রাতে ভাড়া নিয়ে যাওয়ার পর থেকে আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক বাবর হোসেনের (২০)। গতকাল বুধবার রাত থেকে স্বজনেরা যোগাযোগ করেও বন্ধ পাচ্ছিলেন তাঁর মুঠোফোন। পরে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নোয়াখালী সদর উপজেলার কোম্পানিঘাট-সংলগ্ন স্লুইসগেট এলাকার একটি কবরস্থান থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।

খবর পেয়ে বেলা ২টার দিকে সুধারাম থানার একদল পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। নিহত বাবর নোয়াখালী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মো.

সেলিমের ছেলে। তবে লাশ উদ্ধার হলেও নিহত বাবর যে অটোরিকশাটি চালাতেন, সেটি পাওয়া যায়নি। তাই প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা তাঁকে হত্যা করে তাঁর অটোরিকশা ছিনতাই করেছে। তবে কারা ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।

নিহত বাবর হোসেনের খালাতো ভাই মো. রাজীব প্রথম আলোকে বলেন, তিনি আর বাবর একই মালিকের গ্যারেজের মিশুক অটোরিকশা চালাতেন। গতকাল রাত ৯টার দিকে বাড়ির পাশে তাঁর সঙ্গে বাবরের সর্বশেষ দেখা হয়। তখন বাবর তাঁকে জানিয়েছিলেন, তিনি ভাড়া নিয়ে যাচ্ছেন। এরপর রাতে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা বাবরের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করেন।

রাজীব জানান, বাবরের খোঁজে সারা রাত তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় যান। একপর্যায়ে দিবাগত রাত ৩টার দিকে তাঁর মুঠোফোন খোলা পান। তখন অপরিচিত এক ব্যক্তি ফোন ধরে বলেন, তিনি ফোনটি শহরের সোনাপুর এলাকায় পেয়েছেন। তাঁরা তাৎক্ষণিকভাবে সোনাপুর যান। কিন্তু ওই ব্যক্তি ফোনটি বন্ধ করে দেন। তাঁরা সেখানে গিয়েও আর ওই ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে পারেননি।

স্বজনেরা জানান, আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাবরের বড় বোন রুনা আক্তার সুধারাম থানায় যান এ ঘটনায় নিখোঁজ ডায়েরি করতে। তখনই খবর পান নোয়াখালী ইউনিয়নের কোম্পানীঘাট এলাকার স্লুইসগেট–সংলগ্ন একটি কবরস্থানের পেছনে একটি লাশ পাওয়া গেছে। পরে তিনি সেখানে গিয়ে দেখেন লাশটি বাবরের। লাশের ‍মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছিল, গলায় কালো দাগ দেখেছেন তাঁরা। পরে তাঁরা পুলিশকে বিষয়টি জানান।

জানতে চাইলে অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, পরিবারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ওই অটোরিকশাচালক গতকাল রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন। তবে এ বিষয়ে পরিবার থানায় কোনো অভিযোগ করেনি। ঘটনাটি তদন্তে এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তির পরিবারের অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব বর র পর ব র

এছাড়াও পড়ুন:

গৌরনদী থানার ওসি-এসআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা

এক লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগে গৌরনদী মডেল থানার ওসি ইউনুস মিয়া ও উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী এক নারী। বরিশাল সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে আজ মঙ্গলবার মামলাটি দায়ের করেন গৌরনদীর বাটাজোর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আজাদ সরদারের স্ত্রী সুমা বেগম।

অভিযোগকারীর আইনজীবী নাজিম উদ্দীন আহমেদ পান্না এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলাটি করা হয়েছে। 

ভুক্তভোগী নারী মামলায় অভিযোগ করেছেন, গত ১১ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয় কতিপয় দুর্বৃত্তরা তার (সুমা) শ্বশুরবাড়ির পাকা কবরস্থান ভাঙচুর করে ও দখলের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় বাদী জরুরি সেবা ৯৯৯- এ কল করলে থানার এসআই নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে যান। তবে নজরুল ইসলাম ভুক্তভোগী সুমা বেগমসহ মামলার তিনজন সাক্ষীকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। ওসি এবং এসআই আটককৃতদের ছেড়ে দিতে সুমা বেগমের কাছে এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। টাকা দিকে অপরাগতা প্রকাশ করায় মামলায় জড়ানোর হুমকি দেন ওসি এবং এসআই। ওইদিন রাত নয়টার পর থানা হেফাজত থেকে বাদী ও মামলার তিনজন সাক্ষীকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ওসি এবং এসআই মামলার বাদী ও তিন সাক্ষীকে দীর্ঘসময় থানায় আটকে রাখার সুযোগে দুর্বৃত্তরা কবরস্থান ভাঙচুর করে দখল করতে পেরেছে। বাদীর দায়ের করা এজাহার থানায় মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়নি। এ ঘটনায় বাদী সুমা বেগম গত ১৩ এপ্রিল দুর্নীতি দমন কমিশনের বরিশাল কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিলে কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। 

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া বলেন, ‘ঘুষ দাবির কোনো ঘটনা সেদিন ঘটেনি। একটি কু-চক্রী মহলের প্ররোচনায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে কবর খুঁড়ে ১৪টি কঙ্কাল চুরি
  • বগুড়ায় অটোরিকশাচালক আজগর হত্যা মামলার দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড
  • এক লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ, ওসি ও এসআইয়ের বিরুদ্ধে নালিশি
  • গৌরনদী থানার ওসি-এসআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা
  • কুমিল্লায় বজ্রপাতে দুই স্কুলছাত্রসহ চারজনের মৃত্যু