাস করাসহ টুকটাক বাজে মন্তব্যও সেসময় করেছিলেন মার্টিনেজ-ডি পলরা। যে ঘটনা লা প্যারিসিয়ানদের ভুলে যাওয়ার কথা নয়। ভুলতে চাইলেও ভুলতে দিলেন না অ্যাস্টন ভিলার আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক মার্টিনেজ।
বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে পিএসজির ঘরের মাঠ পার্ক দেস প্রিন্সেসে নামবে অ্যাস্টন ভিলা। ওই ম্যাচ খেলতে প্যারিসের বিমান ধরার সময় ছবি পোস্ট করেন মার্টিনেজ। তাতে দেখা যায় মাথায় যে ক্যাপটা তিনি পরেছেন, তা ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জয়ের পর দলের পরা ক্যাপ। যার সামনে আছে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের লোগো।
পিএসজি তথা ফ্রান্স ভক্তদের খোঁচা দিতে আর কী লাগে। এই খোঁচা দিয়ে অবশ্য ভয়েই থাকতে হতে পারে এমি মার্টিনেজের। কারণ প্যারিসের ভক্তদের মাঠে দুয়ো দেওয়া ও বোতল, খাবার ছুড়ে মারার বাজে অভ্যাস আছে। এছাড়া লুইস এনরিকের পিএসজি যে ফর্মে আছে মার্টিনেজকে বড় পরীক্ষা নিতে প্রস্তুত উসমান ডেম্বেলে, বারকোলারা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এম ল য় ন ম র ট ন জ অ য স টন ভ ল প এসজ প এসজ
এছাড়াও পড়ুন:
স্ত্রী-সন্তানসহ সাবেক অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামালের আয়কর নথি তলবের নির্দেশ
সাবেক অর্থমন্ত্রী আবু হেনা মোহাম্মদ মুস্তফা কামাল ওরফে লোটাস কামাল, তাঁর স্ত্রী কাশমিরি কামাল এবং তাঁদের দুই মেয়ে কাশফি কামাল ও নাফিসা কামালের আয়কর নথি তলবের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। দুদকের পৃথক চারটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর সিনিয়র জজ সাব্বির ফয়েজের আদালত আজ সোমবার এ আদেশ দেন।
দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ এ আবেদনগুলো করেন। পরে আদালত তা মঞ্জুর করেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা তানজির আহমেদ এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
লোটাস কামালের আয়কর নথি তলবের আবেদনে বলা হয়, লোটাস কামালের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে। তিনি অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করেছেন। তাঁর নামে ৩২টি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনক অর্থ লেনদেন করার অভিযোগটি তদন্তাধীন রয়েছে।
কাশমিরি কামালের আবেদনে বলা হয়, মুস্তফা কামাল অর্থমন্ত্রী থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে ৪৪ কোটি ১১ লাখ ৬২ হাজার ১৪৬ টাকা অর্জন করেছেন। এই অবৈধ সম্পদ তিনি তাঁর স্ত্রীর নামে দেখিয়েছেন। এ ছাড়া তাঁর নামে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খুলে উক্ত প্রতিষ্ঠান এবং নিজ নামে মোট ২০টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে মোট ২৯ কোটি ৭৩ লাখ ১০ হাজার ২০৭ টাকা হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরের মাধ্যমে সন্দেহজনক অসংখ্য লেনদেন করার অভিযোগটি তদন্তাধীন রয়েছে।
কাশফি কামালের আয়কর নথি তলবের আবেদনে উল্লেখ করা হয় যে মুস্তফা কামাল তাঁর অবৈধভাবে অর্জিত ৩১ কোটি ৭৮ লাখ ৮৩ হাজার ১৯৫ টাকা বৈধ করতে নিজ কন্যা কাশফি কামালের নামে দেখিয়েছেন। এ ছাড়া কাশফি কামালের নামে খোলা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ মোট ৩৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ১৮৭ কোটি ৪৮ লাখ ২৩ হাজার ৫৪৮ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে বিষয়টি তদন্তাধীন।
নাফিসা কামালের আবেদনে দাবি করা হয় যে মুস্তফা কামাল তাঁর অবৈধ ৬২ কোটি ৬৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫১৬ টাকা বৈধ করতে মেয়ে নাফিসা কামালের নামে স্থানান্তর করেছেন। এখানেও নাফিসা কামালের নামে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে। তাঁর নামে মোট ১৮টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ১৯৯ কোটি ২৩ লাখ ৪০ হাজার ৫৪৭ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে, যা নিয়ে তদন্ত চলছে।