‘জীবন রক্ষা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিরাপদ খাদ্যের বিকল্প নেই’
Published: 10th, April 2025 GMT
সুস্থ জীবন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নিরাপদ খাদ্য গ্রহণের কোনো বিকল্প নেই। এজন্য উৎপাদন থেকে শুরু করে খাবার গ্রহণ পর্যন্ত সব প্রক্রিয়ায় বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে খাদ্য নিরাপদ করতে হবে। এক্ষেত্রে সর্বস্তরে সচেতনতাও অনেক বেশি জরুরি।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কর্মচারীদের নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক প্রশিক্ষণে এমন মন্তব্য করেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত পরিচালক মো.
আরো পড়ুন:
সাংবাদিককে যুবদল নেতার ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি, থানায় জিডি
সংবাদকর্মীদের ঈদ: অন্যদের তুলে ধরতে নিজেদের ভুলে থাকা
তিনি আরো বলেন, “মাছ-মাংস, সবজি এসব আলাদা ফ্রিজে রাখার নিয়ম। কিন্তু এসব কতজন আমরা মেনে চলতে পারছি? রান্নাঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিকল্প নেই। যেকোনো মূল্যে এটা নিশ্চিত করতে হবে।”
এ সময় এই কর্মকর্তা নামসর্বস্ব নয়, খাদ্যপণ্য কেনার ক্ষেত্রে ভালো মানের প্রতিষ্ঠান থেকে কেনার পরামর্শ দেন।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সহ-সভাপতি গাজী আনোয়ার নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য নিরাপদ খাদ্য সবার আগে জরুরি। ভেজালের ভিড়ে আসল চেনা এখন দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে নিজেকে সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি অসাধু ব্যবসায়ীদের ভোক্তার জন্য নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করতে আন্তরিক হতে হবে।”
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল বলেন, “পেশাগত কাজ করার পাশাপাশি সাংবাদিকদেরও সবার আগে নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করতে হবে। সেজন্য সচেতনতা তৈরি, ভালো একটি গাইডলাইন দেওয়ার ক্ষেত্রে কাজ করতে পারে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। সামনের দিনে সদস্যদের জন্যও এই ধরনের আয়োজন করা হবে।”
প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের মনিটরিং কর্মকর্তা ইশফাক ওয়াহেদ বিন রহিম, জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুল হাসনাত উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া ডিআরইউয়ের তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক এমদাদুল হক খান, কল্যাণ সম্পাদক রফিক মৃধা, কার্যনির্বাহী সদস্য আমিনুল হক ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
প্রশিক্ষণের আগে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা ডিআরইউয়ের ক্যান্টিন, রান্নাঘর পরিদর্শন করেন। পরে সংশ্লিষ্টদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও খাদ্য নিরাপদ রাখার বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেন।
ঢাকা/এএএম/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন শ চ ত করত কর মকর ত য ন র পদ র জন য গ রহণ
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিক সাঈদুর রহমান রিমনের জানাজা অনুষ্ঠিত
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) স্থায়ী সদস্য ও দৈনিক বাংলাভূমি পত্রিকার প্রধান সম্পাদক সাঈদুর রহমান রিমন আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বুধবার (৩০ ফেব্রুয়ারি) গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর এলাকায় পেশাগত কাজে এসে দুপুর ১১টার দিকে তিনি বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন।প্রথমে তাকে পাশের একটি প্রাইভেট হাসপাতাল ও পরে গাজীপুর শহীদ তাহউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা দুপুর ২টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তার বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর। তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে, আত্মীয় স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
আরো পড়ুন:
অনুমতি ছাড়া কাউন্সিলে নাম, প্রত্যাহার চেয়ে ক্ষোভ নূরুল কবীরের
সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নিয়ে বললেন ‘ভুল করিনি, মাথা গরম ছিল’
বুধবার বাদ জোহর ডিআরইউ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে ফুলেল শ্রদ্ধায় তাকে শেষ বিদায় জানানো হয়। ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেলের নেতৃত্বে সাঈদুর রহমান রিমনের কফিনে শ্রদ্ধা অর্পণ করে কার্যনির্বাহী কমিটি।
এর আগে সাঈদুর রহমানের সংক্ষিপ্ত জীবনী তুলে ধরেন ডিআরইউয়ের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল। বক্তব্য রাখেন ডিআরইউয়ের সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উমর ফারুক আলহাদী ও সাধারণ সম্পাদক এম এম বাদশাহ।
এ সময় ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হাই তুহিন, কল্যাণ সম্পাদক রফিক মৃধা, কার্যনির্বাহী সদস্য আকতারুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া ডিআরইউয়ের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদসহ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সাঈদুর রহমান রিমনের মৃত্যুতে ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল গভীর শোক প্রকাশ করেন। ডিআরইউ নেতারা মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
তিনি গাজীপুরের দৈনিক বাংলাভূমি পত্রিকার প্রধান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।এর আগে দীর্ঘ সময় বাংলাদেশ প্রতিদিনের ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্টিং সেলের ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়া তিনি বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের (বিএমএসএফ) সিনিয়র সহসভাপতি ছিলেন। দীর্ঘ সাংবাদিকতা ক্যারিয়ারে বাংলাদেশ প্রতিদিন, বাংলানিউজ, সংবাদ, মানবজমিন, মুক্তকণ্ঠ, বাংলাবাজার পত্রিকা ও দৈনিক ইত্তেফাকে কাজ করেছেন। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় অনন্য প্রতিভার অধিকারী তিনি ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিংসহ অনেক পুরস্কার লাভ করেন।
ঢাকা/এএএম/এসবি