দখল হওয়া পাবলিক স্পেস উদ্ধারে শিগগিরই অভিযান: ডিএনসিসি
Published: 10th, April 2025 GMT
দখল হওয়া পাবলিক স্পেস শিগগিরই উদ্ধার করতে অভিযান চালাবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাজধানীর মধুবাগ কমিউনিটি সেন্টারে অঞ্চল-৩ এর গণশুনানিতে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, “খাস জমি উদ্ধার করে ছোট ছোট পাবলিক স্পেস গড়া হবে। খেলার মাঠ ও পার্কগুলো সার্বক্ষণিক তদারকিতে থাকবে। অনুমতি ছাড়া কেউ ব্যবহার করতে পারবে না। এলাকাবাসীর অংশগ্রহণে তদারকি কমিটি গঠন করা হবে।”
প্রশাসক জানান, ফুটপাত-রাস্তায় অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে আগামী সপ্তাহ থেকে কঠোর অভিযান চালানো হবে। প্রধান সড়কে অটোরিকশা চলাচল বন্ধে ডিএমপি ইতোমধ্যে ‘ট্র্যাপার’ বসানো শুরু করেছে।
প্রশাসক এজাজ বলেন, “মশক ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের নির্দিষ্ট দায়িত্ব প্রকাশ করা হবে ডিএনসিসির ওয়েবসাইটে। দায়িত্বে গাফিলতি পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ‘সবার ঢাকা’ অ্যাপ চালু হলে নাগরিকরা সহজেই অভিযোগ জানাতে পারবেন।”
গণশুনানিতে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ উল মোস্তাক, নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল আলম, কর কর্মকর্তা মো.
ঢাকা/এএএম/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর মকর ত ড এনস স
এছাড়াও পড়ুন:
নোয়াখালীতে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাকে আশ্রয় দেওয়ায় তাঁতী দলের নেতা বহিষ্কার
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আলাউদ্দিনকে নিজ বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের এক নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃত মোহাম্মদ সৈকত উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়ন তাঁতী দলের সভাপতি ছিলেন। আজ শুক্রবার বিকেলে জেলা তাঁতী দলের সদস্যসচিব মোরশেদ আলম প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে জেলা তাঁতী দলের আহ্বায়ক ইকবাল করিম সোহেল ও সদস্যসচিব মোরশেদ আলমের যৌথ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বহিষ্কারের আদেশ দেওয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মোহাম্মদ সৈকতকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি মূল্যায়নে ব্যর্থ হওয়ায় হাতিয়া উপজেলা তাঁতী দলের দক্ষিণ কমিটিকে সতর্ক করা হয়েছে।
দলীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরে হাতিয়া উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের জোড়খালী গ্রামে সৈকতের বাড়ি থেকে সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে হাতিয়া থানা–পুলিশ। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ১০টি ককটেল উদ্ধার করা হয়। আলাউদ্দিন ও মোহাম্মদ সৈকত সম্পর্কে ফুফা–ভাগনে।
এ বিষয়ে মোহাম্মদ সৈকত প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে অনেকগুলো পরিবার থাকে। আমি ব্যবসার কাজে দিনের বেশির ভাগ সময় বাইরে থাকি। আলাউদ্দিন কখন বাড়িতে এসেছেন, তা আমার জানা নেই। আমাদের ঘর থেকে তাঁর শ্বশুরদের ঘর অনেক দূরে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাকে জড়ানো হয়েছে।’
নোয়াখালী জেলা তাঁতী দলের সদস্যসচিব মোরশেদ আলম বলেন, আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাকে আত্মগোপনে থাকার সুযোগ করে দেওয়ায় মোহাম্মদ সৈকতকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের তাঁতী দল কমিটিকেও সতর্ক করা হয়েছে।
আরও পড়ুনহাতিয়ায় শ্বশুরবাড়িতে পালিয়ে থাকা সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গ্রেপ্তার৩১ জুলাই ২০২৫